শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতার ২০টি তালিকা দেখুন

শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। উচ্চ খাদ্য প্রাণ সম্পন্ন সবজি হিসেবে শিমকে আমরা বিবেচনা করে থাকি।

শিমের-স্বাস্থ্য-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

শিমের বিভিন্ন উপকারী ও অপকারী বিষয়ের সাথে আজ আমরা আরও আলোচনা করব, শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃ শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা 

শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা 

শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, শীতকালীন সবজি হিসেবে শিম পরিচিত হলেও বর্তমানে বছরের বিভিন্ন সময়ে শিম পাওয়া যায়। প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান শিমে রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্য অপকারিতায় ব্যাপক কার্যকরী। শিমের উপকারী দিকের সাথে বেশ কিছু অপকারী বিষয়ও রয়েছে। 

শিমের ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা 

  • শিমে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার, যা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। 
  • শিম প্রোটিনের ভালো উৎস, বিশেষ করে যারা নিরামিষাশী তাদের জন্য শিম অত্যন্ত ভালো সবজি।
  • শিমে রয়েছে লো ক্যালোরি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়। 
  • প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান শিমে রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
  • ভিটামিন ও খনিজের একটি ভালো উৎস শিম। 
  • শিমে ফাইবার এবং এন্টি অক্সিডেন্ট থাকায় এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যকরী। 
  • শিমে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • শিম আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • শিম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
  • শিমে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

শিমের ১০টি অপকারিতা 

  • শিম খাওয়ার পর অনেক মানুষের পেটে গ্যাস এবং ফোলা ভাব তৈরি হতে পারে। 
  • কিছু মানুষের শরীরে শিম অ্যালার্জি এর অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট,  চুলকানি এবং ফোলা ভাব তৈরি হতে পারে। 
  • শিমের রয়েছে লেক্টিনস, যা সঠিকভাবে রান্না না করলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 
  • শিমে অক্সালেট পদার্থ থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। 
  • শিমে রয়েছে ফাইটিংঅ্যাসিড, যা আয়রন এবং জিংক এর শোষণ কমাতে পারে। 
  • শিম বেশি খেলে কিছু মানুষের রক্তে শর্করার মাত্রা খুব কমে যেতে পারে।
  • উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবারের সাথে শিম খেলে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যেতে পারে। 
  • শিম খাওয়ার পর কিছু মানুষের পেটে হজমের সমস্যা হতে পারে, যার ফলে ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা দেখা দিতে পারে। 
  • শিম বেশি খেলে মানুষের মেটাবোলিজমে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • শিমে থাকা কিছু উপাদান বিপাক প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা শরীরের শক্তি উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে। 

শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা 

শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। শুকনো শিমের বিচি আমাদের খাদ্য তালিকা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। শুকনো শিমের বিচি রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আমাদের দেশে খুব রয়েছে। অনেকে আবার এই শিমের বিচি ভেজে খেতে খুবই পছন্দ করেন।

শিমের বিচি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, যা আমাদের শরীরের টিস্যু মেরামত এবং তৈরিতে সাহায্য করে। প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান শিমের বিচিতে রয়েছে, যা আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শিমের বিচিতে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। 

এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে শিমের বিচির ব্যাপক সুনাম রয়েছে। শিমের বিচি পরিমিত পরিমাণে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। শিমের বিচিতে থাকা উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে। শিমের বিচি শুকানোর পর এটি ডালে পরিণত হয়ে যায় এবং এর পুষ্টি উপাদান আরও কার্যকর হয়। 

শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম 

শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। শিমের বিচি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। শিম যখন খাওয়ার উপযোগী হয় তখন বিচি খুবই নরম থাকে। আর একটু বয়স হলে শিমের বিচি শক্ত হয়ে যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে শিমের বিচির শক্ততার উপর এর টেস্ট পরিবর্তন হয়। খুবই টেস্ট ফুল ও জনপ্রিয় একটি সবজি বিচি হল শিমের বিচি। 

শিমের বিচি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে। প্রথমে আপনি শিমের বিচি খুব ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। তারপর কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সিদ্ধ করে বা ভাপিয়ে রান্না করতে হবে। আপনি যদি ভালোভাবে সিদ্ধ না করেন, সে ক্ষেত্রে ভেতরের লেক্টিন্স এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ দূর হবে না। সেদ্ধ করার সময় লবণ ও হালকা মসলা ব্যবহার করা যেতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ মুলার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

