করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা, ২৫ টি কার্যকরী তথ্য জানুন
করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা ভিন্ন ধর্মী আলোচনা করতে চলেছি। তিতা স্বাদ যুক্ত এই সবজি আমাদের বেশ পছন্দনীয় একটি সবজি হিসেবে পরিচিত।
করলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারী ও অপকারী দিকের সাথে আজ আমরা বিশেষভাবে জানব, খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা
করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা
করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানতে চলেছি। করলা তিতা স্বাদের সবজি হলেও এটি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি সবজি। প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসা ও নিয়মিত খাওয়ার ক্ষেত্রে করলার ব্যবহার দেখা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় প্রচুর পুষ্টি উপাদান এই করলায় রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন উপাদান রয়েছে করলা সবজিতে।
- করলা আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করলা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে করলা আমাদের বেশ উপকারী হয়ে থাকে।
- করলা আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে করলার বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রয়েছে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে করলা বেশ উপকারী।
- আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে করলার ভূমিকা রয়েছে।
- করলা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।
- চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করলার ভূমিকা রয়েছে।
- করলায় রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান, যা ক্যান্সার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
- পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে করলার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
- করলা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে শরীরকে দীর্ঘকালীন সুস্থ রাখে।
- রক্ত পরিষ্কার করতে পারে করলার খাদ্য উপাদান, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সহায়তা করে করলা।
- পেটের কৃমি দূর করতে করলার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
- করলা আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেয়।
- করলায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য, যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।
- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করলার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
- আয়রনের উৎস হিসেবে করলা বেশ জনপ্রিয় এবং এতে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়।
- করলা আমাদের দেহের আলসার প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
- পাইলস বা অর্শ রোগীদের ক্ষেত্রে করলা বিশেষ উপকারী হয়ে থাকে।
- করলা আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া দ্রুত করে।
- করলায় রয়েছে ক্যালসিয়াম উপাদান, যা আমাদের হাড় শক্তিশালী করতে সহায়ক হয়।
- দৃষ্টিশক্তি উন্নতিতে করলার ভূমিকা অস্বীকার করার মত নয়।
- শরীরের ক্লান্তি দূর করে সতেজ রাখতে করলার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, এই জুস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। করলার জুস এ থাকা পুষ্টি উপাদান ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার উন্নতিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শরীরকে বিষ মুক্ত রাখতে নিয়মিত করলার জুস পান করা যেতে পারে।
করলার জুস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আপনাদের যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা করলার জুস পান করতে পারেন। এই জুস আপনাদের ফ্যাট কমাতে সহায়ক হবে এবং বিপাক ক্রিয়া গতিশীল করবে। লিভারকে ডিটক্সিফিকেশন করার ক্ষমতা রয়েছে করলা জুসে। এই জুস আপনাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে দিবে।
করলা জুস হজম শক্তি উন্নত করে রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। এই জুস শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। করলার জুস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। আপনার যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে করলা জুস আপনার জন্য হতে পারে উত্তম সমাধান।
করলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
করলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত ভাবে জানব। করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা ভালোভাবে পেতে সঠিক নিয়মে খেতে হবে। করলায় থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল আমাদের শরীরের খাদ্য পুষ্টির অভাব পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে। করলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হল।
