গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় জানুন
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এ সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। গর্ভকালীন সময়ে হিমোগ্লোবিন সমস্যা আমাদের মায়েদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ ঘটনা।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে আজ আমরা আরো জানতে চলেছি, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ। তবে চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
- হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত
- রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে রক্ত বাড়ে
- গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
- লেখকের শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, আমাদের দেশের মেয়েরা সাধারণত ছোটবেলা থেকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা সমস্যায় ভুগে থাকে। আমাদের মায়েরা যখন গর্ভবতী হন তখন হিমোগ্লোবিনের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে, যার কারনে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভের সন্তান এবং নিজে শরীরে পুষ্টি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। স্বাভাবিকভাবে যেহেতু মেয়েদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম থাকে, সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার পর তা প্রকট আকার ধারণ করে। স্বাভাবিকভাবে গর্ভবতী মায়েদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ডেসিলিটারে ১২ থেকে ১৬ গ্রাম আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় মেয়েদের লোহিত কণিকায় যে প্রোটিন থাকে তার পরিমাণ যদি ১১ গ্রামের কম হয়, সেক্ষেত্রে শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। অন্যথায় শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, ছোটবেলা থেকে পুষ্টিকর খাবারের অভাব ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দেয়। আমাদের দেশে যেহেতু খাদ্য পুষ্টি সংক্রান্ত তালিকা রক্ষা করে খাবার খাওয়া হয়না, সেহেতু আমাদের মায়েরা স্বাভাবিকভাবে এ জাতীয় সমস্যা সম্মুখীন হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় গর্ভস্থ বাচ্চা যেহেতু মায়ের শরীর থেকে খাদ্য ও পুষ্টি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে, সেহেতু দুটি প্রাণের খাদ্য পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে শরীর সক্ষম থাকে না। যার কারণে দেখা দেয় রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা ও অন্যান্য সমস্যা। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের অভাবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা সহ শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে গর্ভকালীন মায়েদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বজায় রাখা যায়। আমরা সমস্যায় পড়ার পর সমাধান করি। কিন্তু আগে থেকে যদি এ বিষয়ে সচেতন থাকা যায়, সে ক্ষেত্রে এজাতীয় সমস্যা এড়ানো সম্ভব। গর্ভবতী হওয়ার আগে থেকে এ বিষয়গুলো নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চেকআপ করে শরীর গঠন করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ বিষয়ে আমরা বলতে পারি, স্বাভাবিকভাবে গর্ভাবস্থায় মায়েরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। তার মধ্যে যদি দেখা যায় শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে পারি রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব হয়েছে। ক্লান্তি, অবসন্নভাব, দুর্বলতা, বুক ধরফর করা, নিশ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা ইত্যাদি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবে পরিচিত।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় ও হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণের মধ্যে আরো যা রয়েছে তাহলো, শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ঠোঁটের কোনায় ও জিহ্বায় ঘা হওয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাথার চুল কমে যাওয়া ও নক ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া হিমোগ্লোবি কমে যাওয়ার লক্ষণ। এছাড়াও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, কোন কিছুই ভালো না লাগা অনুভূতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ।
আরও পড়ুনঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার লক্ষণের মধ্যে আরো রয়েছে মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা করা, শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি। এ জাতীয় সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অতিসত্বর ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, নইলে গর্ভবতী মা ও গর্ভস্ত শিশু উভয়ের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত এ প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি, আমাদের দেশে সাধারণত পুষ্টি তথ্য বিবেচনা না করে ছোটবেলা থেকে এলোমেলো ভাবে খাদ্যগ্রহণ করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের দেশে স্বাভাবিক খাদ্য চাহিদা পূরণ অনেক ক্ষেত্রেই হয় না বললেই চলে। পুরুষ, নারী, বাচ্চা, বৃদ্ধ সকলের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন সঠিক থাকে না।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণের সাথে আমরা যদি নিয়ম মেনে খাদ্যগ্রহণ করতে পারি, সে ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। প্রত্যেকটি খাদ্য উপাদান শরীরে কিভাবে প্রভাব ফেলে তা আমাদের জানা থাকা উচিত। হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক ভাবে খাবারের মাধ্যমে পূরণ হয়ে যায়। কিছু কিছু খাবারে হিমোগ্লোবিনের উপাদান বেশি থাকায় সমস্যা হলে ওই জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
সাধারণত পুরুষদের শরীরে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হলো ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম। অন্যদিকে নারীদের শরীরে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১২ থেকে ১৬ গ্রাম। গর্ভাবস্থায় ১১ গ্রাম বা এর কম, রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকলে তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি থাকলে তেমন একটা সমস্যা দেখা দেয় না।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ বিষয়ে আমরা বলতে পারি, যেকোনো মেডিসিন গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আমি এখানে একটি মেডিসিনের বিষয়ে কথা বললেও তা নিজের মতো করে সেবন করা যাবেনা। এই ঔষধটি সেবন করার পূর্বে সম্পূর্ণ জেনে নিয়ে সেবন করা উচিত।
