জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার আগে জেনে নিন

জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত তথ্য জানতে চলেছি। শীতকালীন টক জাতীয় ফল হিসেবে জলপাইয়ের বহুল ব্যবহার আমাদের দেশে রয়েছে। 

জলপাইয়ের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

জলপাইয়ের উপকারি ও অপকারি দিক সহ আজ আমরা আরো জানবো, গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়ার উপকারিতা। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক।

পেজ সুচি পত্রঃ জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা 

জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা 

জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, জলপাই অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। সাধারণত শীতের সময় টক জাতীয় ফল হিসেবে জলপাইয়ের অত্যন্ত গুরুত্ব ও ব্যবহার রয়েছে। প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে জলপাই আমাদের দেহে ভালো ভূমিকা পালন করে। এই জলপাই বিভিন্নভাবে আমরা খেয়ে থাকি। 

জলপাই খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সহায়ক হয়। জলপাইয়ে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা আমাদের রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জলপাই ফল হওয়ায় এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অন্যান্য এটি অক্সিডেন্ট উপাদান। জলপাই খেলে আমাদের শরীরের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। 

জলপাই খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সহায়ক হয়। জলপাইয়ে প্রচুর ফাইবার উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়। জলপাইয়ে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম থাকে, অতিরিক্ত খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। জলপাই প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহৃত হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় জলপাইয়ের উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় জলপাইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন শারীরিক পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে পারে জলপাই। ভিটামিন, মিনারেল, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকায়, জলপাই হতে পারে গর্ভকালীন সময়ে একটি ভালো ফল। জলপাই কাঁচা ও পাকা উভয়ভাবেই খাওয়া যেতে পারে। 

জলপাইয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গর্ভবতী মায়ের শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা গর্ভাবস্থায় খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি কমিয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। জলপাইয়ে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান থাকায়, মা ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বিভিন্ন শারিরিক কোষ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। জলপাইয়ে প্রচুর আয়রন রয়েছে, যা গর্ভবতী মায়ের শরীরে রক্ত উৎপাদনে সহায়ক হয়। 

গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পরিমিত পরিমাণ জলপাই খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক হয়। জলপাইয়ে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকায় গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর হাড়ের গঠন ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে। জলপাই খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

সিদ্ধ জলপাইয়ের উপকারিতা 

সিদ্ধ জলপাইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত বা কাঁচা জলপাইয়ের তুলনায় সিদ্ধ করে খেলে কিছু বাড়তি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। জলপাই সিদ্ধ করে খেলে হজমের ক্ষেত্রে বেশ সহজ হয়। অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে সিদ্ধ জলপাই খেলে এ জাতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। 

জলপাইয়ে প্রচুর সোডিয়াম রয়েছে, জলপাই যদি সিদ্ধ করা হয়, সে ক্ষেত্রে সোডিয়াম এর পরিমাণ কমে যায়, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করতে পারে। জলপাইয়ের মধ্যে হালকা তিতাযুক্ত স্বাদ রয়েছে, সিদ্ধ করার কারণে এই স্বাদ চলে যায় এবং খেতে ভালো হয়। জলপাই সিদ্ধ করার কারণে জলপাইয়ের মধ্যে যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়। 

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা

জলপাই যদি প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে লবণ যোগ করা হয়ে থাকে। আপনি যদি কাঁচা জলপাই কিনে সিদ্ধ করে খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার বাড়তি সোডিয়ামের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। জলপাইয়ে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ ও ক্ষত সারাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।   

জলপাই কোন মাসে পাওয়া যায় 

জলপাই কোন মাসে পাওয়া যায় এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, জলপাইয়ের মৌসুম নির্ভর করে কোন অঞ্চলে জলপাই উৎপাদন হচ্ছে তার উপর। জলপাই সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ও উষ্ণ এলাকায় হয়, তবে ফল সংগ্রহ শুরু হয় শীতকালীন সময়। ছয় ঋতুর দেশ হওয়ায় আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালে জলপাই পাওয়া যায়। 

