আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় | কিশোরীদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় এ বিষয়ে আজ আমরা বিস্তারিত জানতে চলেছি। আয়রন ট্যাবলেট সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য সম্পর্কেও আজ আমরা আলোচনা করব। 

আয়রন-ট্যাবলেট-খেলে-কি-মোটা-হয়

আয়রন ট্যাবলেটের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে, কিশোরীদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও আজ আমরা আলোচনা করব। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় 

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় 

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, আমাদের দেশে যে সমস্ত মায়েরা নিয়মিত জন্মবিরতিকরণ পিল খেয়ে থাকেন, তাদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হয়। আবার প্রেগনেন্সির সময় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চিকিৎসকরা আয়রন ট্যাবলেট সাজেস্ট করে। স্বাভাবিকভাবে মায়েদের এজাতীয় সময়ে শরীর মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকে মনে করেন, এটি আয়রন ট্যাবলেটের প্রভাব। 

আয়রনের অভাবে পুরুষদেরও আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আয়রন ট্যাবলেট মানবদেহে মোটা হওয়ার জন্য যে সমস্ত বিষয় রয়েছে, তার সাথে সামঞ্জস্য নয় অর্থাৎ আয়রন ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই, তবে আয়রন ট্যাবলেট খেলে ক্ষুধা চাহিদা বৃদ্ধি পায়। 

আয়রন ট্যাবলেট খেলে মানুষ প্রচুর খাওয়া দাওয়া করে থাকে। তিন বেলা পেট ভরে ভাত খাওয়া ও রাতে ভালো ঘুম হলে মানুষের শরীর এমনিতেই মোটা হয়ে যায়। এই মোটা হওয়ার জন্য আয়রন ট্যাবলেট কোনভাবেই ইফেক্ট করে না। এজন্য বলা যেতে পারে, আয়রন ট্যাবলেট সরাসরি আমাদের শরীর মোটা করেনা, কিন্তু মোটা হওয়ার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। 

কিশোরীদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম 

কিশোরীদের আয়রন ট্যাবলেট  খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, আমাদের দেশের মেয়েরা সাধারণত কিশোরী হওয়ার পর থেকে রক্তস্বল্পতা ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। এ কারণে দেশের কিশোরীদের খাদ্য ও পুষ্টির অভাব পূরণ করতে বিদ্যালয় গুলোতে সরকারি ভাবে সপ্তাহে একটি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। 

কিশোরীদের মাসিক জনিত কারণে রক্তাল্পতা ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব স্বাভাবিকভাবে হয়। এ জাতীয় সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকরা আয়রন ট্যাবলেট সাজেস্ট করে থাকেন। আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার শরীরের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই আয়রন ট্যাবলেট খাবেন না।  

আয়রন ট্যাবলেটের ভালো গুনাগুন পেতে, প্রতিদিন ১টি ট্যাবলেট রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া যেতে পারে। অনেকে দুপুরে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে থাকেন। আবার অনেকে সকালে খালি পেটে আয়রন ট্যাবলেট খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এ বিষয়েও বলে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে ঘুমানোর আগে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।

আয়রন ট্যাবলেট কেন খায় 

আয়রন ট্যাবলেট কেন খায় এ বিষয়ে বলতে গেলে, সাধারণত আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া হয়। আয়রন ট্যাবলেটে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ আয়রন রয়েছে। আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং এমিনিয়া থেকে রক্ষা করে থাকে। আয়রন ট্যাবলেট সাধারণত মেয়েরা খেয়ে থাকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছেলেদেরকেও খেতে দেখা যায়। 

শরীরে স্বাভাবিকভাবে নারীদের ক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১ মিলিগ্রাম বা এর কম হলে সাধারণত আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার কথা চিকিৎসকরা সাজেস্ট করে থাকেন। অনেক মেয়ের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দেয়, যার কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গও দেখা দেয়। 

 আরও পড়ুনঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়

কিশোর কিশোরীদের যখন শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বিকাশের সময় হয়, তখন আয়রনের চাহিদা বেড়ে যায়। খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে আয়রনের অভাব পূরণ করা গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হয়। অনেক সময় শারীরিক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা আঘাত জনিত কারণে প্রচুর রক্তপাত ঘটে, যার কারণে রক্তের অভাব দেখা দেয় এবং এই সময় আয়রন ট্যাবলেট চিকিৎসকরা সাজেস্ট করে থাকেন। 