সেদ্ধ করা শিমের বিচি আপনি চাইলে ডালের মতো রান্না করে খেতে পারেন আবার অন্য সবজির সাথে মিশিয়েও রান্না করে খেতে পারেন। শিমের বিচি খাওয়ার সময় অবশ্যই পরিমাণ বুঝে খেতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ শিমের বিচি একদিনে খাওয়া নিরাপদ। শিশুদের ক্ষেত্রে ৫০ গ্রামের নিচে খাওয়া উচিত। এর বেশি শিমের বিচি খেয়ে যদি কোন স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হন, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

শিমের বিচিতে কি ভিটামিন থাকে 

শিমের বিচিতে কি ভিটামিন থাকে এ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রচুর ভিটামিনের উৎস হিসেবে শিমের বিচি প্রচলিত। শিমের বিচি যে অবস্থাতেই খান না কেন তাতে ভিটামিনের কোন তারতম্য হয় না। একদম নরম থেকে শুকনা শক্ত অবস্থা পর্যন্ত শিমের বিচি খাওয়া যায় এবং এর ভিটামিনের পরিমাণ অক্ষুণ্ণ থাকে।

শিমের বিচিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি ভিটামিন এ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমকে উন্নত করে থাকে। একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ভিটামিন সি বেশ সমাদৃত। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

আরও পড়ুনঃ বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

শিমের বিচিতে কিছু পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও শিমের বিচিতে রয়েছে বেশ কিছু মিনারেল, যা আমাদের শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে ব্যাপক সহায়তা করে। শিম খাওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, পরিমাণের বেশি যেন না খাওয়া হয়। আপনাদেরকে আবারও বলে রাখি, বেশি ভিটামিন গ্রহণ করাও কিন্তু বেশ বড় সমস্যার কারণ। 

শিমের বিচি খাওয়ার উপকারিতা 

শিমের বিচি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, শিমের বিচি আমাদের দেহের খাদ্য পুষ্টির অভাব পূরণ করে। আমাদের দেহে ভিটামিনের অভাব দূর করে এবং বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক হয়। শিমের বিচিতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সহ অন্যান্য উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। 

শিমের-বিচি-খাওয়ার-উপকারিতা

শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, যা মাংসের ভালো বিকল্প হিসেবে পরিচিত। যারা নিরামিষ ভোজী তাদের জন্য শিমের বিচি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। শিমের বিচি হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আপনাদের যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, সে ক্ষেত্রে শিম হতে পারে ভালো বিকল্প।   

শিমের বিচি আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে থাকে। শিমের বিচিতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে শিমের বিচি খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গিয়েছে এবং খারাপ কোলেস্টেরল শরীর থেকে দূর হয়ে গিয়েছে।

শিমের বিচি ভাজা খাওয়ার উপকারিতা 

শিমের বিচি ভাজা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, শিম যখন শুকিয়ে যায় তখন শিমের বিচি অনেক শক্ত হয় এবং ভেজে খাওয়ার উপযোগী হয়। শিমের বিচি যদি শক্ত না হয়, সে ক্ষেত্রে ভেজে খাওয়া সম্ভব হয় না। শিমের বিচি শুকানোর পর এর উপরিভাগের চামড়াটা খুবই শক্ত হয়ে থাকে। শিমের বিচি ভেজে খেলে শরীরে ব্যাপক উপকারিতা পাওয়া যায়।

শিমের বিচি স্বাস্থ্যকর ও স্নাক্স হিসেবে ভেজে খাওয়া যায়। শিমের বিচি ভেজে খেলে এটি বেশ শক্ত হয়ে থাকে। ভাজা শিমের বিচি খেলে দাঁতের জন্য বেশ ভালো হয়। বেশি শক্ত হওয়ার কারণে ভালো দাঁতের ব্যায়াম হয়ে যায়। শক্ত শিমের বিচি চিবিয়ে খাওয়ার কারণে মাথার ভেতরে জ্যাম ছুটে যায় এবং মাথায় ফ্রেশ অনুভূতি হয়।

আরও পড়ুনঃ পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক কি

শিমের বিচি ভেজে খেলে প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর চর্বিও আমরা পেতে পারি। ভাজা শিমের বিচি আমাদের অ্যানার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয় এবং ক্ষুধা অনুভূতি কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের মসলা যোগ করে ভাজা শিমের বিচি রান্না করে খেলে আরও ব্যাপক সুস্বাদু হয় ও পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

