বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা কি, বিস্তারিত জানুন

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বেশ কিছু অবাক করা তথ্য জানতে চলেছি। শীতকালীন ফল হিসেবে বরই এর জনপ্রিয়তা বেশ রয়েছে কিন্তু বরই পাতার ব্যবহার কিভাবে হতে পারে, সে বিষয়ে আজ আলোচনা করব।

বরই-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

বরই পাতার উপকারী ও অপকারী দিক সহ আজ আমরা আরো জানতে চলেছি, বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃ বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রাকৃতিক ভেষজ পাতা হিসেবে যুগ যুগ ধরে বরই পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। বরই পাতাতে রয়েছে প্রচুর রোগ প্রতিরোধী গুনাগুন। বরই পাতার ব্যবহার আমাদের দেশে সচরাচর নাহলেও, এর প্রচুর গুনাগুন ও কার্যকারিতা রয়েছে। আমাদের শারীরিক সুস্থতা ও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বরই পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। 

প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণে ভরপুর বরই পাতাতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গুনাগুন। বরই পাতাতে রয়েছে কিছু উপকারী উপাদান, যার মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

বরই পাতা আমাদের কাশি ও গলা ব্যাথা সমস্যায় বেশ কার্যকরী বরই পাতার রস পান করলে শ্বাসনালীর ইনফ্লামেশন কমাতে হেল্প ফুল হয়। বরই পাতা চায়ের সাথে ব্যবহার করলে জ্বর এবং শরীরের তাপমাত্রা ও মানসিক চাপ কমাতে বেশ সহায়ক হয়। কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে, বরই পাতার ব্যবহার এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিত

বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, বরই পাতাতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল গুন রয়েছে, যা নিয়মিত গোসলে ব্যবহার করলে শারীরিক বিভিন্ন চর্ম রোগের উপশম হতে পারে। বরই পাতার গুনাগুন সম্পর্কে  না জানার কারণে আমরা সাধারনত ব্যবহার করি না।

বরই পাতা আমাদের ত্বককে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ত্বকের বিভিন্ন জ্বালাপোড়া এবং ফুসকুড়ি দূর করতে সহায়ক হয় এবং ত্বকে শীতল অনুভূতি দেয়। বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে শরীরের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং সতেজ অনুভূতি প্রদান করে। বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

বরই পাতা গোসলে ব্যবহার করলে আমাদের শরীরের মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে যায় ও   ত্বকের বিভিন্ন কালো ও পোড়া দাগসহ বিভিন্ন দাগ কমাতে সহায়ক হয়। বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বরই পাতা পানিতে ফুটিয়ে ও বরই পাতার পেস্ট শরীরে ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম 

বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলা যেতে পারে, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে শারীরিক বিশেষ করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। প্রিয় পাঠক, বরই পাতা আমরা আমাদের শারীরিক আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যার কারণে খেতেও পারি। বরই পাতা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যার মাধ্যমে শারীরিক অন্যান্য সমস্যা দূর করা সম্ভব। 

বরই পাতা খাওয়ার জন্য সতেজ এবং সদ্য তোলা পাতা নিতে হবে। ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে যেন মাটি ও পোকামাকড় না থাকে। বরই পাতা দিয়ে জুস ও চা তৈরি করে খাওয়া যায়। আমাদের শারীরিক আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বরই পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ টি বড়ই পাতা ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর। 

আরও পড়ুনঃ জলপাইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার আগে জেনে নিন

নিয়মিত বরই পাতা সেবন করতে হলে আমাদের কে ৫ থেকে ১০ টির বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনার শারীরিক বিভিন্ন রোগ হয়ে গেলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি আপনার শরীর সব সময় সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে বরই পাতা ব্যবহার করতে পারেন তবে মনে রাখবেন, বরই পাতা কোন চিকিৎসার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

এলার্জির ক্ষেত্রে বরই পাতার উপকারিতা 

এলার্জির ক্ষেত্রে বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, বরই পাতা এলার্জি জাতীয় সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। আমাদের শরীরে এলার্জি দেখা দিলে চরম অসস্তি দেখা দেয় এবং ঔষধ সেবন করলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এলার্জির ক্ষেত্রে বরই পাতার ব্যবহার হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন একটি সমাধান। 

