নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিতভাবে জানতে চলে। আপনি অবশ্যই  নিম পাতার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন এবং এই ব্লগে এসেছেন। আপনার জন্যই আজকের এই ব্লগটি। 

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারী ও অপকারী বিভিন্ন বিষয় জানার সাথে আমরা এও জানব, নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম। তবে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়ে বলতে গেলে, এই প্রকৃতিতে যে সমস্ত গাছ-গাছড়া রয়েছে তার প্রত্যেকটিতে কোন না কোন ঔষধি গুণ রয়েছে এবং মানবকল্যাণের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। মানব জীবনে নিমগাছ একটি অতি উপকারী গাছ হিসেবে পরিচিত। আনুমানিক ৫ হাজার বছর আগ থেকে ঔষধি বৃক্ষ হিসেবে নিম গাছ ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতার কিছু উপকারিতা চলুন জেনে আসি। 

চর্মরোগ নিরাময়ঃ নিমপাতা চর্মরোগ নিরাময়ে একটি অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক মেডিসিন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোড়া, একজিমা ও ব্রণ হলে নিম পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহারঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার হতে পারে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়। প্রতিদিন সকালে পাঁচটি গোলমরিচ ও দশটি নিমপাতা বেটে যদি খেতে পারেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

নিম পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে এলার্জিকে না বলুনঃ নিমপাতা ব্যবহার হতে পারে এলার্জি দূর করার একটি অন্যতম ভেষজ ঔষধ। কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে শরীরে লাগালে এলার্জি দূর হয়ে যাবে।

দাঁতের রোগ থেকে মুক্তি দিবেঃ  নিম গাছের ছাল, পাতা গুড়ো করে অথবা নিম গাছের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। 

নিম পাতা দিয়ে খুশকি দূর করুনঃ  যাদের মাথায় প্রচুর খুশকি রয়েছে তারা নিমপাতা পেস্ট করে ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নাশক উপাদান যা আপনার মাথার  ত্বককে ভালো রাখবে। 

প্রত্যেকটি বিষয়ের যেমন ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে তেমনি নিম পাতার বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে যেকোনো বিষয় থেকে ভালোটা বের করে আনা যায়। চলুন আমরা এই বিষয়গুলো জেনে আসি। 

  • খালি পেটে নিমপাতা খেলে খেলে আপনার পেট ব্যথা, বমি ইত্যাদি হতে পারে। একটানা অনেক দিন নিম পাতা না খাওয়াই ভালো। 
  • যে সমস্ত মায়েরা সন্তান নিতে চান তাদের জন্য নিম পাতা এড়িয়ে চলা উচিত কারণ, নিম পাতা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। 
  • যাদের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তারা নিমপাতা ব্যবহার করবেন না, এতে বিপরীত ফল হতে পারে। 
  • গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিম পাতা একেবারেই নিষেধ, কারণ এতে অকাল গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। 
  • প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইটি নিম পাতা খাওয়া উচিত, এর বেশি খেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম 

নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা বলতে পারি, নিম গাছকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একুশ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষণা করেছে কারণ, এই গাছের প্রত্যেকটি অংশে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপাদান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দশটা নিমপাতার সাথে পাঁচটা গোল মরিচ বেটে খেলে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। 

রক্তের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে নিম পাতার রস। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতা খেলে রক্তনালী প্রসারিত হয় ও রক্ত চলাচল ভালো হয়। এ ক্ষেত্রে নিম পাতার কচি পাতা বেটে রস করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায় ও দেহ সুন্দর ও সজীব থাকে। 

নিম পাতার রস চিনি বা মিশ্রির সাথে মিশ্রণ করে খেলে কাশি থেকে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহারের ফলে  লিভার এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ ও সবল থাকে। বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের জন্য নিম পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে রোগ ভালো হয়ে যায়। বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে নিমপাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগানো যেতে পারে। 

