আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইডলাইন
আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমরা আজ বিস্তারিত জানতে চলেছি। একটি সুন্দর আর্টিকেল পাঠকের মনে অজানা প্রশ্নের উত্তর ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সুন্দর ধারণা প্রদান করে।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম নীতির সাথে আজ আমরা একটি সুন্দর ও এসইও (SEO) বান্ধব আর্টিকেল লিখতে কি কি নিয়ম নীতি ও পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আর্টিকেলে কিওয়ার্ড লেখার নিয়ম
- আর্টিকেলে হেডিং লেখার নিয়ম
- পোস্ট বা পেজ সূচীপত্র লেখার নিয়ম
- আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ বসানোর নিয়ম
- আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম
- পোষ্টের এলাইনমেন্ট ও লিস্ট তৈরি করার নিয়ম
- পার্মালিঙ্ক ও সার্চ ডেসস্ক্রিপশন লেখার নিয়ম
- শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম
- লেখকের শেষ কথাঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে শুরুতে জানতে হবে আর্টিকেল কাকে বলে। আর্টিকেল হল এমন একটি প্রবন্ধ বা লেখা, যা নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য প্রদান, বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে লেখা হয়। আর্টিকেল লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠকদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানো, বিনোদন দেওয়া ও কোন বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
একটি সুন্দর ও এসইও (SEO) বান্ধব আর্টিকেল লিখতে আপনাকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে, যার মাধ্যমে আপনার লেখার ক্যারিয়ার নেক্সট লেভেলে যেতে পারে। আর্টিকেল লেখা খুবই সহজ কাজ, কিন্তু এসইও (SEO) বান্ধব আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে বিষয় সম্পর্কে ও খুঁটিনাটি অনেক কৌশল জানতে হবে, নইলে আপনার আর্টিকেল লেখা অন্ধকারে হাতড়ানোর মত অবস্থা হবে।
আর্টিকেল লেখার নিয়ম-নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে হবে, কারণ এই আর্টিকেলে বড় বিষয় থেকে অনেক ছোটখাটো বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। আপনি যদি উন্নত মানের আর্টিকেল লিখতে চান, সে ক্ষেত্রে শুরুতে আপনাকে ৪টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরছি।
কিওয়ার্ড টার্গেট করাঃ কিওয়ার্ড শব্দের অর্থ, পাঠক যে সমস্ত শব্দ গুগলে সার্চ করার জন্য ইনক্লুড করে, অর্থাৎ কোন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য পাঠক যে সমস্ত শব্দ ও শব্দ সমষ্টি গুগল সার্চে ব্যবহার করে, সেগুলিকে আমরা কিওয়ার্ড বলতে পারি। আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে এই কিওয়ার্ড নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরী।
আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করাঃ লেখার শুরুতে আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করতে হবে, অর্থাৎ আপনার ৮০০, ১৫০০, ৩০০০ বা ৬০০০ শব্দের মধ্যে আর্টিকেল লেখার বিষয়টি নির্ধারণ করে লেখা শুরু করতে হবে।
আর্টিকেলের টাইপ নির্ধারণ করাঃ কোন কিওয়ার্ড গুলো গুগলে র্যাংক করছে, এ বিষয়টি নির্ধারণ করে লিখতে হবে।
আর্টিকেল বিশ্লেষণ করাঃ আপনার টার্গেট কিওয়ার্ড গুগল সার্চে টপ টেন র্যাংকে যেতে পারে কিনা এ বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে লিখতে হবে।
পাঠক জিজ্ঞাসাঃ SEO বান্ধব আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে পাঠক জিজ্ঞাসা অ্যাড করতে হবে। আপনি যখন গুগল এ কিওয়ার্ড সার্চ করবেন তখন নিচে থাকবে (People also ask for) এখানে যে ধরনের প্রশ্ন থাকবে তার উত্তর লিখতে হবে। লেখার শুরুতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনার আর্টিকেল গুগলে ভালো অবস্থান তৈরি করবে।
SEO বান্ধব আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে টাইটেল লেখার নিয়ম
SEO বান্ধব আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে টাইটেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, টাইটেলকে আমরা পোস্ট শিরোনাম বলতে পারি। একটি সুন্দর টাইটেল আপনার লেখাকে দর্শকের পড়ার ক্ষেত্রে প্রধান উপাদান হতে পারে, অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলের টাইটেল দেখে দর্শক যেন আকর্ষণ অনুভব করে ও আপনার আর্টিকেল পড়তে উৎসাহবোধ করে, এই বিষয়টি মাথায় রেখে টাইটেল নির্বাচন করতে হবে।
আর্টিকেলের টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ শব্দ ও সর্বোচ্চ ৮ শব্দ রাখতে হবে। টাইটেল আকর্ষণীয় করে লেখার জন্য ১০টি উপায়, ৫টি কারণ, ২০টি পদ্ধতি ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার আর্টিকেলের টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে কি, কেন, কিভাবে শব্দগুলো যোগ করলে টাইটেলটি পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হবে। পোস্ট বা আর্টিকেল লেখার টাইটেল দুই প্রকার হয়। নিম্নে উপস্থাপন করছি।