রক্সাডুস্ট্যাট হল রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিজনিত বিষয়ের ওষুধ। এই ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনারা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে তিনবার এই মেডিসিন ব্যবহার করতে হয়। বেশি ব্যবহার করলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে যা হতে পারে আপনার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টির কারণ।
এই ঔষধটি সাধারণত কিডনি রোগীদের পানি শূন্যতার কারণে দেওয়া হয়। সেই সাথে রক্তে হিমোগ্লোবিন সংক্রান্ত সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদেরকেও ডাক্তাররা সাজেস্ট করে থাকে। এছাড়াও সমগোত্রীয় বিভিন্ন মেডিসিন থাকতে পারে যা ব্যবহারের কারণে আপনার রক্তস্বল্পতা বা রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব দূর করতে পারে। এই লিংক থেকে আরও তথ্য নিতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, খাবারের মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করা সহজ ও নিরাপদ একটি উপায়। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য ডাক্তাররা বিভিন্ন মেডিসিন দিয়ে থাকে কিন্তু তার বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এজন্য খাবারের মাধ্যমে আমাদের সমস্যা সমাধান করা উচিত।
সাধারণত যে সমস্ত খাবারে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, জিংক ইত্যাদি উপাদান রয়েছে, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য এ জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত। এজাতীয় খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ খাবার হলো অ্যাভোকাডো, শালগম, আপেল, বিট, গাজর ইত্যাদি। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার এ সময় প্রচুর খেতে হয় যেমনঃ লেবু, ডালিম ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
বিভিন্ন শুকনো ফল যেমন খেজুর, আখরোট, কিসমিস, বাদাম, ডুমুর এ জাতীয় খাবার এই সময় খেতে হয়। প্রতিদিন খাবারের সাথে ডাল খাওয়াটা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি খাবার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও আঙ্গুর, ব্রকলি, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে রক্ত বাড়ে
গর্ভাবস্থায় কি খেলে রক্ত বাড়ে এ সম্পর্কে আমরা এখন জানতে চলেছি। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, গর্ভকালীন সময়ে স্বাভাবিকভাবে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও মহিলা ও কিশোরীদের অনিয়ন্ত্রিত রিতুস্রাবের কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে লৌহ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশে লৌহজাতীয় যে সমস্ত খাবার রয়েছে সে বিষয়ে বর্ণনা করছি।
সাধারণত কচু শাক, কাঁচকলা, বাঁধাকপি, পেয়ারা, সিম, সুস্থ মুরগির কলিজা, লাল মাংস, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি খাবার খেলে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমিষ, ভিটামিন, আয়রন জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হয়। এ জাতীয় খাবার খাওয়ার সাথে ডিম দুধও খেতে হবে, সেক্ষেত্রে শারীরিক অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ বেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে এ জাতীয় খাবার সব সময় খাওয়া উচিত। আমরা রোগ হলে বেশি বেশি খাবার খাই, অন্যান্য সময় যা ইচ্ছা তাই, এজাতীয় চিন্তাভাবনা খাবারের ক্ষেত্রে করলে হবে না। সব সময় ফুড চার্ট মেনে খাবার খেলে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি বজায় রাখতে ভালো ভূমিকা রাখে। খাদ্য ও খাদ্য উপাদান সম্পর্কে জানতে হবে, তাইলে আমরা আমাদের দেহ ভালো রাখতে পারব।
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয় এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকাটা অনেকটা বোকামির শামিল এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার লক্ষণ। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি ও উন্নত মানের খাবার খাওয়া উচিত কারণ, গর্ভবতী সময়ে মা এবং গর্ভস্থ শিশু উভয়ের খাদ্য পুষ্টি পূরণ হয় মায়ের খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে।
গর্ভকালীন সময়ে আপনি যদি খালি পেটে থাকেন, আপনি নিজেকে কষ্ট দিলেন আবার আপনার সন্তানও কষ্ট পেল। গর্ভকালীন সময়ে স্বাভাবিকভাবে পুষ্টিহীনতা, রক্তস্বল্পতা, রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, যা সমাধান হতে পারে সুন্দর খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রামের মাধ্যমে। এ কারণে গর্ভকালীন সময়ে খালি পেটে থাকা ঠিক না।
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভকালীন সময়ে পেটে এসিডিটি, ক্ষুধামন্দা ভাব, কোন কিছু ভালো না লাগা অনুভূতি, বিভিন্ন খাদ্যে অরুচি, গন্ধ লাগা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়, যার কারণে মায়েরা না খেয়ে থাকে। এছাড়া খালি পেটে থাকার আর কোন উপকারিতা থাকার কথা নয়। গর্ভকালীন সময়ে যে খাবারটা আপনার ভালো লাগবে সেটা খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে প্রথম কথা হল ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। ডাক্তার আপনার শরীরের অবস্থা পর্যালোচনা করে বিভিন্ন মেডিসিন দিতে পারে, সেগুলো ঠিকঠাক মত খাওয়া। যে সমস্ত খাবারে হিমোগ্লোবিন সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে তা খাওয়া ও প্রচুর পানি পান করা উচিত তাতে শরীরের শোষণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়। আমাদের দেশের নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করলে এজাতীয় সমস্যা সমাধান করা যায়। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে বাছ-বিচার না করে এই প্রকৃতিতে খাবার হিসেবে যা আছে সবই খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে চিকিৎসক যদি কোন মেডিসিন দেয়, সে ক্ষেত্রে নিয়ম মাফিক খেতে হবে, বেশি মেডিসিন খেয়ে ফেললে রক্তে হঠাৎ করে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সাথে প্রচুর শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাওয়া উচিত। মেডিসিনের তুলনায় খাবার খেয়ে শরীর সুস্থ রাখা আমাদের চিন্তাভাবনার প্রধান বিষয় হওয়া উচিত।
লেখকের শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আমরা এতক্ষণ জানলাম। এবং এও বুঝতে পারলাম, সব সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া শরীর ভালো রাখার অন্যতম উপায়।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। নিয়মিত এই ব্লগ ভিজিট করলে সঠিক তথ্য পাবেন এবং পরিচিতদের মাঝে ব্লগ টি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url