ভারতীয় উপমহাদেশ ও আমাদের দেশে জলপাইয়ের মৌসুম ধরা হয় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। যে সমস্ত জলপাই গাছে অনেক আগে ফল আসা শুরু হয় সে সমস্ত ফল আমরা নভেম্বরে পেতে পারি। জলপাইয়ের জাত ও স্থানভেদে এই ফলটি আমরা বিভিন্ন সময়ে পেতে পারি। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে জলপাই সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এই সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুনঃ পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা 

সাধারণত জলপাই কাঁচা ও পাকা অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। জলপাই যদি পেকে যায়,  সে ক্ষেত্রে এর তিতা স্বাদ চলে যেয়ে টক মিষ্টি সুন্দর একটি স্বাদ তৈরি হয়। আমরা বাজারে বা যে কোন স্থান থেকে জলপাই সংগ্রহ করতে পারি। আমাদের দেশে জলপাইয়ের মৌসুমে প্রচুর জলপাই পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন জলপাই আচার করে রেখে খাওয়ার মত একটি ফল। 

জলপাই আচারের উপকারিতা 

জলপাই আচারের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, জলপাই আচার শুধু স্বাদেই নয়, এর বেশ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। জলপাই আচার তৈরি করলে জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও খাদ্য উপাদান অটুট থাকে। জলপাই আচার আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়াতে সহায়ক হয়। জলপাই আচার বিভিন্নভাবে আমরা খেয়ে থাকি। 

জলপাই-আচারের-উপকারিতা

সাধারণত প্রচুর মসলা ও তেল দিয়ে জলপাই আচার তৈরি করা হয়। জলপাইয়ে রয়েছে ফাইবার জাতীয় উপাদান, যা আমাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে দেয়। জলপাই থেকে আমরা প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান পেতে পারি। ভিটামিন ই জলপাই আচারে পাওয়া যায়। জলপাই আচার স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর হওয়ায় এটি আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

খাবারের সাথে অথবা সরাসরি জলপাই আচার খেলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। জলপাই আচারে যখন সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে, তখন এটি খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হবে এবং এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বেশ সহায়ক। জলপাই আচার তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অতিরিক্ত লবনের ব্যবহার কমাতে হবে। 

কাঁচা জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ 

কাঁচা জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে, কাঁচা জলপাই স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এই ফলে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। প্রত্যেকটি খাবার বা ফল নিয়ন্ত্রিতভাবে গ্রহণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। জলপাই তে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা নিম্নে উপস্থাপন করছি। 

ফ্যাটঃ  কাঁচা জলপাইয়ে মোনোআনসেচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়।
ভিটামিন ইঃ কাঁচা জলপাইয়ে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি আমাদের ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
ফাইবারঃ কাঁচা জলপাই ফাইবারে ভরপুর, যা আমাদের হজম শক্তি উন্নত করতে পারে।
আয়রনঃ জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও রক্ত বৃদ্ধি করে।
ক্যালসিয়ামঃ মানবদেহের হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে ক্যালসিয়াম ভালো ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন এঃ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল জলপাই হওয়ায়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পটাশিয়ামঃ জলপাইতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীর ভালো রাখে।
ম্যাগনেসিয়ামঃ মানবদেহের মাংসপেশির কার্যকারিতা ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ম্যাগনেসিয়াম কাজ করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা

কাঁচা জলপাই খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে চর্বি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজম শক্তি উন্নত করা সহ পেটের অন্যান্য সমস্যা দূর করে। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে জলপাই ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। জলপাই যদি রান্না করে খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে পুষ্টি উপাদানের কোন ঘাটতি হয় না বরং তা শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়। 

জলপাইয়ের অপকারিতা 

জলপাইয়ের অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, জলপাই টক স্বাদযুক্ত একটি ফল, যার মধ্যে কিছুটা তিতা স্বাদ রয়েছে। জলপাই অনেকের পেটে সহজে হজম হয় না এবং এসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এক একজনের শরীরে এক এক রকম ক্রিয়া করে জলপাই। অপরিমিত পরিমানে জলপাই খেলে শরীরে বেশ অপকারিতা দেখা যায়। 