পোস্ট টাইটেলঃ পাঠকরা ওয়েবসাইটে যেভাবে আপনার পোস্টের টাইটেল দেখতে পায়, এটাই হলো পোস্ট টাইটেল।
মেটা টাইটেলঃ সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে আপনার পোস্ট পাঠকদেরকে দেখায়, এটাকে আমরা মেটা টাইটেল বলতে পারি। এসইও (SEO) সেটিংসে আপনি যদি মেটা টাইটেল নির্দিষ্ট করে না দেন, সে ক্ষেত্রে আপনার পোস্ট টাইটেল মেটা টাইটেল হিসেবে গুগল ধরে নিতে পারে।
আর্টিকেলে কিওয়ার্ড লেখার নিয়ম
আর্টিকেলে কিওয়ার্ড লেখার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, কিওয়ার্ড হলো আর্টিকেলের বিষয়। এসইও (SEO) বান্ধব কিওয়ার্ড গুলো একক শব্দ থেকে জটিল বাক্যাংশের মধ্যে হতে পারে। কিওয়ার্ড কে আমরা অন্য ভাষায় বলতে পারি, কিওয়ার্ড হলো কিছু নির্দিষ্ট শব্দের সমষ্টি যা সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খোঁজার ক্ষেত্রে টাইপ করা হয়।
অনুসন্ধানকারীরা যখন একটি কিওয়ার্ড টাইপ করে, তখন সার্চ ইঞ্জিন ওই জাতীয় যত তথ্য আছে তা ছাঁকনির মত ছেঁকে তার সামনে উপস্থাপন করে। এজন্য আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন, সেই কিওয়ার্ড ভালোভাবে নির্বাচন করে লেখা শুরু করতে হবে। সম্পূর্ণ পোস্টে অন্তত ১টি ও সর্বোচ্চ ৩টি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।
SEO এসইও বান্ধব কিওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে ২টি বিষয় মাথায় রেখে কাজ করা উচিত। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
পজিশনঃ গুগল অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড গুলোর র্যাংকিং অবস্থানকে বোঝায়। পজিশন নাম্বার যদি এক থাকে, সে ক্ষেত্রে ওই কি ওয়ার্ড এক নম্বরে র্যাংক করবে। আমাদের আর্টিকেল লেখার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য থাকে, এক নম্বরে র্যাংক করা।
ভলিউমঃ এই বিষয়টি আপনাকে ধারণা দিবে কতজন পাঠক এই কীওয়ার্ড নিয়ে প্রতিমাসে সার্চ করে।
এখন আমরা কীওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্ষেত্রে আরো দুইটি যে বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে পারি, তা উপস্থাপন করছি।
শর্ট টেইল কিওয়ার্ডঃ এই কিওয়ার্ডগুলো সাধারণত এক থেকে তিন শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে, যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, বিদেশ ভ্রমণ ইত্যাদি।
লং টেইল কিওয়ার্ডঃ সাধারণত তিন বা তার বেশি শব্দ নিয়ে গঠিত কিওয়ার্ড কে লং টেইল কিওয়ার্ড বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা অনলাইন ইনকামের সেরা উপায় ইত্যাদি। কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্ষেত্রে আপনারা বেশ কিছু ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন নিম্নে উপস্থাপন করছি।
এসইএমরাশ (SEMrush) এটি একটি পেইড ওয়েবসাইট, অর্থাৎ টাকা খরচ করে আপনি দেখতে পাবেন কোন কিওয়ার্ডের কারণে আপনার ওয়েবসাইট র্যাংকিংয়ে আছে এবং আপনার প্রতিযোগীর কিওয়ার্ড গুলোর অবস্থান সম্পর্কেও ধারণা পাবেন।
কীওয়ার্ড প্লানার (Keyword planner) এটি গুগলের অফিসিয়াল টুল। এর মাধ্যমেও আপনি বেশ ধারণা পাবেন।
আরেফস(Ahrefs) এটা বেশ ভালো কাজ করে, এর মাধ্যমেও আপনারা রিসার্চ করতে পারবেন।
লং টেইল প্রো (Long tail pro) যেকোনো লং টেইল কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
পোস্ট কিওয়ার্ড ডেনসিটি এবং অবস্থান কেমন হওয়া উচিতঃ এই বিষয়টি নির্ণয় করা একটু জটিল প্রক্রিয়া। আপনার টার্গেট কিওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে কিওয়ার্ড এর ডেনসিটি মেইনটেইন করতে হবে। আপনার কনটেন্টের মেইন কিওয়ার্ড অবশ্যই আর্টিকেলের দুই ভাগের মধ্যে থাকবে। এসইও (SEO) বান্ধব মেইন আর্টিকেলের লিখতে কিওয়ার্ড এর সাথে আরো কিছু শব্দ যোগ করে লং টেইল এল এস আই (LSI) কিওয়ার্ড তৈরি করলে আপনার আর্টিকেলটি ফার্স্ট ক্লাস হিসেবে র্যাংকিংয়ে প্রথম স্থান নিতে পারে।
আরো যে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের কে কীওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে তা উপস্থাপন করছি।
- যে কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লেখা হবে, সেটা পোষ্টের টাইটেল হিসেবে রাখা উচিত।
- আপনার ওয়েবসাইটে মেটা ডেস্ক্রিপশন সংযুক্ত করতে হবে যেন গুগল সেটা ভালোভাবে খুঁজে পায় এবং পাঠক ভালোভাবে বুঝতে পারে।
- এইচ টু (H2) ও এইচ থ্রি (H3) ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
- ফোকাস কিওয়ার্ড সম্পূর্ণ কনটেন্ট এর মধ্যে হুবহু ১০ বার লিখতে হবে।
- একই কি ওয়ার্ড অন্তত পাঁচবার মডিফাই করে লিখতে হবে।
- সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড সম্পূর্ণ কনটেন্ট এর মধ্যে হুবহু পাঁচবার ব্যবহার করতে হবে সাথে তিনবার মডিফাই করে ব্যবহার করতে হবে।
- সম্পূর্ণ কনটেন্টের মধ্যে সর্বনিম্ন পাঁচটি লং টেইল এলএসআই (LSI) কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- কিওয়ার্ড দিয়ে হেডিং প্যারা লেখা শুরু করতে হবে।