আয়রন ট্যাবলেট কতদিন খেতে হয় 

আয়রন ট্যাবলেট কতদিন খেতে হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, এই বিষয়টা নির্ভর করে শরীরে আয়রনের ঘাটতির মাত্রা এবং কি কারনে আয়রনের ঘাটতি হয়েছে তার ওপর। আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় এই বিষয়ের সাথে সাধারণত রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে ও রক্তস্বল্পতা কমাতে বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত চিকিৎসক আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য বলে থাকেন।

স্বাভাবিকভাবে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার কথা চিকিৎসকরা বলে থাকেন। শারীরিক যে সমস্যার কারণে আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করা হয়, সে সমস্যা ভালো হয়ে যাওয়ার পরও কিছুদিন আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হয়, কারণ এতে শরীরের আয়রনের স্তর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যায়। 

 আরও পড়ুনঃ অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ বিস্তারিত জানুন

কিছু গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ গর্ভকাল আয়রন ট্যাবলেট খেতে হয়। কিশোরী ও নারীদের মাসিক সমস্যার কারণে ৩ মাস পর্যন্ত নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন। আয়রন ট্যাবলেট চলাকালীন চিকিৎসক শরীরের বিভিন্ন বিষয় চেক করে সময় নির্ধারণ করেন যে, কতদিন আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া লাগতে পারে। 

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি হয় 

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, আয়রন ট্যাবলেট শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সাহায্য করে। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে। আয়রনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেলে শরীর শক্তিশালী ও কর্মক্ষম হয়। আরো কিছু  নেতিবাচক বিষয় চলুন জেনে আসি। 

আয়রন-ট্যাবলেট-খেলে-কি-হয়
কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের সমস্যাঃ আয়রন ট্যাবলেট খেলে অনেকের ক্ষেত্রে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বমি বমি ভাবঃ কিছু মানুষের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর বমি ভাব ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ধাতব স্বাদঃ আয়রন ট্যাবলেট খেলে মুখে মেটালিক স্বাদ অনুভূত হতে পারে।
ডায়রিয়ার সমস্যাঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আয়রন ট্যাবলেট সেবনের কারণে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মলের রং কালো হয়ে যাওয়াঃ আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে মলের রং কালো হতে পারে, এতে ভয়ের কিছু নেই।
অতিরিক্ত আয়রনের প্রভাবঃ দীর্ঘদিন আয়রন গ্রহণ করলে শরীরে আয়রন জমে যেতে পারে, যার কারণে লিভার বা হার্টের ক্ষতি হতে পারে। এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি পায়খানা কালো হয়

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি পায়খানা কালো হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, হ্যাঁ আয়রন ট্যাবলেট খেলে মলের রং কালো হতে পারে। এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়, এতে চিন্তার কিছু নেই। আয়রন ট্যাবলেট শরীরে সম্পূর্ণ শোষিত না হওয়ার কারণে বাকি অংশ মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, যার রং কাল বা গাড়ো রঙের হতে পারে। 

আয়রন ট্যাবলেট খেলে পায়খানা কালো হতে পারে, এটা স্বাভাবিক কিন্তু যদি রক্ত পড়া বা এজাতীয় কোন লক্ষণ দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, শারীরিক ইন্টার্নাল রক্তক্ষরণের কারণে পায়খানার মাধ্যমে রক্ত পড়া বা এজাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। 

 আরও পড়ুনঃ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায়

আপনার যদি শারীরিক অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কোন সমস্যা অনুভূত না হয়, সে ক্ষেত্রে পায়খানার রং কালো হওয়া স্বাভাবিক হিসেবে নিতে পারেন। আয়রন ট্যাবলেট খাওয়াকালীন সময়ে সাথে ভিটামিন সি খেলে আয়রন ট্যাবলেট শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়, যার কারনে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়রন মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা কম হতে পারে। 

আয়রন ট্যাবলেট এর নাম 

আয়রন ট্যাবলেট এর নাম বিষয়ে বলতে গেলে, বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের আয়রন ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় কিছু আয়রন ট্যাবলেট এর নাম উপস্থাপন করব, সাথে বিদেশি কিছু আয়রন ট্যাবলেট এর বিষয়ে আমরা জানব। চলুন, বিভিন্ন আয়রন ট্যাবলেট সম্পর্কে জেনে আসি। 