জলপাইয়ে সোডিয়াম এর মাত্রা বেশি পরিমাণে থাকায়, বেশি পরিমাণে জলপাই খেলে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কিছু কিছু ব্যক্তির শরীরে জলপাই এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে, সে ক্ষেত্রে ত্বকে চুলকানি বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি ওঠা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে। কিছু কিছু ব্যক্তির শরীরে হজমের সমস্যা দেখা দেয় জলপাই খেলে। 

আরও পড়ুনঃ ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা

বেশি পরিমাণে জলপাই খেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের ক্ষেত্রে জলপাই পরিমিত হারে খেতে হবে। আমাদের দেশে জলপাই প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়ার বেশ প্রচলন রয়েছে, সে ক্ষেত্রে কিছু মেডিসিনের প্রভাব ও মসলার সমস্যার কারণে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। জলপাই খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার শরীর বুঝে খেতে পারেন। 

জলপাই খাওয়ার নিয়ম 

জলপাই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে জলপাই খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতা ভালো পাওয়া যায়। জলপাই খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় আপনাকে জানতে হবে ও আপনার শরীরের কার্যকারিতা বুঝতে হবে। আপনার যদি অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জলপাই খেতে হবে। 

জলপাই-খাওয়ার-নিয়ম

জলপাই খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ টি জলপাই খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে। আমরা বাজারে বা বিভিন্ন দোকানে সুন্দর করে সাজানো জলপাইয়ের আচার দেখতে পাই। এই সমস্ত প্রক্রিয়াজাত করা আচার খাওয়ার আগে অবশ্যই মান যাচাই করে খেতে হবে। 

জলপাই সালাদ ও পিৎজার মধ্যে ব্যবহার করা হয়, এতে খাবারের স্বাদ ভালো হয় এবং ভালো পুষ্টি যোগায়। জলপাই যদি মসলার সাথে মিশিয়ে ও আচার তৈরি করে খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা বৃদ্ধি পায় কিন্তু মসলার মান ঠিক রাখতে হবে। যারা ডায়েট মেন্টেইন করে চলেন, তাদের ক্ষেত্রে জলপাই নিয়ম মেনে বুঝেশুনে খেতে হবে। 

জলপাইয়ে কত কিলো ক্যালরি থাকে 

জলপাইয়ে কত কিলো ক্যালরি থাকে এ সম্পর্কে বলতে গেলে, জলপাই একটি ভালো ক্যালরিযুক্ত ফল। জলপাইয়ে প্রচুর খাদ্য শক্তি রয়েছে, যা আমাদের বিভিন্ন শারীরিক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং দেহকে অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। জলপাইয়ে থাকা খাদ্য শক্তি বিশ্লেষণ করে একটি আনুমানিক কিলোক্যালরি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। 

১০০ গ্রাম জলপাইয়ে আপনারা ৭০ কিলো ক্যালরি পেতে পারেন, তার সাথে কমবেশি ১০ ভাগ শর্করা পাবেন। কম বেশি ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পেতে পারেন, তার সাথে ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম থাকতে পারে। এটি একটি আনুমানিক জলপাইয়ের কিলোক্যালরি হিসাব। সঠিক হিসাবের ক্ষেত্রে কিছুটা কম বেশি হতে পারে। 

জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ের সাথে কিলো ক্যালরির হিসাবটা আমরা জেনে নিলাম। জলপাই আমাদের শরীরে বিশেষ করে যাদের পিত্ত থলিতে পাথর রয়েছে তাদের পিত্তরস সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়ক হয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে জলপাই বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। 

লেখকের শেষ কথাঃ জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা 

জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম। পরিমিত পরিমানে জলপাই খেলে শারীরিক খুব একটা সমস্যা হয় না, তার বিপরীতে প্রচুর উচ্চমানের খাদ্য পুষ্টি উপাদান আমরা পেতে পারি। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আপনারা আশা করি সঠিক তথ্য পেয়েছেন ও বেশ উপকৃত হয়েছেন। এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করলে বিভিন্ন তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url