- মেটা ডেস্ক্রিপশন এর মধ্যে ফোকাস ও সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- পার্মালিঙ্ক লেখার ক্ষেত্রে দুইটি শব্দ ব্যবহার করতে হবে এবং ইংরেজি ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।
ভূমিকা বাটন বা অ্যাকশন বাটন তৈরি করার নিয়ম
ভূমিকা বাটন বা একশন বাটন তৈরি করার নিয়ম হিসেবে বলা যেতে পারে, এই বাটনটি পোষ্টের শুরুতে রাখতে হবে। ভূমিকা বাটনে সাধারণত আপনার পোস্ট রিলেটেড অন্য একটি পোষ্টের লিংক বাটন হিসেবে প্রকাশ করতে হয়। এই বাটনটি আকর্ষণীয় করতে হয়, কারণ এটা দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন হতে হবে তেমনি পাঠক যেন এই পোস্ট পড়ার সাথে সাথে ভূমিকা বাটন এর পোস্ট সম্পর্কে আগ্রহ অনুভব করে।
ভূমিকা বাটন তৈরি করার জন্য প্রথমে বাটন সম্পর্কিত ফর্মুলা আপনার পোষ্টের এইচ টি এম এল(HTML) ভি ইউ তে যেয়ে বসাতে হয় এবং কিছু কিছু স্থানে এডিট করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ ফর্মুলাটা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।<a href="লিঙ্ক"><button class="btn btn-block btn btn-raised btn-secondary">ভূমিকা বাটন শিরোনাম</button></a> এই ফর্মুলাটি ব্যবহার করলে আপনার বাটনটি দেখতে অনেক সুন্দর হবে।
ভেতরে বিভিন্ন কালার সেটআপ করার কারণে আরো আকর্ষণীয় হবে দর্শকদের দেখার ক্ষেত্রে এবং বাটনটি যেহেতু লিঙ্কআপ করা থাকবে অন্য একটি পোষ্টের সাথে,সে ক্ষেত্রে এই বাটনে সরাসরি চাপ দিলে অন্য একটি পোষ্ট ওপেন হয়ে যাবে। আমাদের পোস্ট লেখার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে পাঠকদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে জানানো, তার সাথে ইনকামের একটি সম্পর্ক রয়েছে যা এই বাটনের মাধ্যমে আরো ভালোভাবে হতে পারে।
আর্টিকেলে হেডিং লেখার নিয়ম
আর্টিকেলে হেডিং লেখার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, সঠিকভাবে SEO বান্ধব করার জন্য হেডিং একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এসইও বান্ধব থিমে পোষ্টের টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে এইচ ওয়ান ব্যবহার করা হয়। এইচ ওয়ান সম্পূর্ণ কনটেন্টে একবার ব্যবহার করা হয়। প্যারাগ্রাফ হিডিংগুলো এইচ টু (H2) ট্যাগে লিখতে হয়। এইচ ত্যাগকে হেডিং ট্যাড হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
হেডিং ট্যাগ এক থেকে ছয় পর্যন্ত হয়ে থাকে। এইচ ওয়ান ট্যাগে পোস্ট শিরোনাম লিখতে হয়। প্যারাগ্রাফ হেডিংগুলো সাধারণত এইচ টু (H2) ট্যাগ এর মধ্যে লেখা হয়ে থাকে। সাব হেডিং হিসেবে এইচ থ্রী (H3) সহ অন্যান্য এইচ ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এসইও (SEO) বান্ধব ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে এইচ ট্যাগের ব্যবহার খুবই দক্ষতার সাথে ও সাবধানতার সাথে করতে হয়।
যখন দীর্ঘ পোস্ট লেখা হয় তখন এইচ ট্যাগের ব্যবহার ভালোভাবে করতে হয়, কারণ এইচ (H) ট্যাগ এর ব্যবহার গুগল ভালোভাবে বুঝতে পারে। হেডিং লেখার ক্ষেত্রে গুগল কর্তৃক যে সমস্ত নিয়ম নীতি রয়েছে তা ভালোভাবে পালন করলে আপনার পোস্ট গুগলে এক নম্বরে র্যাংক করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এসইও (SEO) কমিউনিটিতে এইচ ওয়ান (H1), এইচ টু (H2) ও এইচ থ্রী (H3) ট্যাগের সঠিকভাবে ব্যবহারের বিষয়ে যত্নবান হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বন্ধ করার পদ্ধতি
এইচ টু (H2) এর নিচে সর্বনিম্ন তিনটি প্যারা রাখতে হবে। এইচ টু (H2) এর নিচে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয়টি প্যারা রাখা যাবে, এর বেশি হলে সাবহেডিং দিয়ে লিখতে হবে। একটি প্যারাতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তিন লাইন লেখা থাকতে হবে। এই বিষয়গুলো ভালোভাবে পালন করলে আপনার আর্টিকেলের মান অনেক ভালো হয়ে যাবে ও গুগল সার্চ ইঞ্জিনে এক নম্বরে র্যাংক করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
মেটা ডেস্ক্রিপশন বা ভূমিকা লেখার নিয়ম
মেটা ডেসক্রিপশন বা ভূমিকা লেখার নিয়ম হিসেবে আমরা বলতে পারি, মেটা ডেস্ক্রিপশন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেল র্যাংক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মেটা ডেসক্রিপশন এর কোয়ালিটির উপরে আপনার লেখাকে প্রথমত বিবেচনা করা হয়। মেটা ডেস্ক্রিপশন আকর্ষণীয় হলে আপনার পোস্ট ভালোভাবে গুগলে এক নম্বরে র্যাংক করতে পারে।
মেটা ডেস্ক্রিপশন লেখার ক্ষেত্রে ১৫৬ অক্ষর এর মধ্যে কীওয়ার্ড স্থাপন করতে হয়। এসইও (SEO) বান্ধব ভূমিকা বা মেটা ডেস্ক্রিপশন লেখার ক্ষেত্রে প্রথমে দুই লাইন তারপর ফিচার ইমেজ তারপর দুই লাইন লেখা রাখতে হয়, অর্থাৎ ফিচার ইমেজের উপরে দুই লাইন এবং নিচে দুই লাইন মেটা ডেস্ক্রিপশন হিসেবে রাখতে হবে। মেটা ডিসক্রিপশন লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন আকর্ষণীয় করে লিখতে হবে যে, সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য দর্শক যেন আগ্রহ অনুভব করে।