এলার্জির ক্ষেত্রে বরই পাতা ব্যবহার করতে হলে কিছু সতেজ ও পরিষ্কার বরই পাতা নিয়ে ব্লেন্ডারে রস করে প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ খেলে, ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ১০ থেকে ১৫ টি বরই পাতা এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে চা তৈরি করে দিনে ২ থেকে ৩বার পান করলে এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। বরই পাতাতে রয়েছে এন্টিহিস্টামিনের উপাদান, যা শরীরের এলার্জি কমাতে সহায়ক হয়। 

আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ও বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে জানুন

এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে অনেকের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। বরই পাতা ব্যবহার করলে শ্বাসনালির সমস্যা ও হাঁপানি দূর করে দেয়। বরই পাতার ব্যবহার এলার্জিজনিত সমস্যায় ত্বকে লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ও ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ দূর করে। এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে, ত্বকে বিভিন্ন জ্বালাপোড়া অনুভূতি হয়, যা বরই পাতা সিদ্ধ করে ওই পানি দিয়ে গোসল করলে শীতল অনুভূতি দেয়।  

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার 

চুলকানিতে বড়ই পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, চুলকানি আমাদের একটি সাধারণ এবং যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। আমাদের দেহের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হলে চুলকানি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। চুলকানি ছোঁয়াচে রোগ, যার কারণে এই রোগ হওয়ার আগে ও পরে প্রতিষেধক ব্যবহার করা উচিত। 

চুলকানিতে-বরই-পাতার-ব্যবহারv

চুলকানি হওয়ার শুরুতে যদি বরই পাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল করা হয়, সে ক্ষেত্রে চুলকানির ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দূর হয়ে যায়, কারণ বরই পাতায় রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই উপাদান ত্বকের বিভিন্ন ইনফেকশন রোধ করতে সহায়ক হয়। দেহের যে সমস্ত স্থানে চুলকানি হয়েছে, সেখানে বরই পাতার পেস্ট ২০-৩০ মিনিট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

বরই পাতার পেস্ট এর সাথে আপনারা যদি বরই পাতার রস সংক্রমিত স্থানে লাগাতে পারেন, সে ক্ষেত্রেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে। ১০ থেকে ১৫ টি বরই পাতা এক কাপ পানির সাথে সেদ্ধ করে পানি যখন গাঢ় হয়ে আসবে সেই রস ব্যবহার করতে হবে। বরই পাতার ব্যবহারের আগে আপনি শরীরের অল্প অংশে ব্যবহার করে টেস্ট করে নিতে পারেন যে, আপনার শরীরে এলার্জিজনিত সমস্যা হচ্ছে কিনা। 

বরই পাতার রস খেলে কি হয় 

বড়ই পাতার রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, বরই পাতার রস খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পুষ্টি উপাদানে ভরপুর বরই পাতা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বরই পাতা আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়ক হয়। বেশ কিছু উপকারিতা বরই পাতাতে রয়েছে, যা নিম্নে উপস্থাপন করছি। 

  • হার্ড সুস্থ রাখতে নিয়মিত বরই পাতার রস পান করতে পারেন। 
  • বরই পাতা নিয়মিত খেলে পেট জ্বালা, গ্যাস্ট্রিক জনিত বুক ব্যথা ও বদ হজম দূর করে। 
  • বরই পাতা সেবনে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে।
  • মুখে ঘা সহ শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করতে সহায়ক হয়।   
  • নিয়মিত বরই পাতার ব্যবহার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। 
  • পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করতে পারে বরই পাতা। 
  • চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বরই পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • নিয়মিত বরই পাতা খেলে ওজন কমাতে সহায়ক হয়। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বরই পাতার ব্যবহার করা যেতে পারে। 
  • বরই পাতা বেশি দিন ধরে ব্যবহার করলে লিভারের সমস্যা হতে পারে। 
  • প্রস্রাব বেড়ে যেতে পারে, যার কারনে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।
  • উচ্চ এন্টিঅক্সিডেন্ট বরই পাতাতে থাকায় বেশি ব্যবহার করলে এন্টিঅক্সিডেন্ট অতিরিক্ত হারে বেড়ে যেতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ ঔষধের রাজা ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা

বরই পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের কে অবশ্যই নিয়ম মেনে ও অল্প পরিমানে ব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘদিন বরই পাতা ব্যবহার না করাই ভালো। বরই পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে শারীরিক যে কোন সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শরীরে কোন রোগের ঔষধ চলাকালে বরই পাতার ব্যবহার করা যাবে কিনা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।

