চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার, রয়েছে কার্যকরী টিপস
চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আজ আমরা অসাধারণ কিছু তথ্য জানতে চলেছি। চর্ম রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
চর্ম রোগে নিম পাতার বিভিন্ন ব্যবহারের সাথে আজ আমরা বিশেষভাবে জানতে চলেছি, এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় ও তার কার্যকারিতা। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
- চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
- এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- চুলে নিম পাতার ব্যবহার
- খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
- মুখে নিম পাতার ব্যবহার
- তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
- ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
- লেখক এর শেষ কথাঃ চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, চর্ম রোগের চিকিৎসায় দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত একটি প্রাকৃতিক উপাদান নিম পাতা। নিমপাতাতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাল এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি গুনাগুন থাকায়, চর্ম রোগের বিভিন্ন উপসর্গ ধ্বংস করতে বেশ সহায়ক হয়। আমাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার একটি কার্যকরী ভেষজ চিকিৎসা।
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ফাঙ্গাল ইনফেকশন যেমনঃ রিং ওয়ার্ম বা খোশ পাঁচড়া জাতীয় সমস্যা দূর করে দিতে পারে নিম পাতা। আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোধ করতে পারে এই নিমপাতা, কারণ এতে রয়েছে ফাঙ্গাস ধ্বংস করার মত কার্যকরী উপাদান। আমাদের ত্বকের যত্নের অভাবে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়, যা নিমপাতা ব্যবহারে চলে যায়।
আমাদের শরীরে যদি কোথাও ক্ষত হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে নিম পাতার পেস্ট বা তেল ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত সেরে যায় ও দাগ দূর হয়ে যায়। স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার পেস্ট বা তেল ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয় ও ত্বকের উপরিভাগের বিভিন্ন ময়লা ও রোম কুপে জমে থাকা ময়লা দূর করে, যার ফলে ব্ল্যাক হেড জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যায় ও ত্বকের উপরিভাগ কোমল থাকে।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি একটি অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। নিম পাতাতে রয়েছে এন্টিহিস্টামিন, এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণ, যা ত্বকের এলার্জি জনিত প্রদাহ, ফুসকুড়ি ও লাল হয়ে ফুলে যাওয়া রোধ করে। এলার্জির সাথে নিম পাতা আমাদের শরীরের একজিমা জাতীয় সমস্যাও দূর করতে বেশ সহায়ক হয়।
আপনার শরীরে এলার্জি দেখা দিলে নিম পাতা দিয়ে গোসল করতে হবে। কিছু তাজা ও পরিষ্কার নিম পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিন। পানি ঠান্ডা হয়ে এলে এই পানি দিয়ে গোসল করুন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে এলার্জি জনিত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও ফোলা ভাব দূর করতে বেশ সহায়ক হবে। তবে এই পদ্ধতিতে কয়েকদিন গোসল করুন।
বন্ধুগণ, নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করেও আপনারা এলার্জি জনিত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিছু তাজা নিমপাতা নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করুন। আপনার শরীরে যে সমস্ত স্থানে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে, সে স্থানে এটি লাগান। ভালো ফলাফল পেতে দিনে ২ থেকে ৩বার এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
আপনারা যদি নিমপাতা চা তৈরি করে খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে শরীরের ভেতর থেকে এলার্জির বিভিন্ন ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়ক হবে। নিমপাতা চা তৈরি করতে কয়েকটি নিমপাতা কুচি কুচি করে কেটে গরম লাল চায়ের মধ্যে দিয়ে দিন, কিছু সময় নাড়াচাড়া করে ওই চা পান করুন, এতে আপনার শরীর থেকে টক্সিনও দূর হয়ে যাবে।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা বলতে পারি, নিমপাতা একটি চুলকানি নাশক প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী উপাদান হিসেবে আমাদের দেশে বেশ পরিচিত। চুলকানির কারনে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চুলকানির কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে, যার ফলাফল আমাদের দেহের জন্য খুবই খারাপ হয়।
চুলকানির ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার করার জন্য একটি পরিষ্কার বড় হাড়িতে পানি নিতে হবে। তাজা এবং পরিষ্কার ১৫ থেকে ২০টি নিমপাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। এই পানি ঠান্ডা হওয়ার পর তা দিয়ে গোসল করলে আপনাদের শরীরের চুলকানি জাতীয় বিভিন্ন ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে দিবে। নিম পাতার পানি আপনারা যতদিন চুলকানি শরীরে থাকবে ততদিন ব্যবহার করবেন।