মেটা ডেস্ক্রিপশন এর উপরের দুই লাইন সার্চ ডেসস্ক্রিপশন হিসেবে সেটিংস থেকে ইনক্লুড করতে হবে, তাতে গুগল আপনার পোষ্টের নিচে মেটা ডেসক্রিপশন হিসেবে যেন এই লেখাগুলো রাখতে পারে। আপনি যদি সার্চ ডেসস্ক্রিপশন এ এই লেখাগুলো ইনক্লুড না করেন, সেক্ষেত্রে গুগল তার পছন্দমত আপনার পোষ্টের যেকোনো অংশ থেকে সার্চ ডেসস্ক্রিপশন হিসেবে নিয়ে নিতে পারে।
পোস্ট বা পেজ সূচীপত্র লেখার নিয়ম
পোস্ট বা পেজ সূচিপত্র লেখার নিয়ম হিসেবে আমরা বলতে পারি, আপনার পোষ্টের শুরুতে মেটা ডেসক্রিপশন এর নিচে পোস্ট সূচীপত্র লিখতে হয়। এই সূচিপত্র ব্যবহার করলে একদিকে যেমন পাঠক প্যারাগ্রাফ হেডিংগুলো সূচি হিসেবে দেখতে পায়, অন্যদিকে গুগল এর ক্ষেত্রে এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বোঝার ক্ষেত্রে সহজ হয়ে যায়, যার মাধ্যমে আপনার পোস্ট এক নম্বরে র্যাংক করতে পারে।
পেজ সূচিপত্রে আপনার আর্টিকেলে প্যারাগ্রাফ হেডিংগুলো সুন্দরভাবে সাজানো থাকবে। পেজ সূচিপত্রের প্রত্যেকটি লাইনের সাথে প্যারাগ্রাফ হেডিং এর লিংক করা থাকবে। পেজ সূচিপত্রের কোন একটি বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে ওই প্যারাগ্রাফে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি লিংক কিভাবে করবেন এ বিষয়ে একটি নমুনা প্রদর্শন করছি।
id="নাম্বার" এই ফর্মুলাটি আপনার পোস্টের এইচ টি এম এল (HTML) ভিউ তে যেয়ে প্রত্যেক প্যারাগ্রাফ হেডিং এর আগে এইচ টু (H2) ট্যাগের পর বসাতে হবে এবং নাম্বারের জায়গাতে এক দুই ক্রম অনুযায়ী যতগুলো হেডিং রয়েছে সেখানে বসাতে হবে। এই প্যারাগ্রাফ হেডিংগুলো তে যে নাম্বার বসানো হয়েছে সেই নাম্বার গুলো পেজ সূচিপত্রের প্রত্যেকটি নামের সাথে লিংক করতে হবে।
পেজ সূচিপত্রের প্রত্যেকটি হেডিং এর সাথে লিংক করার জন্য এই লাইনটি সম্পূর্ণ সিলেক্ট করে উপরে যে লিংক বাটন রয়েছে সেখানে লিংক করে তার নিচে প্যারাগ্রাফ হেডিং এর নাম্বার হুবহু হ্যাশ চিহ্ন দিয়ে বসাতে হবে। এরপর সেভ বাটনে ক্লিক করলে আপনার পেজ সূচিপত্রের প্রত্যেকটি হেডিং লাইনের সাথে প্যারাগ্রাফের স্থান লিঙ্কআপ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার
এই পেজ সূচিপত্রের সম্পূর্ণ অংশ ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ও দুই পাশে লম্বা স্টাইল লাইন তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদের কে এডিট এইচটিএমএল (HTML) এ যেয়ে পেজ সূচিপত্রের লাইনে ইউ এল(UL) এরপর একটি স্পেস দিয়ে এই ক্লাসটি লিখতে হবে class="alert info" এরপর সেভ বাটনে ক্লিক করার পর আপনি ব্লগ ভিউতে এসে একটি সুন্দর ডিজাইন দেখতে পাবেন।
আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ বসানোর নিয়ম
আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ বসানোর নিয়ম সম্পর্কে বলা যেতে পারে, একটি ইমেজ আপনার সম্পূর্ণ আর্টিকেলের সাথে সামঞ্জস্যতা এনে দর্শকের মনে আর্টিকেলটি পড়ার বিষয়ে দ্বিগুণ আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য বিষয় সংশ্লিষ্ট ফিচার ইমেজ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী। ফিচার ইমেজ তৈরি করার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে তা উপস্থাপন করছি।
ফিচার ইমেজ দুই রকম ভাবে তৈরি করা যেতে পারে, ফটোশপ ও ফটো পিয়ার মাধ্যমে। ফটো পিয়ার মাধ্যমে ফিচার ইমেজ তৈরি করা বেশ সহজ ও ইফেক্টিভ হয়ে থাকে। শুরুতে আপনাকে মাইক্রোসফট বিং থেকে ইমেজ জেনারেটর অপশন থেকে এ আই (AI) জেনারেটেড ইমেজ তৈরি করতে হবে। ইমেজ তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে বিস্তারিত কমান্ড লিখতে হবে।
এআই (AI) যখন আপনার বর্ণনা অনুযায়ী ফিচার ইমেজ তৈরি করে দিবে তখন আপনার আর্টিকেলের প্রসঙ্গের সাথে যদি প্রাসঙ্গিক হয়, সে ক্ষেত্রে ফটোপিয়া তে এসে রিসাইজ ও এডিট করতে হবে। সম্পূর্ণ কনটেন্ট এর জন্য আমাদেরকে তিনটি ফিচার ইমেজ তৈরি করতে হবে। ফটো এডিটিং বা তৈরি করার জন্য আমরা অর্ডিনারি আইটি প্রদত্ত ফিচার ইমেজ ফাইল ব্যবহার করতে পারি।
এসইও (SEO) বান্ধব ফিচার ইমেজ তৈরি করার জন্য আমরা সাইজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি ১১০০/৬১৯ পি এক্স। প্রত্যেকটি ইমেজ তৈরি করার পর অল্টারটেক্সট ও টাইটেল টেক্সট বসাতে হবে। প্রত্যেকটি ফিচার ইমেজ প্রথমত ৩৩ কিলোবাইট এর মধ্যে রাখতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ৫০ কিলোবাইট ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফিচার ইমেজ মেটার ডিসক্রিপশন এর প্রথম দুই লাইনের পর একটি ব্যবহার করতে হবে। আপনার কনটেন্ট যদি পনেরশো শব্দ বা এর বেশি হয় তাহলে দ্বিতীয় ফিচার ইমেজটি আপনার কনটেন্টের পাঁচ নম্বর হেডিং এর প্রথম প্যারার নিচে বসাতে হবে। তিন নম্বর ফিচারই ইমেজটি ৮ নম্বর হেডিং এর প্রথম প্যারার নিচে বসাতে হবে।
আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম
আর্টিকেলের বডি লেখার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, একটি আর্টিকেলের সমস্ত তথ্য এই বডি সেকশনে থাকে। বডি সেকশনে আপনার আর্টিকেলের অন্যান্য ইনফরমেশন, বিভিন্ন ডিজাইন ও লিংক ইনক্লুড করা থাকে। বডি সেকশন যদি ইনফরমেটিভ হয়, সে ক্ষেত্রে পাঠক আপনার সম্পূর্ণ কনটেন্ট পড়তে উৎসাহবোধ করবে।