বরই পাতার গরম পানি 

বড়ই পাতার গরম পানি প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে বিবেচিত এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে, বড়ই পাতার গরম পানিতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস নিরোধক এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের ভেতর ও বাহিরের বিভিন্ন প্রদাহ ও সমস্যা থেকে রক্ষা করে। 

বরই পাতার গরম পানি ব্যবহার করলে সর্দি-কাশি এবং জ্বরের জন্য ভালো হয়, বিশেষ করে গলার বিভিন্ন ফ্লু থেকে রক্ষা করে। বরই পাতার গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ও কাপড়ে ভিজিয়ে আর্থাইটিস বা জয়েন্ট পেইন সহ বিভিন্ন ব্যথাস্থানে লাগালে, ব্যথা কমে যায় এবং মাংসপেশি ভালো থাকে। বরই পাতার গরম পানি আমাদের স্নায়ুকে শিথিল করে ও স্নায়ু ভালো রাখে। 

আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

বরই পাতার গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং মুখের সমস্ত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। যাদের দাঁত ও মাড়িতে ইনফেকশন রয়েছে, তাদের ইনফেকশন দূর করে। মৃত ব্যক্তিকে বরই পাতার গরম পানিতে গোসল করানোর কারণ মৃতদেহ কে দ্রুত পোকা আক্রমণ করতে পারে না এবং দেহের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু দূর করে দেয় পরিষ্কার করে দেয়।

গর্ভাবস্থায় বরই পাতার ব্যবহার 

গর্ভাবস্থায় বরই পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, গর্ভাবস্থায় আমাদেরকে যেকোনো বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ এ সময় একটু এদিক ওদিক কোন বিষয় হলে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শের বাইরে যাওয়া উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় বরই পাতা ভালো কোন ফলাফল দিতে পারেনা। 

গর্ভাবস্থায়-বরই-পাতার-ব্যবহার-

গর্ভাবস্থায় বরই পাতা দিয়ে গোসল করা যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও চুলকানি দূর হয়ে যাবে। বরই পাতার পেস্ট বিভিন্ন চুলকানি ও এলার্জি জনিত ক্ষতস্থানে লাগানো যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় বরই পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। বরইপাতা রস করে ও চায়ের সাথে খাওয়াও ঠিক হবে না। 

গর্ভকালীন সময়ে বরই পাতা খেলে গর্ভপাতের মত সমস্যা হয়ে যেতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে বরই পাতা খেলে গর্ভের শিশুর সমস্যা হতে পারে। বরই পাতা সহ কিছু গাছের পাতা গর্ভের সংকোচন বা প্রসবের সময় এগিয়ে আনতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে বরই পাতা ব্যবহার করলে মা ও শিশুর এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বরই পাতার অপকারিতা 

বরই পাতার অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেল, বরই পাতা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ, যার মাধ্যমে শারীরিক বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। বিভিন্ন উপকারের সাথে সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বরই পাতার ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত বরই পাতা ব্যবহার করলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে পরিমিত হারে বরইপাতা ব্যবহার করলে তেমন সমস্যা দেখা দেয় না। 

এলার্জিজনিত বিভিন্ন ক্ষত বা ফোলা ভাব দূর করতে পারে বরই পাতা, কিন্তু বেশি ব্যবহার করলে এর মাত্রা বাড়িয়েও দিতে পারে। যাদের ব্লাড প্রেসার রয়েছে তারা যদি বরই পাতা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বরই পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু যদি ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবনের সাথে এই পাতা সেবন করা হয়, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শর্করা কমে যেতে পারে। 

বরইপাতা ব্যবহারের শুরুতে অল্প পরিমাণ ব্যবহার করে বুঝে নেওয়া উচিত যে, শরীরে কেমন প্রভাব ফেলছে। বরইপাতা ব্যবহার সবার শরীরে সমান ক্রিয়া করে না। বরই পাতা ব্যবহারের পূর্বে বা ব্যবহারকালীন সময়ে কোন সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বরইপাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমাণ নির্ধারণ করে ব্যবহার করলে আমরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।

লেখকের শেষ কথাঃ বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম এবং বিভিন্ন তথ্য পেলাম। বরই পাতা পরিমিত পরিমানে ব্যবহার করলে শারীরিক বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায়। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আপনি আশা করি সঠিক তথ্য পেয়েছেন ও উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন, বিভিন্ন তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে, এখানেই শেষ করছি।    

              

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url