সকালে খালি পেটে করলা জুস করে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো এবং শরীর ডিটক্সিফাই করার জন্য সকালে খালি পেটে করলা জুস খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। করলা জুস অতিরিক্ত তিতা হয়ে থাকে, যা কমানোর ক্ষেত্রে সামান্য লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। তিতা করলাকে সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে ভাজি করে খেলে খুবই সুস্বাদু একটি খাবার হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ বিট খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা
করলা সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে যদি আপনি রান্না করে খান, তিতা স্বাদ অনেক কম লাগবে এবং এর সাথে কার্যকরী মসলা, আলু ও মাছ সহ রান্না করলে খুবই সুস্বাদু একটি পদ হতে পারে। এছাড়াও আপনি ভালো স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে করলার সুপ খেতে পারেন। আপনি যদি প্রথম করলা খেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে খেয়ে পরবর্তীতে ভালো লাগলে স্বাভাবিকভাবে খেতে পারেন।
কাঁচা করলার উপকারিতা
কাঁচা করলার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, এই সবজি আপনার অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে। কারণ, এতে রয়েছে উচ্চমানের পুষ্টি উপাদান, যা রান্না করার পরেও অক্ষুণ্ণ থাকে। খাওয়ার ক্ষেত্রে তেতো স্বাদ অনেকের পছন্দ না কিন্তু এটি যদি আপনি খেতে পারেন অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুনঃ লাউ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা
করলার পুষ্টি উপাদান
করলার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলতে গেলে, অনেকের পছন্দের লিস্টে করলা না থাকলেও আপনার শরীরের জন্য করলার পুষ্টি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। করলায় আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীর সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন বড় ধরনের সমস্যাকে বিস্তার লাভ করতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।
১০০ গ্রাম করলার পুষ্টি উপাদান
নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | অ্যানার্জি | ১৭ ক্যালরি |
২ | কার্বোহাইড্রেট | ৩.৭ গ্রাম |
৩ | ডায়েটারি ফাইবার | ২.৮ গ্রাম |
৪ | প্রোটিন | ১ গ্রাম |
৫ | ফ্যাট | ০.১৭ গ্রাম |
৬ | ভিটামিন সি | ৮৪ মিলিগ্রাম |
৭ | ভিটামিন এ | ৪৭১ আই ইউ |
৮ | ফোলেট | ৭২ মাইক্রোগ্রাম |
৯ | পটাশিয়াম | ২৯৬ মিলিগ্রাম |
১০ | ক্যালসিয়াম | ১৯ মিলিগ্রাম |
১১ | ফসফরাস | ৩১ মিলিগ্রাম |
১২ | আয়রন | ০.৪৩ মিলিগ্রাম |
১৩ | জিংক | ০.৮ মিলিগ্রাম |
১৪ | ম্যাগনেসিয়াম | ১৭ মিলিগ্রাম |
১৫ | অ্যান্টি অক্সিডেন্ট | পর্যাপ্ত পরিমাণে |
এই সমস্ত পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। শরীর সুস্থ থাকলে জীবন সুন্দর হয়। আপনি একদিন মারা যাবেন সত্য কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকবেন ধুকে ধুকে যেন বেঁচে থাকতে না হয়, এজন্য প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফল-মূল খাওয়া উচিত।
তিতা করলার উপকারিতা
তিতা করলার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা বেশ কিছু তথ্য জানতে চলেছি। প্রাচীন কাল থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই করলা ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এই করলা পুষ্টিতে ভরপুর একটি সবজি হিসেবে পরিচিত। করলা শুধুমাত্র আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে না বরং দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
- তিতা করলার নির্যাস আমাদের অ্যালার্জি ও ত্বকের প্রদাহ জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- তিতা করলায় থাকা উপাদান রক্ত সঞ্চালন কে বেগবান করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
- তিতা করলা শরীরের ক্লান্ত কমিয়ে দেয় এবং শক্তি যোগায়, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উদ্যমী করে থাকে।
- করলায় রয়েছে ভিটামিন বি ১ এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা আমাদের নার্ভ সিস্টেমকে মজবুত করে।
- তিতা করলা ভাইরাস জনিত রোগ যেমনঃ ফ্লু এবং হেপাটাইটিস প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যকরী।
আরও পড়ুনঃ শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা
- দাঁতের মাড়ি মজবুত এবং মুখের জীবাণু দূর করতে তিতা করলার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
- তিতা করলায় থাকা আয়রন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তস্বল্পতা কমায়।
- করলা পিত্ত থলির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পিত্ত থলির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- তিতা করলা আমাদের শরীরের অ্যাসিড-ক্ষারীয় ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।
- তিতা করলা আমাদের শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা অ্যাজমা রোগীদের জন্য ব্যাপক উপকারী হয়ে থাকে।
তিতা করলার অপকারিতা
তিতা করলার অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি বিষয়ের খারাপ দিক রয়েছে, তার সাথে ভালো বিষয়গুলো আমরা ভালোভাবে ব্যবহার এবং মানতে পারি কিন্তু সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে তেমন একটা আলোচনা করতে চাই না। আমাদের শরীর ভালো রাখতে ভালো এবং মন্দ দুইটি দিক হিসাব করে চলা উচিত।