আর্টিকেলের বডি সেকশনে আপনার আর্টিকেল যদি ১৫০০ শব্দের হয়, সে ক্ষেত্রে সর্বমোট দশটি প্যারা গ্রাফ হেডিং ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকটি প্যারাগ্রাফ হেডিং সর্বোচ্চ ৮ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। প্রত্যেক হেডিং এর নিচে সর্বনিম্ন তিনটি ও সর্বোচ্চ ছয়টি প্যারা রাখতে হবে। প্রত্যেক প্যারাতে তিনটি লাইন থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের ইংরেজি, বাংলা ও আরবি মাসের ক্যালেন্ডার
আর্টিকেলের বডিতে যে লেখাগুলো থাকবে তা সঠিক ও অথেন্টিক ইনফর্মেশন দিতে হবে। এআই(AI) দিয়ে লেখা কনটেন্ট আর্টিকেলের বডিতে ইনক্লুড করা যাবে না। অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে লেখা কপি করে বসানো যাবে না। আপনি আপনার তথ্য বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করবেন এবং সেই তথ্যগুলো আপনার নিজের মত করে সাজিয়ে আপনার আর্টিকেলের বডিতে উপস্থাপন করবেন।
আপনার আর্টিকেলে যদি কপিরাইট কোন ইস্যু তৈরি হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ব্যান্ড থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় আপনি পড়ে যাবেন, এজন্য প্লেজারিজম এর বিষয়ে আপনাকে জ্ঞান রাখতে হবে। লেখার ভাষা সুন্দর ও সাবলীল করতে হবে। আপনার আর্টিকেল পড়ে যেন পাঠক আপনার সাথে গল্প করছে বা আপনার গল্প সামনাসামনি শুনছে এমন অনুভূতি অনুভব করে।
ইন্টার্নাল লিঙ্ক ও এক্সটার্নাল লিঙ্ক যোগ করা
ইন্টার্নাল লিঙ্ক ও এক্সটার্নাল লিঙ্ক যোগ করা বিষয়ে আমরা বলতে পারি, আমাদের আর্টিকেলটি সুন্দর ও এসইও (SEO)বান্ধব করার জন্য এই দুই ধরনের লিংক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এই দুই ধরনের লিংক ব্যবহার করলে আপনার আর্টিকেল অনেক লিংক এর সাথে সার্কেল ওয়াইজ লিঙ্ক আপ হয়ে যাবে, যার মাধ্যমে আপনার কনটেন্ট থেকে লিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত কনটেন্ট এর মধ্যে পাঠক বিচরণ করতে পারবে।
ইন্টার্নাল লিঙ্ক কে আমরা "আরো পড়ুন" সেকশন হিসেবে বলতে পারি। পনেরশো শব্দের একটি কনটেন্ট এর মধ্যে ৪টি আরো পড়ুন সেকশন রাখতে হবে। ৩০০০ শব্দের কনটেন্ট এর জন্য ছয়টি আরও পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে হবে। ৩ নম্বর ও ৪নম্বর প্যারাগ্রাফে ২টি ও ৬ ও ৭ নম্বর প্যারাগ্রাফ এ ২টি আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
আরো পড়ুন সেকশনে অন্য পোষ্টের লিংক ইনক্লুড করতে হবে এবং এই সেকশনটি সুন্দর স্টাইলিশ করার জন্য পোষ্টের এডিট এইচটিএমএল (HTML) ভিউ তে যেয়ে আরো পড়ুন সেকশনের বি ট্যাগ বা ডিভ ট্যাগ এর পর একটি স্পেস দিয়ে class="alert info" ক্লাসটি লিখতে হবে এবং সেভ করতে হবে। এই কাজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনক্রমেই ছোট ছোট চিহ্নগুলো মুছে না যায়।
এক্সটার্নাল লিঙ্ক হিসেবে আমরা অন্যান্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক ইনক্লুড করতে পারব। আপনি যে বিষয়টি আপনার পোষ্টের মধ্যে উপস্থাপন করছেন সে বিষয়ে যদি আরও তথ্য পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে হয়, সে ক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিংক এখানে উপস্থাপন করতে পারবেন। এই লিংক করার জন্য যে শব্দটি আপনি লিংক হিসেবে করবেন, সেটা সিলেক্ট করে আপনার উপরে লিঙ্ক সেমবল টি প্রেস করে তার মধ্যে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক বসাতে হবে।
পোষ্টের অ্যালাইনমেন্ট ও লিস্ট তৈরি করার নিয়ম
পোষ্টের অ্যালাইনমেন্ট ঠিক রাখার নিয়ম হিসেবে আমরা বলতে পারি, একটি আর্টিকেলের সৌন্দর্য নির্ভর করে আপনার বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহারের উপর। পাঠক আপনার আর্টিকেলটি তখনই পড়ে আনন্দ পাবে যখন আর্টিকেলের প্রত্যেকটি সেকশন সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা থাকবে। আপনি যদি পোষ্টের অ্যালাইনমেন্ট ও লিস্টিং ঠিকমত ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে এটা দেখতে আরো আকর্ষণীয় হবে।
পোষ্টের অ্যালাইনমেন্ট কি করার জন্য আপনাকে আপনার আর্টিকেলের এডিট অপশনে জাস্টিফাই বাটনের মাধ্যমে অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করতে পারবেন। এটা করলে আপনার পোস্ট দেখতে বইয়ের লেখার মত দুই সাইডে প্রত্যেকটি লাইন সমান ভাবে উপস্থাপিত হবে। একটি সুন্দর আর্টিকেল উপস্থাপনের জন্য অ্যালাইনমেন্ট খুবই জরুরী।
আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে বিভিন্ন সময় লিস্ট স্টাইলে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করার প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে আপনি এডিটিং বারে বুলেট লিস্ট ও নাম্বার লিস্ট এই দুটি অপশনের মাধ্যমে লিস্ট এর কাজ সুন্দরভাবে করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য যেই অংশটুকু লিস্টের আওতায় আনবেন সেই অংশটুকু প্রথমে সিলেক্ট করুন তারপর লিস্টিং টুল ক্লিক করলেই হয়ে যাবে।
শেষ কথা ও পাঠক জিজ্ঞাসা অ্যাড করার নিয়ম