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় 

খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, নিম পাতা রস এসিডিটি সারানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। সকালে খালি পেটে নিম পাতা সিদ্ধ করে ওই পানি খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

রক্ত পরিষ্কার করতে নিম পাতার রস নিয়মিত পান করা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। নিম পাতার ব্যবহার আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাঁচা হলুদের সাথে নিমপাতা বেটে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ধ্বংস করে। 

আরও পড়ুনঃ হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে পুরুষত্ব বজায় থাকে। বেশি পরিমাণে নিম পাতা রস করে খেলে বিশেষ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপাদান নিম পাতায় থাকায়, এটি দেহের জন্য খুবই উপকারী হিসেবে বিবেচিত। নিম পাতার রস বেশি ব্যবহার করলে  এস্টোমাটাইটিসের মত এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার 

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার বহু শতাব্দি ধরে হয়ে আসছে। নিম পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফ্লামেটরি গুণাবলী থাকায় এটি ত্বকের ব্রণের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং ত্বকের লালচে ভাব কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং ত্বককে সুন্দর ও সজীব রাখে। 

ব্রণের জন্য নিম পাতা ত্বকের সেবাম গ্রন্থির অতিরিক্ত তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করে। আমরা জানি সেবাম গ্রন্থি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে কিন্তু অতিরিক্ত সেবাম ত্বকের তৈল গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত সারাতে নিম পাতার গুনাগুন রয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ব্রণ নিরাময়ের ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার হতে পারে ভেষজ চিকিৎসার একটি কারণ। বাজারে অনেক ধরনের ব্রণ নিরাময়কারী মেডিসিন বা ফেসওয়াশ রয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের খারাপ ফল বয়ে আনতে পারে, এক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত একটি ট্রিটমেন্ট হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। 

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি 

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জির ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এলার্জির ক্ষেত্রে নিম পাতার রস ও নিম পাতা পেস্ট ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় কিন্তু বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে এ তথ্যের তেমন কোন ভিত্তি পাওয়া যায় না। নিম পাতায় এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণ রয়েছে যা ত্বকের প্রদাহ ও ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। 

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি

এলার্জি আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে হতে পারে। নিম পাতা ব্যবহারে যদি কারো এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ব্যবহার না করাই ভালো। এই প্রকৃতিতে যে সমস্ত গাছগাছড়া রয়েছে তা এক একজনের শরীরে এক এক রকম ক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এজন্য এলার্জির ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার আপনার শরীরে সুট করছে কিনা তা বুঝে নিন।  

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জির ক্ষেত্রে আমরা আরো বলতে পারি, কিছু কিছু সময় এমন দেখা যেতে পারে যে, নিমপাতা ব্যবহারের কারণে আপনার এলার্জি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে আবার তার বিপরীত হতে পারে। নিম পাতা ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। যে সমস্ত মায়েরা গর্ভবতী, তারা নিম পাতা থেকে দূরে থাকবেন। 

নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় 

নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, নিম গাছের পাতা, ছাল ইত্যাদির ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। নিম গাছের ঔষধি গুনাগুন থাকায় নিমপাতা ও অন্যান্য অংশ দিয়ে তৈরি করা হয় নিম পাতার বড়ি। এই বড়ি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।  ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খুশকি, ফুসকুড়ি, চুলকানি ইত্যাদি দূর করতে সহায়ক হয়।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে নিম পাতার বড়ি যাদের দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সমস্যা রয়েছে তারা ব্যবহার করতে পারেন। পেটের সমস্যা আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এ জাতীয় সমস্যা দূর করতে নিম পাতার বড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা নিম পাতার বড়ি ব্যবহার করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

আরও পড়ুনঃ গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার বড়ি অন্যান্য ঔষধের সাথে ব্যবহার করলে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। সব সময় এই বিষয়টি মনে রাখবেন, নিম পাতার বড়ি কোন রোগের সরাসরি চিকিৎসা হতে পারে না। আপনার দেহে কোন ধরনের রোগ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সব সময় শরীর ভালো রাখতে নিম পাতার বড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।   

নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম 

নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করতে চলেছি। নিম পাতার রস খেতে হলে প্রথমে রস তৈরির উপায় জানতে হবে। রস তৈরি করার জন্য প্রথমে পরিষ্কার ও সতেজ নিমের পাতা সংগ্রহ করতে হবে। পাতায় ধুলা ময়লা থাকলে তা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে পাতা বাটার জন্য ব্লেন্ডার রয়েছে। 

একটি ব্লেন্ডারে নিম পাতা ও কিছু পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা নিম পাতার মন্ড একটি পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে রস বের করে নিতে হবে। যে রসটি পাওয়া গেল তা দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখতে হবে। সাধারণ তাপমাত্রায় বেশিদিন নিম পাতার রস রাখা যায় না, নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের সমস্যা, দাঁত ও মাড়ির সমস্যা, পাকস্থলীর সমস্যা ও সর্বোপরি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিম পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। নিম পাতার রস সরাসরি কোন রোগের ঔষধ নয়। আপনার দেহে কোন রোগ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে। 

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করতে চলেছি। এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি বস্তুর ভালো এবং খারাপ দুইটি দিক রয়েছে। নিম পাতার বিভিন্ন গুনাগুন আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। নিমপাতা ক্ষতিকর হতে পারে গর্ভবতী মায়েদের জন্য কারণ নিমপাতা অকাল গর্ভপাত ঘটিয়ে ফেলতে পারে। 

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক

নিম পাতা খাওয়ার নিয়মের মধ্যে, যে সমস্ত মায়েরা শিশুর দুগ্ধ পান করান তাদের জন্য নিমপাতা ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। নিম পাতা রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে, যারা রক্তচাপ সম্পর্কিত ঔষধ খাচ্ছেন তাদের জন্য নিমপাতা ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত করা যাবে না। 

অতিরিক্ত নিমপাতা ব্যবহার করলে লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিমপাতা ব্যবহারে কিছু মানুষের শরীরে এলার্জি দেখা দিতে পারে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে যারা ঔষধ সেবন করছেন তাদের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত করা যাবে না, এতে বিপরীত ফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় 

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় এ বিষয়ে বলতে গেলে, নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের আলাদা আলাদা ঔষধি গুণ রয়েছে। এই দুটি উপাদান যখন একসাথে করা হয় তখন এর ঔষধি গুণ অনেক বেড়ে যায়। সাধারণত নিম পাতার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে অন্যদিকে হলুদের এন্টি সেপটিক গুণ রয়েছে। 

মুখের ঘা বা বিভিন্ন সংক্রমণে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই দুটি উপাদান একসাথে খেলে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো হয়। যাদের মুখে দুর্গন্ধ রয়েছে তাদের জন্য নিম পাতা ও হলুদ একসাথে ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। মুখের ত্বকের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল ও ফাংগাস জনিত সমস্যা এই দুটি উপাদান ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। 

নিম পাতা ও হলুদের পেস্ট দিয়ে ফুলকুচি করলে মুখের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আপনার মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য নিম পাতা ও হলুদ খুবই উপকারে আসতে পারে। সর্বক্ষেত্রে নিম পাতা ও হলুদ একসাথে মিশ্রিত করে যে পেস্ট তৈরি হয় তা সরাসরি কোন রোগের প্রতিষেধক নয়। আপনার শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিম পাতা ও হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে। 

লেখকের শেষ কথাঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা  

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সহ অন্যান্য বেশ কিছু বিষয় আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম। নিম পাতায় প্রচুর ঔষধি গুন থাকায় একে একুশ শতকের গাছ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি নিমপাতা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। আপনারা আমার এই ব্লগ থেকে আশা করি সঠিক তথ্য পেয়েছেন ও উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের ব্লগটি এখানেই শেষ করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url