আরও পড়ুনঃ জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে সর্ব শরীরে বিশেষ করে যে সমস্ত স্থানে সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে ঘষে ঘষে লাগিয়ে রাখুন। দিনে অন্তত তিনবার ব্যবহার করুন, সে ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাবেন। নিম পাতার তেল আপনারা সরাসরি ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিনের সাথে বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিম তেল সর্ব শরীরে ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাবেন।
চুলে নিম পাতার ব্যবহার
চুলে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, আমাদের মাথার ত্বকে ও চুলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়া নিত্যদিনের বিষয় হিসেবে পরিচিত। আমরা ত্বক ও চুলের যত্ন করার ক্ষেত্রে খুব একটা যত্নবান নই। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন কাজকর্ম ও গবেষণা ও পড়াশোনা নিয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিচর্যা খুব একটা থাকে না এবং বিশেষ করে মাথার ত্বকের সংক্রমণে ভুগে থাকেন।
আমাদের যাদের মাথার ত্বকে খুশকি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে কিছু নিমপাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা হওয়ার পর মাথার ত্বকে ও চুলে ঘষে ঘষে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর চুল ও মাথা ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করতে পারেন, এক্ষেত্রে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে এবং চুল ও মাথার ত্বকের অন্যান্য প্রদাহ ও সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে, তারা সরাসরি নিম পাতার পেস্ট মাথার ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনাদের মাথার ত্বকের ফাঙ্গাস ও অন্যান্য সংক্রমণ দূর হয়ে যাবে। পরিষ্কার নিম পাতা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন এবং চুলের গোড়ায় লাগান। সব সময় চেষ্টা করবেন, নিম পাতা বেটে সাথে সাথে লাগানোর জন্য। নিম পাতার পেস্ট সংরক্ষণ করে ব্যবহার না করাই ভালো।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আমরা বলতে পারি, খালি পেটে নিম পাতার রস পান করলে আপনারা বেশ শারীরিক উপকার পাবেন এবং শরীরের ভেতর থেকে ব্যাকটেরিয়া ও ইনফ্লামেটরি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। নিম পাতার রস শরীরের এন্টিঅক্সিডেন্ট বাড়িয়ে দেয় যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়ে যায়। টক্সিন হল শরীরের ভেতরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ, যার মাধ্যমে রক্ত, চর্বি ও শারীরিক অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজাতীয় সমস্যা, খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে চলে যাবে। আপনি যদি খালি পেটে নিম পাতার রস খান, সে ক্ষেত্রে পাকস্থলী ভালো থাকবে এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে চামড়ার জন্য বেশ উপকারী হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ সহায়ক হয়, তার সাথে ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ দূর করে দেয়। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিম পাতার রস মুখে যাওয়ার সাথে সাথে মুখ ও দাঁতের যে সমস্ত সমস্যা থাকে তা দূর করে দেয়।
মুখে নিম পাতার ব্যবহার
মুখে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, আমাদের মুখের ত্বক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা নিম পাতা দূর করে দিতে পারে। মুখের ত্বকের যত্নে নিমপাতা একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী উপাদান। নিম পাতার রস মুখের অভ্যন্তরীণ ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে দেয়। এজন্য নিম পাতার পেস্ট ত্বকে ব্যবহার ও নিম পাতার রস দিয়ে মুখে কুলকুচি করা বেশ উপকারী হয়ে থাকে।
মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য নিম পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। কিছু ভালো ও তাজা নিমপাতার সাথে বেসন মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে মুখে লাগালে মুখের ত্বকের ব্ল্যাক হেডস এবং হোয়াইট হেডস দূর হয়ে যাবে, এজন্য আক্রান্ত স্থানে এই স্ক্রাব ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। সপ্তাহে অন্তত ২বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ পেঁপের অসাধারণ উপকারিতা ও লুকানো অপকারিতা