শেষ কথা ও পাঠক জিজ্ঞাসা অ্যাড করার নিয়ম হিসেবে আমরা বলতে পারি, আপনার সম্পূর্ণ কনটেন্ট পাঠক যখন পড়বেন, বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাবেন, তারপর যখন লেখক এর শেষ কথাতে আপনি আপনার মন্তব্য তুলে ধরবেন, তখন পাঠক একটি নির্দিষ্ট ফলাফল হিসেবে আপনার সম্পূর্ণ কনটেন্টের বিষয়টি বুঝতে পারবে।
শেষ কথার নিচে পাঠক জিজ্ঞাসা নামক একটি অপশন আপনারা তৈরি করবেন। আপনি যখন বিভিন্ন কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করেন, সে ক্ষেত্রে নিচে দেখা People also ask for এই অপশনে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি পাঠক জিজ্ঞাসা অপশনে রাখতে পারেন, তাতে আপনার পাঠকরা নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
লেখকের শেষ কথাতে দুইটি প্যারা সংযুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক প্যারাতে দুই থেকে তিন লাইন লেখা রাখতে হবে। প্রথম দুই লাইনে আর্টিকেল সম্পর্কিত আপনার মন্তব্য ও পরের দুই লাইনে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কিত কথা লিখতে পারেন। পাঠক জিজ্ঞাসা অপশনে আপনি দুই দুইটি তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।
পার্মালিঙ্ক ও সার্চ ডেসস্ক্রিপশন লেখার নিয়ম
পার্মালিঙ্ক ও সার্চ ডেসস্ক্রিপশন লেখার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে একটি এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে পার্মালিঙ্ক ইনক্লুড করা অত্যন্ত জরুরী সাথে সার্চ ডেসস্ক্রিপশন লিখে দিলে গুগল আপনার লেখাটি র্যাংক করাতে সুবিধা পায়। পার্মালিঙ্ক লিখলে আপনার ডোমেইনের পর আর্টিকেলের বিষয় শো করে।
পার্মালিঙ্ক লেখার ক্ষেত্রে ইংরেজি ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু থেকে দুটি শব্দ মাঝখানে ড্যাশ চিহ্ন দিয়ে লিখলে তা এসইও (SEO) এর ক্ষেত্রে ভালো সুবিধা পাওয়া যায়। পার্মালিঙ্ক লেখার সময় বাংলা শব্দ ও ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। দুইটি শব্দের মাঝখানে ড্যাশ চিহ্ন না দিলে পার্মালিঙ্ক ভালো হবে না।
সার্চ ডেসস্ক্রিপশন এর ক্ষেত্রে আপনার মেটা ডেস্ক্রিপশন এর প্রথম দুই লাইন ইনক্লুড করতে পারেন, এ ক্ষেত্রে গুগল আপনার আর্টিকেল শিরোনামের নিচে এই লেখাটি উপস্থাপন করতে পারবে, অন্যথায় গুগল নিজের মতো করে যে কেন স্থান থেকে কথা নিয়ে আপনার সার্চ ডেসস্ক্রিপশন হিসেবে উপস্থাপন করবে।
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, বাংলা একাডেমি, বাংলা বানানের নিয়ম ও প্রমিত বাংলা নিয়ম প্রথম তিন সংস্করণের সাথে সর্বশেষ প্রকাশিত শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম বা নিয়মের সাথে মিল বেশ কম রয়েছে। আজকে আমরা বাংলা বানানের নিয়মের সাথে বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রদত্ত সঠিক বাংলা বানানের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চলেছি।
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম (তৎসম শব্দ)
তৎসম শব্দের শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের নির্দিষ্ট বানানগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে।
ই ঈ ও উ ঊ শব্দের শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম
ই- কার যুক্ত শব্দঃ যেসব শব্দ দ্বারা জাতি ও ভাষা বোঝানো হয়, সেই সমস্ত শব্দে ই কার ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
- ইংরেজি, আরবি, ইহুদি, পাকিস্তানি ইত্যাদি।
ঈ- কার যুক্ত শব্দঃ নারী, জননী, দেবী, পত্নী, লক্ষ্মী, ছাত্রী, সুখী, স্বরস্বতী, মেধাবী ইত্যাদি।
যদি শব্দের শেষে "আলি" বিশেষণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ই কার বসে। যেমনঃ
- রুপালি, পূবালি, মেয়েলি বর্ণালি ইত্যাদি।
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম (ইন্-যুক্ত শব্দ)
ইন্-যুক্ত শব্দ যদি দীর্ঘ ঈ-কার যুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে ই-কার হবে। যেমনঃ
- মন্ত্রিসভা, গুণিজন, প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রিপরিষদ ইত্যাদি।
ইন্-যুক্ত শব্দ যদি ত্ব এবং তা যুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে ই কার হবে। যেমনঃ
- দায়িত্ব, মন্ত্রিত্ব, সাহিত্য, প্রতিযোগিতা, বিলাসিতা ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম বিসর্গ (ঃ)যুক্ত শব্দ
যে সমস্ত শব্দের শেষে বিসর্গ ব্যবহার হবে না। যেমনঃ- ক্রমশ, প্রায়শ, ফলত, বস্তুত, মনঃকষ্ট, প্রাতঃকাল, দুঃখ, কার্যত ইত্যাদি।
- পুনঃপুন, নিঃশব্দ, দুঃখ, স্বতঃস্ফূর্ত ইত্যাদি।
- নিস্তব্ধ, বহিস্ত, দুস্থ, নিষ্পৃহ, নিশ্বাস ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দিত্ব শব্দ)
বাংলা বানানের যে সমস্ত শব্দে দিত্ব ব্যবহৃত হবে না। যেমনঃ
- অর্জন, কার্তিক, সূর্য, বার্ধক্য, মুর্ছা, কর্ম ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (ঙ, ং)
সন্ধির ক্ষেত্রে ক বর্গিও বর্ণমালার পূর্বে যদি ম থাকে সেক্ষেত্রে ং ব্যবহৃত হবে। যেমনঃ
- অহম্+কার= অহংকার, সংঘাত, সংকীর্ণ, ভয়ংকর, শুভঙ্কর, সংগঠন হুংকার ইত্যাদি।
শব্দটি যদি সন্ধিজাত না হয়, সে ক্ষেত্রে ক বর্গের অক্ষর থাকলে তার পূর্বে ম এর জায়গায় ঙ হবে যেমনঃ