তিতা করলা বেশি পরিমাণে খেলে পেট ব্যথা, গ্যাস ও বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত তিতা হওয়ার কারণে অনেকের বমি ভাব ও ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি হজম করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। তিতা করলায় থাকা উপাদান আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমিয়ে দিতে পারে, যা অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ।
আরও পড়ুনঃ ধনে পাতার ২০টি আশ্চর্য উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা
তিতা করলা অতিরিক্ত শর্করা কমিয়ে দিতে পারে, যা পর্যাপ্ত খেলে সমস্যা হয় না। গর্ভাবস্থায় তিতা করলা খাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। আপনার শরীরে যদি করলা অ্যালার্জির সৃষ্টি করে, সে ক্ষেত্রে এটি খাওয়া বাদ দিতে হবে। শিশুদের জন্য তিতা করলা ভালোভাবে সহ্য নাও হতে পারে, এ ক্ষেত্রে খুবই কম পরিমাণে দেওয়া উচিৎ।
করলার জুস খাওয়ার নিয়ম
করলার জুস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে চলুন বেশ কিছু বিষয় জেনে নেই। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, করলা খুবই তিতা একটি সবজি। তিতা সবজির জুস খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকে কল্পনাও করতে পারেন না। এই তিতা সবজি যদি আপনার শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে তিতা স্বাদ কোন বিষয় হবে না। করলা তিতা হলেও এর গুণ অনেক বেশি।
খালি পেটে অল্প পরিমাণে পান করাঃ আপনি যদি খালি পেটে করলার জুস পান করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার শরীর থেকে টক্সিন বের করতে খুবই সাহায্য করবে। সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ গ্রামের বেশি করলার জুস পান করা উচিত হবে না। করলার জুস অতিরিক্ত তিতা হওয়ায় এটি আপনার পেটে অসস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করাঃ করলার তিক্ততা কমাতে লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি করলার তিক্ত স্বাদ কমাবে এবং জুসের কার্যকারিতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সপ্তাহে নির্দিষ্ট হারে পান করাঃ আপনি যদি করলার জুস প্রতিদিন পান করেন, সে ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন পান করা উচিত। মনে রাখবেন, করলার জুস বেশি খেলে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে।
করলার অপকারিতা
করলার অপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। করলায় রয়েছে প্রচুর উপকারী উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। করলার এত উপকারী বিষয়ের সাথে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, পরিমিত পরিমাণে করলা খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
- বেশি পরিমাণে করলা খেলে পেটে গ্যাস ও অস্বস্তি তৈরি হতে পারে, যা হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- বেশি পরিমাণে করলা খেলে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে, যা শরীরের জন্য মারাত্মক হিসেবে দেখা হয়।
- করলার উপাদান অতিরিক্ত গ্রহণ করলে হৃৎস্পন্দনের সমস্যা হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে করলা খেলে পিত্ত থলির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- বেশি পরিমাণে করলা খেলে পেশীর দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
- করলা বেশি খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- অতিরিক্ত করলা খাওয়া পেটে অ্যাসিডিটি তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে করলা খেলে রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে যায়, যা শরীরের জন্য সমস্যার কারণ।
- বেশি করলা খেলে কিছু মানুষের শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- বেশি করলা খেলে মানসিক অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে যাদের স্বাদের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য।
- করলা বেশি খেলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন বেশি হয়ে যেতে পারে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ।
- আপনি যদি বেশি পরিমাণে করলা খান, সে ক্ষেত্রে শরীরের প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত করলা খেলে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
- করলা আপনার রক্তে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে যদি আপনি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করেন।
- অতিরিক্ত করলা খাওয়া ও ঠিক মত রান্না না করে খেলে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
লেখকের শেষ কথাঃ করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা
করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম এবং করলা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য পেলাম।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আশা করি আপনি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে, এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url