১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আজকে আমরা জানবো। আপনি অবশ্যই গুগলে সার্চ করে আমার এই ব্লগটি পেয়েছেন এবং সঠিক স্থানেই এসেছেন।
আজকে আমরা আরও কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি । তবে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
- ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
- কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম
- পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম
- প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার
- সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তির ব্যবহার
- ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- নাগরিক সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
- লেখকের শেষ কথাঃ ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রযুক্তি আমাদেরকে দিনে দিনে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমরা অনেক সহজ জীবন পেয়েছি। প্রযুক্তির আবিষ্কার শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে কিন্তু বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কার প্রতিনিয়ত হচ্ছে। আবিষ্কারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ১০ টি প্রযুক্তির বিষয়ে চলুন জেনে আসি।
বিদ্যুৎঃ বিদ্যুৎ আবিষ্কার না হলে প্রযুক্তির কোন কিছুই আবিষ্কার হতো না। এজন্য আমরা বিদ্যুৎ কে বলতে পারি প্রযুক্তির মাদার। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের জীবন যেন থমকে যায়।
লাইটঃ সাধারণত লাইট আবিষ্কারের আগে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মানুষ ঘরের বাইরে থাকতো বা কাজ করতো। লাইট আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ অন্ধকার সময়ে বা রাতে কাজ করা যায় এই কনসেপ্টের আওতায় আসে।
টেলিভিশনঃ বিদ্যুৎ আবিষ্কারের অনেক পরে টেলিভিশন আবিষ্কার হয়। এরপর থেকে মানুষ বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনকে বেছে নেয়। তার সাথে রেডিও অন্যতমভাবে মানুষের সংবাদ সরবরাহ ও বিনোদন দেয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
বৈদ্যুতিক পাখাঃ বৈদ্যুতিক পাখা আবিষ্কার হওয়ার পর মানুষ কষ্টের সময় থেকে একটু আয়েশী সময়ে পদার্পণ করে। বৈদ্যুতিক পাখা আরো অন্যান্য অনেক কাজে ব্যবহার হয়, যেমনঃ যেকোনো ইঞ্জিন কে চালাতে গেলে বৈদ্যুতিক পাখার প্রয়োজন হয়।
রেফ্রিজারেটরঃ রেফ্রিজারেটর এর মাধ্যমে খাবার সংরক্ষণ করে রাখার সুযোগ সুবিধা আমরা পেয়েছি। কিছু কিছু সময় এমন হতে পারত যে, প্রচুর খাবার রয়েছে কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে খাবারগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এইরকম পরিস্থিতি রেফ্রিজারেটরের কল্যাণে এখন আর নেই।
কম্পিউটারঃ কম্পিউটার যখন আবিষ্কার হয় তখন মানুষ সভ্যতার এক নতুন জগতে পদার্পণ করে। তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে এই কম্পিউটারের মাধ্যমে।
ইন্টারনেটঃ ইন্টারনেট বিষয়টি আবিষ্কারের পর এই পৃথিবীটা অনেক সচল হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে পৃথিবীর এক প্রান্তের সাথে আরেক প্রান্তের সংযোগ ঘটিয়েছে এই ইন্টারনেট।
স্মার্ট ফোনঃ স্মার্টফোন আবিষ্কারের পর মানুষের দুনিয়া হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে স্মার্টফোন দ্বারা এমন কোন কাজ নাই যা করা সম্ভব হচ্ছে না। তথ্যপ্রযুক্তির অনেক জটিল বিষয়ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াঃ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদেরকে পুরো পৃথিবীতে একিভূত করে দিয়েছে। আমরা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের সংস্কৃতি জানতে পারছি, আমাদের সংস্কৃতি জানাতে পারছি। সর্বোপরি সব ধরনের মানুষের সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
এয়ারকন্ডিশনারঃ মানুষের জীবনকে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এয়ারকন্ডিশনার এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। যারা সব সময় একই তাপমাত্রায় থাকতে চান তাদের জন্য এয়ারকন্ডিশনার আশীর্বাদ স্বরূপ।
কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম
কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম এ বিষয়ে বলতে গেলে, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এত পরিমানে হচ্ছে যে, আধুনিক প্রযুক্তি নিয়েই অনেক বড় বড় ব্লগ লেখা সম্ভব। পৃথিবীর এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে প্রতিনিয়ত কোন কিছু নতুন আবিষ্কার হচ্ছে না। তার মধ্য থেকে কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ে চলুন জেনে আসা যাক।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে মানুষের অনেক সময়ের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি সেক্টর ধীরে ধীরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মধ্যে ঢুকে পড়ছে। গুগল, ফেসবুক থেকে শুরু করে স্মার্টফোন, এয়ারকন্ডিশনার সবই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
মাইকো হেডফোনঃ বিষয়টি হেডফোন নয় এটি একটি স্মার্ট ফোন, অর্থাৎ হেডফোনের মত দেখতে এবং কার্যক্ষমতা সম্পন্ন কিন্তু বিষয়টি স্মার্টফোন। এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে আসতে চলেছে।
গুগল প্লাসঃ এটি এক ধরনের স্মার্টফোন যা চশমার মাধ্যমে চলবে। চশমার মধ্যে সমস্ত প্রোগ্রাম দেখা যাবে ও ভয়েসের মাধ্যমে অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
জি ই ভি স্ক্যানঃ এই স্ক্যানারটি আল্ট্রা সাউন্ড ক্যাচ করার জন্য খুবই জনপ্রিয় হতে চলেছে। মানুষ ঘরে বসেই আল্ট্রা সাউন্ড এর মাধ্যমে মায়ের পেটে থাকা বাচ্চার বিভিন্ন বিষয় জানতে ও বুঝতে পারবে।
অটো ড্রাইভিং কারঃ আমরা কার ম্যানুফ্যাকচারিং জগতে টেসলার নাম শুনেছি। তারা ইলেকট্রিক কার ম্যানুফ্যাকচারিং এ প্রসিদ্ধ। এই টেসলা একটি কার আনতে চলেছে যা অটো ড্রাইভিং কার হিসেবে প্রচলিত হতে পারে।
নেক ব্লেসঃ যারা কুকুর বা বিড়াল পুষতে চান বা ভালোবাসেন কিন্তু কখনোই তাদের কথা বুঝতে পারেন না। আপনাদের জন্য এই গলা বন্ধনী টি। আপনার প্রিয় পশুর মনের অবস্থা, ক্ষুধা লেগেছে কিনা ইত্যাদি বিষয় ইংলিশে আপনাকে জানিয়ে দিবে।
পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম
পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম বিষয়ে বলতে গেলে, উন্নত বিশ্ব সহ বর্তমান সময়ে আমাদের দেশেও পাঠদানের বিষয়ে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস ও তথ্য আদান প্রদান হয়ে থাকে, যেখানে ছাত্র ও শিক্ষক উভয় বিভিন্ন বিষয়ে জানা ও বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে পড়াশোনার কাজে লাগাতে পারে। পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তি বিষয়ে চলুন আরো জেনে আসি।
জি প্যাডঃ জিপ্যাডের মাধ্যমে যেকোনো কিছু লেখা, আঁকা ইত্যাদি কাজ সুন্দরভাবে করা যায়। সাধারণত আমরা যে কোন কিছু লেখার ক্ষেত্রে কাগজ কলম ব্যবহার করে থাকি কিন্তু একটি প্যাডের উপরে ভার্চুয়াল কলম দিয়ে লিখলে সেটা কাগজ-কলম এর মতই কাজ করে।
প্রজেক্টরঃ প্রজেক্টর এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ের বিদ্যালয় গুলোতে ক্লাস নেওয়া হয়, যেমনঃ শিক্ষক নিজের ডেস্কে বসে কাজ দেখান সেটা প্রজেক্টর এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্লাসরুম দেখতে পারে ও শিখতে পারে। পূর্বে এই কাজটি করার জন্য ব্ল্যাকবোর্ড ও চক ব্যবহার করা হতো।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এমন একটি ইনভায়রনমেন্ট তৈরি করে যা বিভিন্ন জটিল কাজ করার জন্য স্টুডেন্টরা শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। বিশেষ করে মেডিকেল স্টুডেন্টরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে জটিল অপারেশন সহ অন্যান্য কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কর্মক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
ভার্চুয়াল ক্লাস স্পেসঃ ভার্চুয়াল ক্লাস স্পেসে ক্লাসের কোন অস্তিত্ব থাকে না যা কিছু হয় সব ই অনলাইনে। এখানে ছাত্ররা বিদ্যালয়ে না এসে ঘরে বসে তাদের কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন বা ট্যাবলেট পিসির মাধ্যমে শিক্ষকদের সাথে এই ক্লাসগুলো করতে পারে।
বায়োইনফরমেটিক্সঃ জীববিজ্ঞানের ছাত্ররা বায়ো ইনফরমেটিক্স ব্যবহার করে জটিল সমস্যার সমাধান করে থাকে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ইনফরমেশন ও ক্যালকুলেশন করতে পারে।
বায়োমেডিকেল টেকনোলজিঃ বায়োমেডিকেল টেকনোলজির মাধ্যমে মেডিকেল স্টুডেন্টরা বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য পেয়ে থাকে। এর সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জীবন্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ও বিভিন্ন ক্যালকুলেশন তারা করতে পারে।
প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার
প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার এ বিষয়ে বলতে গেলে, প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিক সময়ের কাজ অল্প সময়ে করা যায়। কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম জানার সাথে, বিভিন্ন জটিল সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যাচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন নতুন ধরনের ইঞ্জিন আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।
তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনের কল্যাণে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিচরণ করতে পারছি। যেকোনো তথ্য খুব সহজে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারছি। পড়াশুনার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। স্বাস্থ্য সেবা সেক্টরে নতুন নতুন মেশিন আবিষ্কারের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
প্রযুক্তির কল্যাণে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। ভূ-উপগ্রহ সৃষ্টি করে পৃথিবীর কোথায় কি হচ্ছে সব তথ্য আমরা জানতে পারছি। আমাদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রহে কি অবস্থা চলছে তা আমরা জানতে পারছি। চাঁদে যাওয়া বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানীদের জন্য খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস আমরা আগে থেকেই জানতে পারছি যা আমাদের জীবন বিপর্যয় ঠেকাতে সহায়ক হচ্ছে।
সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তির ব্যবহার
সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তির ব্যবহার এ বিষয়ে বলতে গেলে, পৃথিবীর এমন কোন সমস্যা নাই যা সময় সাপেক্ষে সমাধান করা যায় না। গৃহস্থালীয় ছোট ছোট ব্যাপার থেকে শুরু করে বিভিন্ন গবেষণার কাজ আমরা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজে করতে পারছি। মহাকাশে যে সমস্ত যন্ত্র প্রেরণ করা হয় সেটার যদি কোন সমস্যা হয় তা পৃথিবীতে বসেই আমরা সমাধান করতে পারি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বড় বড় ও জটিল বিভিন্ন অপারেশন আমার দেশের ডাক্তার দ্বারা সম্ভব না হলে উন্নত দেশের ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারছি। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নিয়ে খুব সহজে সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছি। বিভিন্ন আবিষ্কারের পথে বৈজ্ঞানিকরা খুব সহজে কাজ করতে পারছে।
আমাদের জমি সংক্রান্ত সমস্যা প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত ও নির্ভুল সমাধান করা যাচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপনে আমরা যে সমস্ত প্রযুক্তিগত বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট তার কোন সমস্যা দেখা দিলে যেকোনো সমাধান আমরা পেয়ে যাচ্ছি তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য উপায়ের মাধ্যমে। লেখালেখির সমস্যাও সমাধান হয়ে গেছে তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে এখন আমরা জানতে চলেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তির কথা আসলেই প্রথমে আসে কম্পিউটারের কথা। কম্পিউটারের এত পরিমাণে সফটওয়্যার রয়েছে যা দ্বারা পৃথিবীর সকল কাজকর্ম করা সম্ভব। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে আমাদের জীবন সহজ ও সুন্দর হয়ে গিয়েছে।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের মতোই অনেক কাজ করতে পারছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন কোন বিষয় নেই যা স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা যায় না। পড়াশোনা, গবেষণা, খেলাধুলা, বিনোদন, চিকিৎসা সবই এর আওতাভুক্ত। অনলাইনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থও ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে
স্মার্ট ওয়াচ, বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা, ই সাইকেল ইত্যাদি আমাদের সময়কে সহজ করে দিয়েছে। রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে ইনডাকশন, রাইস কুকার, কারি কুকার, ব্লেন্ডার এগুলি আমাদের জীবনের সাথে জড়িত হয়ে আছে। এয়ার লাইনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নত সেবা দিতে পারছে। দেশের অভ্যন্তরীণ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে এই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে।
নাগরিক সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
নাগরিক সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার অভূতপূর্ব সফলতা এনে দিয়েছে। আমাদের দেশে এ সমস্ত নাগরিক সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবা প্রদান করে থাকে। নাগরিক সেবা প্রদানের অনেকগুলো শাখা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট।
বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে বহির্গমন ও বাংলাদেশী নাগরিকদের যাওয়া আসার বিষয়ে যে তথ্য জটিলতা রয়েছে তা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজে সমাধান করা যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর আওতায় যত কার্যক্রম রয়েছে তা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আরো সুন্দর ও সহজ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিষয়ে সকল সমস্যা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এ্যাকাউন্ট খুলব
এছাড়াও ক্রীড়া, খাদ্য, গণপূর্ত, গণযোগাযোগ, ইউ এন ও, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবার পরিকল্পনা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, প্রাণিসম্পদ, প্রাথমিক শিক্ষা, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পরিসংখ্যান ব্যুরো, পল্লী উন্নয়ন, পানি উন্নয়ন, শিশু একাডেমি, সড়ক পরিবহন, ভূমি, থেকে শুরু করে নাগরিক সুবিধা প্রদানের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, রান্না থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। সবসময়ের জন্য আমাদের হাতে থাকে স্মার্ট ফোন। বাসায় ব্যবহার করি কম্পিউটার, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার ইত্যাদি। ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার এর মধ্যে, চলাফেরার ক্ষেত্রে ব্যবহার করি বিভিন্ন যানবাহন।
শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান বিষয়ে প্রতিনিয়ত ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আমরা করে থাকি। ই কমার্সের মাধ্যমে ঘরে বসে যেকোনো পণ্য সহজে কিনতে পারি। বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে নামিদামি রেস্টুরেন্ট এর খাবার ঘরে বসে অর্ডার করলে দিয়ে যায়। যেকোনো পোশাক, ইলেকট্রনিক পণ্য, বাজার, বাসা ভাড়া ইত্যাদি খুব সহজে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারি।
ক্যাশ লেস মানি আমাদের দেশে খুব শীঘ্রই সচরাচর হতে চলেছে, এর মাধ্যমে কাগুজে নোট ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে। যেকোনো চাকরির আবেদন, বিদেশে পড়াশোনা সহ বিভিন্ন গবেষণার কাজ আমরা ঘরে বসে করতে পারছি তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণে। তথ্য ও প্রযুক্তি আমাদের কাজকে সহজ করে দিয়েছে এবং আমাদের প্রচুর সময় বেঁচে গিয়েছে। একটি কাজ করার জন্য আগে যে সময় প্রয়োজন ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম সময়ে করা সম্ভব।
ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা বিষয় বলতে গেলে, একটি সুন্দর ও গতিশীল জীবন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা পেয়েছি। রাত দিন ২৪ ঘন্টা আমরা যেকোন কাজ বা সেবা গ্রহণ করছি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে। প্রযুক্তি আমাদের মানব সমাজে কল্যাণ বয়ে এনেছে। মানব জীবনে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজকর্ম আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে পারছি।
ডিজিটাল প্রযুক্তির এত বিপ্লবীক ও বিস্তর পরিধির মধ্যে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন প্রতিনিয়ত হচ্ছি। মানুষ সামাজিক জীব, এই শব্দটি আমরা ভুলতে বসেছি প্রযুক্তির কারণে। স্মার্ট ফোন উপকারী ফিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন অপকারী বিষয় আমাদেরকে প্রোভাইড করছে। নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত কাজকর্ম মানুষ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচুর করছে।
প্রযুক্তির যথেচ্ছা ব্যবহারের কারণে মানব মস্তিষ্ক সম্প্রসারণে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় প্রযুক্তির সাথে কাটানোর কারনে মানব দেহ অথর্ব হয়ে পড়ছে। অনেক সময় কম্পিউটার স্কিন, ফোন স্ক্রিন ও টেলিভিশন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ একা একা চলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। রোবট মানুষের কাজকর্ম কেড়ে নিচ্ছে যার কারনে দেখা দিচ্ছে বেকারত্ব ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা।
লেখকের শেষ কথাঃ ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম এবং এও বুঝতে পারলাম, প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে দিয়েছে। প্রযুক্তির ভালো দিকগুলোর সাথে খারাপ অনেক দিক রয়েছে যা আমাদের সমাজে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করছে।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আমি আশা করি আপনারা বিস্তর তথ্য পেয়েছেন ও উপকৃত হয়েছেন। সব সময় এই ওয়েবসাইট ভিজিট করলে বিভিন্ন তথ্য পাবেন। আপনাদের সুন্দর জীবন কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url