শিমের বিচি কোন ধরনের খাদ্য 

শিমের বিচি কোন ধরনের খাদ্য এ সম্পর্কে এখন আমরা বেশ কিছু তথ্য জানব। শিমের বিচি একটি আদর্শ ও শক্তিশালী খাদ্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ ডাল। শিমের বিচি তখনই ডাল এ রূপান্তরিত হয় যখন এটি শুকিয়ে যায়। শিমের বিচি পরিপক্ব অবস্থায় রান্না করে পাওয়া যায়। খাদ্য হিসেবে শিমের বিচি খুবই শক্তিশালী এবং সুস্বাদু একটি খাবার। 

শিমের বিচি হল একটি পুষ্টিকর উদ্ভিজ্জ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য। শাকসবজির মধ্যে শিমের বিচি জনপ্রিয় একটি উপাদান, যার মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং উপকারী। শিমের বিচিতে আরও রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। 

আরও পড়ুনঃ শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা কি

শিমের বিচি আমাদের শরীরের পেশি গঠনে বেশ সহায়ক হয়ে থাকে। শিমের বিচি খেলে আমাদের শরীরের কোষের কার্যকারিতা উন্নত হয়। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হওয়ার কারণে এটি যারা আমিষ খান না তাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং উপকারী হিসেবে পরিচিত। শিমের বিচি খেলে আমাদের শরীর রোগ মুক্ত থাকে। শরীর থেকে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। 

শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে 

শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে এ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। আমরা অনেকে ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই চেষ্টা করি আবার অনেকে ওজন কমানোর জন্য পাগল হয়ে যাই। শিমের বিচি কোন ক্ষেত্রে কার্যকর এ বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট বুঝতে হলে এই বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। 

শিমের-বিচি-খেলে-কি-ওজন-বাড়ে

প্রথমে আমি আপনাদেরকে বলতে পারি, শিমের বিচি সাধারণত ওজন বাড়ায় না বরং এটি নিয়ন্ত্রিত ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখে এবং ক্ষুধা অনুভূতি কমিয়ে দেয়। আপনারা জানেন ক্ষুধা অনুভুতি যদি কম হয়, সে ক্ষেত্রে কম খাবার গ্রহণ করা হবে, পক্ষান্তরে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হবে। 

আপনি যদি বেশি পরিমাণে শিমের বিচি খান, সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। শিমের বিচিতে রয়েছে অল্প ফ্যাট ও প্রচুর প্রোটিন, যা আমাদের হাড়ের গঠনে ও পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। ওজন বাড়ানোর জন্য যদি আপনি বেশি পরিমাণে শিমের বিচি খান, আপনার শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। পরিমিত পরিমাণে শিমের বিচি খেলে সব সময়ের জন্য আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

গর্ভকালীন সময়ে শিমের বিচি খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভকালীন সময়ে শিমের বিচি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানতে চলেছে। গর্ভকালীন সময়ে আমাদের মায়েদের শরীরে প্রচুর খাদ্য পুষ্টির প্রয়োজন হয়। শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর খাদ্য পুষ্টি সম্পন্ন উপাদান, যা আমাদের মায়েদের গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে পারে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। 

গর্ভকালীন সময়ে শিমের বিচি একটি আদর্শ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য। শিমের বিচিতে রয়েছে আয়রন এবং ফোলেট, যা গর্ভবতী মায়ের রক্তস্বল্পতা ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। শিমের বিচিতে থাকা আয়রন ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধিতে বেশ ভূমিকা রাখে। শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা গর্ভবতী মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। 

শিমের বিচিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং প্র‍ি এক্লাম্পসিয়া প্রতিরোধ করতে সহায়ক হয়। শিমের বিচি প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট হওয়ায় ভ্রূণের সুরক্ষায় এটি বেশ সহায়তা করে থাকে এবং মায়ের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত শিমের বিচি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

লেখক এর শেষ কথাঃ শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা 

শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম এবং এই বিষয়টি বুঝতে পারলাম যে, পরিমিত পরিমাণে শিম খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আশা করি আপনি শিম সম্পর্কে ভালো জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত এই ওয়েবসাইট টি ভিজিট করলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে, এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url