নিম পাতার সাথে কিছু গোলাপ জল মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বকের ফুসকুড়ি, বিভিন্ন প্রদাহ দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক হয়। আমরা যারা বাহিরে চলাফেরা করি, আমাদের ত্বকে প্রতিনিয়ত প্রচুর ধুলা ময়লা এসে আটকে যায় এবং দীর্ঘ সময় আটকে থাকার কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। নিম পাতা ব্যবহারে এ সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, আমাদের যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে, আমরা বিভিন্ন ধরনের ত্বক জাতীয় অস্বস্তি ও সমস্যায় ভুগে থাকি। তৈলাক্ত ত্বকে প্রচুর তেল নির্গত হয়, যা আমাদের রোমকূপ গুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয় এবং বাতাস চলাচল রুদ্ধ করে, যার ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন চর্ম রোগ।
চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহারের সাথে তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার একই ফলাফল প্রদান করে। আমরা যদি তাজা নিমপাতা ১০ থেকে ১৫ টি, তার সাথে কিছু মুলতানি মাটি ও সামান্য পানি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করি ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলি, সে ক্ষেত্রে তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রদাহ দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা
তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার রাখতে, নিম পাতা এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের নিম পাতা ফেসপ্যাক তৈরি করতে ১৫ থেকে ২০ টি নিমপাতা নিন, তার সাথে দশ ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে দিন, ভালোভাবে নেড়ে এই ফেসপ্যাক টি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন লাগান, সে ক্ষেত্রে তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার রাখে বেশ সহায়ক হবে।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, ব্রণ একটি অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা আমাদের জন্য। ব্রণ হওয়ার মূলত কারণ হলো ত্বকের ছিদ্রগুলো তেল, ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বকে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ব্রণের জন্য নিম পাতার বেশ কিছু কার্যকরী ব্যবহার রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্রণ কে টাটা, গুডবাই বলতে পারেন।
ব্রণের জন্য একটি কার্যকরী প্রক্রিয়া হচ্ছে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করতে হবে। ১০ থেকে ১৫ টি তাজা নিমপাতা কিছু পানির সাথে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। এই পেস্ট সরাসরি ব্রণের উপরে ও মুখের ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন লাগালে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
১০টি নিম এবং তুলসী পাতা নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে এই মিশ্রণটি ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার এটি ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক পরিষ্কার থাকবে। ব্রণের সমস্যা সমাধানে আপনারা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন। সরাসরি ব্রণের উপর নিম তেল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে রাখুন, ভালো ফলাফল পাবেন।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বলতে গেলে, এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি বিষয়ের ভালো এবং খারাপ দুটি দিক রয়েছে। নিমপাতাতেও বেস্ট কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের ত্বকের ধারণ ক্ষমতার উপরে নির্ভর করে, কি জাতীয় সমস্যা হতে পারে। পরিমাণের দিক থেকে পরিমিতি বজায় রাখলে আমরা ভালোভাবে নিম পাতার উপকার পেতে পারি।
নিম পাতার রস বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে পেটে এসিডিটি, পেট ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, এজন্য পরিমান মত পান করতে হবে। যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে, তারা যদি নিম পাতা ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে রক্তচাপ আরো কমে যেতে পারে, কারণ নিম পাতা রক্তচাপ কমায়। যারা লিভারের সমস্যায় আছেন, তারা নিম পাতা কম ব্যবহার করবেন, কারণ এটির দীর্ঘ ব্যবহারে লিভারের উপর প্রভাব পড়ে।
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে। স্তন্যদানকালে নিম পাতার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। নিম পাতা শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। নিম পাতা ত্বকের তেল শুষে নেয়, যার কারণে যাদের শুষ্ক ত্বক তারা নিমপাতা ব্যবহার করলে ত্বক ফেটে যেতে পারে, এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। নিম পাতা রক্তের শর্করা অতিরিক্ত কমিয়ে দেয়।
লেখক এর শেষ কথাঃ চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম এবং এই বিষয়টি বুঝতে পারলাম যে, নিম পাতার ব্যবহার প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আমার এই ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আশা করি আপনারা নিম পাতা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে আরো নতুন নতুন তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে, এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url