- কাঙ্খিত, পঙ্গু, ভঙ্গি, আকাঙ্ক্ষা, বঙ্কিম, বঙ্গ, অঙ্ক ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (অতৎসম শব্দ)
ই, ঈ, উ, ঊ যুক্ত শব্দের বাংলা বানানের নিয়ম
সাধারণত বাংলা বানানের সঠিক নিয়মের ক্ষেত্রে অতৎসম শব্দে শুধুমাত্র ই এবং উ কার ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ
- ইরানি, ঈমান, ওকালতি, কুমির, কাহিনী, কেরামতি, উকিল, আরবি, পড়শী, ভুতুড়ে, জানুয়ারি, খুশি, ইংরেজি, গোয়ালিনী, চাচি ইত্যাদি।
-
বুনো, ধুলো, মুলো ইত্যাদি।
- মেয়েটি, বালকটি, মানুষটি, বাড়িটি, বইটি ইত্যাদি।
- তোমার কী অনেক বেদনা। আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে ইত্যাদি।
- কীভাবে পারলে এটা। কীরূপে প্রকাশ করি বল ইত্যাদি।
- তুমি কি খাবার খাবে? গতকাল কি সে এসেছিল? ইত্যাদি।
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম (এ, অ্যা যুক্ত শব্দ)
বাক্যে এ বা একার যুক্ত হলে এ বা অ্যা উভয়কেই বোঝায়। যেমনঃ- কেনো, খেলো ইত্যাদি।
- ব্যাঙ, ল্যাঠা, ল্যাটিন, কল্যাণ ইত্যাদি।
- অ্যাকাউন্ট, ক্যাসেট, ভ্যাট, ব্যাংক ইত্যাদি।
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম (ও যুক্ত শব্দ)
ক্রিয়াপদ বাচক শব্দের শেষে ও কার ব্যবহার না করলেও হবে। যেমনঃ- দেখত, লড়ব, নাচব, লিখব ইত্যাদি।
- দেখো, চলো, কেনো, করো ইত্যাদি।
- হাসানো, কাদানো, পড়ানো, লেখানো, খাওয়ানো ইত্যাদি।
- হাসো, পড়ো, ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (ক্ষ, খ যুক্ত শব্দ)
অসৎসম শব্দের শেষে ব্যবহৃত হবে। যেমনঃ
- খুদ, খুর, খিদে, খ্যাপা, খেত ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (জ, য যুক্ত শব্দ)
কিছু কিছু বিদেশী শব্দ বাংলা ভাষার নিয়ম অনুযায়ী লিখতে হয়। যেমনঃ
- হাজার, জানুয়ারি, বাজার, জানোয়ার, জিরাফ, জাহাজ, জুলুম, জাদু, কাগজ ইত্যাদি।
কিছু ইসলামিক শব্দে য ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
- রমযান, আযান, কাযা, ওযু, যোহর, হযরত, নামায ইত্যাদি।
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম (মূর্ধন্য ণ দন্ত্য ন যুক্ত শব্দ)
ত বর্গের আগে ন বসাতে হয়। যেমনঃ- শান্ত, ক্লান্ত, প্যান্ট, একান্ত, অনন্ত, রান্না ইত্যাদি।
- ত্রিনয়ন, দুর্নাম, দুর্নীতি, দুর্নিবার ইত্যাদি।
- ফার্নিচার, গ্রীন, ড্রেন, ঝরনা, আয়রন, আপন ইত্যাদি।
- জ্বলন্ত, অনন্ত, উইন্টার, বন্ধু, ইন্টার, টেন্ডার, প্যান্ট, মন্ত্রী ইত্যাদি।
- পারেন, করেন, ধরেন, হাসেন, লিখেন ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (শ, ষ, স যুক্ত শব্দ)
ঋ কার এর পরে ষ বসাতে হয়। যেমনঃ- তৃষ্ণা, ঋষি, বৃষ্টি, সৃষ্টি ইত্যাদি।
- ধর্ষণ, বর্ষণ, ঘর্ষণ, আকর্ষণ, বিকর্ষণ, বিমর্ষ ইত্যাদি।
- বলিষ্ঠ, কনিষ্ঠ, অনিষ্ট, সুষ্ঠু ইত্যাদি।
- আভাষ, দূষণ, বিষান, পাষাণ, আনুষ, অভিলাষ ইত্যাদি।
- নাশতা, পোশাক, শয়তান, শখ, বেহেশত ইত্যাদি।
- কস্তুরী, কাস্তে, স্থান ইত্যাদি।
- আশ্চর্য, বৃশ্চিক, নিশ্চয় ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (বিদেশি শব্দ ও যুক্তবর্ণ যুক্ত শব্দ)
বিদেশি শব্দের শুরুতে যুক্ত বর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। যেমনঃ- স্টেশন, ড্রিংকস, স্প্রিং, স্ট্রিট ইত্যাদি।
- মার্কস, ইসরাফিল, চেয়ার, শেকসপিয়ার, আলমারি ইত্যাদি।
- পার্টি, অর্ডিনারি, ইউনিভার্সিটি, আইটি ইত্যাদি।
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম (হস-চিহ্ন যুক্ত শব্দ)
বাংলা আর্টিকেলে এজাতীয় শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো। যেমনঃ- বললেন, ফটফট, কলকল, টাক, টন, টক, ঝরঝর, করলেন, শখ, হুক ইত্যাদি।
- বাহ্, যাহ্, হেহ্, উহ্ ইত্যাদি।
বাংলা বানানের নিয়ম (ঊর্ধ্ব কমা যুক্ত শব্দ)
এজাতীয় শব্দ আর্টিকেলে ব্যবহার না করা ভালো। যেমনঃ
- বলে = বলিয়া, দুজন = দুইজন, আল = আইল, লিখে = লিখিয়া, খেলে = খেলিয়া ইত্যাদি।
এছাড়াও বাংলা বানানের নিয়ম বাংলা একাডেমিক কর্তৃক কিছু রয়েছে
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (সমাসবদ্ধ শব্দ)
সমাসবদ্ধ শব্দ একসাথে লিখতে হবে। যেমনঃ- সংবাদপত্র, অদৃষ্টপূর্ব, সমস্যাপূর্ণ, স্বভাবগতভাবে, নেশাগ্রস্ত, পিতাপুত্র, পূর্বপরিচিত ইত্যাদি।
- বাপ-বেটা, বেটা-বেটি, মা-মেয়ে, মা-ছেলে, জল-স্থল-আকাশ ইত্যাদি।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (বিশেষণ শব্দ পদ)
বিশেষণ পদ যুক্ত শব্দ সাধারণত পরের শব্দের সাথে যুক্ত হয় না। যেমনঃ
- সুন্দরী মেয়ে, মজার বই, লাল গোলাপ, সুগন্ধি ফুল, দুষ্টু ছেলে, ভালো দিন ইত্যাদি।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (সর্বনাম পদ)
ব্যক্তি, পদবী ও মর্যাদা অনুযায়ী বাংলা ভাষায় সবাইকে তিনি তার ও তাকে ব্যবহার করে সম্বোধন করতে হয়। বয়স, পদবী নির্বিশেষে আপনি সম্বোধন করা হয়।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (না বাচক শব্দ)
না বাচক শব্দে প্রথম নি স্বাধীন এবং পরের নি টি ছমাসবদ্ধ হিসেবে লিখতে হয়। যেমনঃ- পড়িনা, কিন্তু পড়িনি।
- নাছোড়বান্দা, নাজেহাল, নারাজ, নাবালক ইত্যাদি।