বাংলাদেশে পাওয়া কিছু সাধারণ আয়রন ট্যাবলেট এর মধ্যে রয়েছে, ফেরোসিন (Ferrocin), সাঙ্গবিয়ন (Sangobion), ফেজিন (Fezin), হিমোফোর্ট (Hemofort), ফেরোট্রেড (Ferrotrade), ফিরসলেট (Fersolate), গ্লোবিফার (Globifer), মেলটোফার (Meltofer) ইত্যাদি। নিজের মত করে এজাতীয় ট্যাবলেট ব্যবহার না করে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।

আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহৃত কিছু আয়রন ট্যাবলেট এর মধ্যে রয়েছে, ফেরোস সালফেট (Ferrous Sulfate), ফেরোগ্রাড সি (Ferrograd C), স্লোফি (Slow fe), ফ্লোরাডিক্স (Floradix), ফেরেটস (Ferretts), টারডিফেরণ (Tardyferon) ইত্যাদি। দেশি হোক বা বিদেশি যেই ট্যাবলেট ই গ্রহণ করেন না কেন, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে।      

আয়রন ট্যাবলেট কখন খেতে হয় 

আয়রন ট্যাবলেট কখন খেতে হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক সময় ও পদ্ধতি, শারীরিক আয়রনের শোষণ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমিয়ে দিতে পারে। বিভিন্ন চিকিৎসক আপনার শরীরের বিভিন্ন বিষয়কে পর্যালোচনা করে সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন, তবে স্বাভাবিকভাবে নিম্নের এই বিষয়গুলো মেনে চলা ভালো। 

আয়রন-ট্যাবলেট-কখন-খেতে-হয়
খালি পেটে খাওয়াঃ আয়রন ট্যাবলেটের গুনাগুন পেতে খালি পেটে খাওয়ার কথা চিকিৎসকরা বলে থাকেন, এতে ট্যাবলেটের ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
ভিটামিন সি এর সাথে খাওয়াঃ আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার সাথে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়।
ধারাবাহিকতা রক্ষা করাঃ যতক্ষণ পর্যন্ত শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ যদি কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যেমন বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের বিভিন্ন সমস্যা ইত্যাদি হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছামত না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেলে শারীরিক অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সহায়ক হতে পারে।

আয়রন ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় 

আয়রন ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, বেশি পরিমাণে এই ট্যাবলেট খেলে শারীরিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। আয়রনের অতিরিক্ত প্রভাব শরীরে বিষাক্ত অনুভূতি দিতে পারে, যা আয়রন টক্সিসিটি হিসেবে পরিচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে, মাত্রাতিরিক্ত আয়রন ট্যাবলেট ব্যবহার বিপদজনক হতে পারে। আরো কিছু বিষয় চলুন জেনে আসি। 

  • আয়রন ট্যাবলেট বেশি খেলে, পেটে ব্যথা ও বমি হতে পারে। 
  • ডায়রিয়ার মত সমস্যা, আয়রন ট্যাবলেট বেশি গ্রহণ করলে দেখা দিতে পারে। 
  • আয়রন ট্যাবলেট বেশি ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। 
  • বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে, যদি আয়রন ট্যাবলেট বেশি খেয়ে ফেলেন। 
  • আয়রন ট্যাবলেট অতিরিক্ত গ্রহণে, লিভার এবং হার্টের ক্ষতি হতে পারে। 
  • আয়রনের বিষক্রিয়া হলে, রক্তচাপ কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। 
  • বেশি পরিমাণে আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ, মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। 

আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণে কোন সমস্যা হলে বা ভুলবশত বেশি আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে ফেললে, সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গুরুতর বিষক্রিয়া হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ভালো চিকিৎসা নিতে হবে। সঠিক ডোজের বাইরে আয়রন ট্যাবলেট না খাওয়া ভালো এবং কোনক্রমেই চিকিৎসকের পরামর্শের বাইরে খাওয়া যাবেনা। 

লেখকের শেষ কথাঃ আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় 

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় এ বিষয় সহ আয়রন ট্যাবলেটের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম, শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আশা করি আপনারা আশানুরূপ তথ্য পেয়েছেন ও উপকৃত হয়েছে। এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে ভুলবেন না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে, এখানেই শেষ করছি।   

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url