- না-বলা কথা, না-গোনা পাখি, হার না-মানা মানুষ ইত্যাদি।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (চন্দ্রবিন্দু যুক্ত শব্দ)
চন্দ্রবিন্দু যুক্ত শব্দ মুখস্ত করে রাখা ভালো। যেমনঃ
- কাঁটা, দাঁত, কাঁপ, আঁধার ইত্যাদি।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মে কিছু সাধু থেকে চলিত রূপের বাংলা বানান রয়েছে তা হলঃ
- দিয়া >দিয়ে, হইল> হল, যাউক> যাক, লিখ> লেখ, গুলি> গুলো, শুন> শোন শুকনা> শুকনো, বলেক> বলুক, পড়ুক> পড়ো, নাচুক-নাচো, ভিজা> ভেজা, পূজা> পূজো ইত্যাদি।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (ব্য - ব্যা)
কিছু অক্ষরের আগে ব্য ব্যবহার হয়। যেমনঃ ত, ব, থ, গ, ষ্ট, স্ত ইত্যাদি। যেমনঃ- ব্যক্তি, ব্যভিচার, ব্যবস্থা, ব্যর্থ, ব্যতিক্রম, ব্যথা, ব্যস্ত, ব্যক্ত, ব্যঞ্জন ইত্যাদি।
- ব্যাকরণ, ব্যাকুল, ব্যাপক, ব্যাখ্যা, ব্যাপ্তি, ব্যাসার্ধ, ব্যাহত, আখ্যা, ব্যাপার, ব্যাস ইত্যাদি।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম (বিসর্গ সন্ধি ব্যবহার)
স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে বিসর্গ যুক্ত হয়ে যে সন্ধি হয় তাকেই বিসর্গ সন্ধি বলে। উচ্চারণের দিক থেকে বিসর্গ দুই প্রকার। যেমনঃ
- র্ জাত বিসর্গ
- স্ জাত বিসর্গ।
র্ জাত বিসর্গঃ শব্দের শেষে র থাকলে উচ্চারণের সময় র উহ্য থাকবে এবং র এর জায়গায় বিসর্গ হবে। যেমনঃ
- অন্তর>অন্তঃগত=অন্তর্গত।
স্ জাত বিসর্গঃ শব্দের শেষে যদি স থাকে সে ক্ষেত্রে লেখার ক্ষেত্রে স থাকবে না কিন্তু উচ্চারণের সময় স থাকবে। যেমনঃ
- নমস>নমঃ + কার = নমস্কার।
বিসর্গ সন্ধি দুই ভাবে ব্যবহৃত হয়
- বিসর্গ (ঃ) ও স্বরধ্বনি মিলে
- বিসর্গ (ঃ) ও ব্যঞ্জনধ্বনি মিলে
বিসর্গ ও স্বরধ্বনির সন্ধি
অ ধ্বনির সাথে বিসর্গ এবং আবার যদি অ ধনী থাকে তাহলে বিসর্গ ও অ ধ্বনি ী র জায়গায় ও কার হবে। যেমনঃ- ততো + অধিক = ততোধিক।
- পুনঃ + অধিকার= পুনরাধিকার।
বিসর্গ ও ব্যঞ্জনধ্বনির সন্ধি
ক.অধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ এবং তারপর যদি য, র, ল, হ থাকে সে ক্ষেত্রে বিসর্গ ও অধানীর স্থানে রযুক্ত বিসর্গে রেফ এবং স যুক্ত বিসর্গে ও কার হয়।
অন্তঃ + গত = অন্তর্গত।
খ. বিসর্গের পরে চ বা ছ থাকলে বিসর্গের পরিবর্তে তাহলে শ, ট বা থ থাকলে ষ এবং ত থ থাকলে স হয়।যেমনঃ ধনুঃ + টংকার = ধনুষ্টংকার।
গ.অ /আ ছাড়া অন্য স্বর বর্ণের সাথে বিসর্গ এবং পরে যদি জ, র, ল, হ থাকে, সে ক্ষেত্রে বিসর্গ এর স্থানে র হয়। যেমনঃ
- দুঃ + আচার = দুরাচার
- দুঃ + অবস্থা =দুরবস্থা ইত্যাদি।
ঘ.যদি র জাত বিসর্গের পরে র থাকে সে ক্ষেত্রে বিসর্গ উঠে যায় এবং প্রথমে ই কার যদি থাকে তা দীর্ঘ ঈ কার হয়ে যায়। যেমনঃ নিঃ + রব = নীরব।
ঙ.যদি অ/ আ ধোনির সাথে বিসর্গ থাকে এবং পরে যদি ক, খ, প, ফ থাকে, সে ক্ষেত্রে বিসর্গ এর স্থানে স হয়। যেমনঃ
পুরঃ + কার = পুরস্কার
ভাঃ +কর = ভাস্কর ইত্যাদি।
চ. ই/ উ ধোনির সাথে যদি বিসর্গ থাকে, পরে যদি ক, খ, প, ফ থাকে, সে ক্ষেত্রে বিসর্গ এর পরিবর্তে ষ হয়। যেমনঃ
- বহিঃ + কার= বহিষ্কার
- চতু + পদ = চতুষ্পদ ইত্যাদি।
ছ.কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্ধির সাথে যুক্ত বিষর্গ যুক্ত হয়। যেমনঃ
- শীর + পীড়া = শীরঃপীড়া
- অন্ত করণ অন্তঃকরণ ইত্যাদি।
- শীর + পীড়া = অন্ত করণ অন্তঃকরণ ইত্যাদি।
শুদ্ধ বানানের ক্ষেত্রে(.) এর ব্যবহার
- বাংলায় সংক্ষিপ্ত শব্দের ক্ষেত্রে ডট ব্যবহার হয়। যেমনঃ ড. (ডক্টর) মি. (মিস্টার) ইত্যাদি।
বাংলা বানানের ক্ষেত্রে কোলন (:) এর ব্যবহার
কোন উদাহরণ বোঝানোর ক্ষেত্রে কোলন ব্যবহার করা হয়। বাংলা যেমনঃ- স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
- পিতার নামঃ
- মাতার নামঃ
- বাড়ির ঠিকানাঃ
- ৫:২ (সমানুপাত)
- ৫:১০ মিনিট।
বাংলা বানানের ক্ষেত্রে হাইফেন (-) এর ব্যবহার
সমাসবদ্ধ শব্দে হাইফেন এর ব্যবহার হয়। যেমনঃ
- উপ-প্রকৌশলী।
শব্দ ভেঙে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহার করা হয় যেমনঃ
- আন্ত-মন্ত্রণালয়।
বাংলা বানানের ক্ষেত্রে ড্যাস (___)এর ব্যবহার
ড্যাস এর আকার সাধারণত হাইফেনের তিন গুণ হয়। যেমনঃ
- তোমরা ভালোভাবে পড়াশোনা কর ___এতে তোমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে।
শুদ্ধ বানানের ক্ষেত্রে কোটেশন মার্ক /ইনভারটেড কমা/ বা উদ্ধৃতি চিহ্নের ব্যবহার।
কোন শব্দকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করার জন্য উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
- 'হৈমন্তী ' কবিতার লেখক রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- কাদের বলল "খলিল ভালো নয় " ইত্যাদি।
লেখকের শেষ কথাঃ আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম এবং এই বিষয়টি বুঝতে পারলাম যে, নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে আর্টিকেল লিখলে সেই আর্টিকেল এসইও (SEO) এর ক্ষেত্রে গুগলে ভালো র্যাংক তৈরি করতে পারবে।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আশা করি আপনারা বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন ও উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url