ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার | কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিন
ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার সম্পর্কে আমরা আজ বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এ আই এর ব্যবহার ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে, তারই ফলস্বরূপ ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার।
ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচারের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে আজ আমরা, কিভাবে এই ফিচারটি কাজ করে এ বিষয়ে জানব। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার
- ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার
- ইউটিউবে গ্রীন স্ক্রীন ও ড্রিম স্ক্রীনের সম্পর্ক
- ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার কিভাবে কাজ করে
- ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার দিয়ে কি করা যাবে
- শর্ট ভিডিও তৈরিতে ড্রিম স্ক্রীনে ভিও
- কিভাবে ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ব্যবহার করবেন
- ইউটিউব ড্রিম স্ক্রীন ফিচার কবে চালু হবে
- ইউটিউব ড্রিম স্ক্রীন ফিচার দর্শকদের কেমন অনুভূতি দিবে
- ড্রিম স্ক্রীন ফিচারের নেতিবাচক বিষয় কি হতে পারে
- লেখকের শেষ কথাঃ ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার
ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার
ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার সম্পর্কে বলতে গেলে, ইউটিউব সৃষ্টির পর থেকে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ফিচার অ্যাড করে তারা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত আশ্চর্য করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে বেশ কিছু নতুন ফিচার লঞ্চ করার ঘোষণা দিয়েছে, তার মধ্যে একটি ড্রিম স্ক্রীন ফিচার। ড্রিম স্ক্রীন ফিচার যুক্ত হওয়ার সাথে সাথে ইউটিউবে শর্ট ভিডিও ট্রেনড্সে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
ড্রিম স্ক্রীন ফিচার ২০২৪ সালে ইউটিউব শর্টস এর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে এবং ফলাফল ভালো হলে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি খুব দ্রুত ওপেন করার সিদ্ধান্তে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ড্রিম স্ক্রীনের সাথে ভিডিও এডিটিং এর কাজ অনেক সহজ ও সৃজনশীল হয়ে উঠবে, যা নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য বিশেষ উপকারী ফিচার হিসেবে প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার বেশ আকর্ষণীয় হতে চলেছে। এটি মূলত ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েট অর দের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দ্বারা পরিচালিত অটোমেটিক ব্যাকগ্রাউন্ড জেনারেটেড ফিচার । এই ফিচারের মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটরা তাদের ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড খুব দ্রুত ও আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি ও উপস্থাপন করতে পারবেন, যার কারণে আপনার ভিডিওতে আলাদা একটি মাত্রা যোগ হয়ে যাবে।
ইউটিউবে গ্রীন স্ক্রীন ও ড্রিম স্ক্রীনের সম্পর্ক
ইউটিউবে গ্রীন স্ক্রীন ও ড্রিম স্ক্রীনের সম্পর্কে বলতে গেলে, গ্রীন স্ক্রীন ও ড্রিম স্ক্রীনের মধ্যে খুবই গভীর একটি সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু তাদের কার্যক্রম ও প্রযুক্তি ভিন্ন। ড্রিম স্ক্রীনের কাজ করার জন্য অবশ্যই গ্রীন স্ক্রীন অপশন এর মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। ড্রিম স্ক্রীন আপনাকে কল্পনার জগতে নিয়ে যেতে পারবে।
গ্রিন স্ক্রীন ফিচারটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের গ্রীন কালার এর মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার অপশন তৈরি করে দেয়। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা নিজেদের পছন্দমত কোন ভিডিও বা ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এই ফিচারটি সাধারণভাবে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর বিভিন্ন কার্যক্রমকে একীভূত করে ব্যবহারের জন্য দিয়ে থাকে।
অন্যদিকে ড্রিম স্ক্রীন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে সম্পূর্ণ নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করে দেয়। ইউটিউবে এই ফিচারটি মূলত শর্ট ভিডিওর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ফিচারে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টেক্সট ইনপুট এর মাধ্যমে নিজেদের ইচ্ছামতো ও কল্পনার মত ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করতে পারবে। এই ফিচারে শুধুমাত্র কমান্ড দেওয়ার সাথে সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি হয়ে যাবে।
ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার কিভাবে কাজ করে
ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার কিভাবে কাজ করে এ বিষয়ে বলতে গেলে, প্রথমে আপনাকে আপডেটেড ইউটিউব অ্যাপ নিতে হবে অর্থাৎ ইউটিউব অ্যাপের সর্বশেষ ভার্সনটি আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। ইউটিউব অ্যাপে ঢুকে নিচের লাইনে থাকা শর্টস (Shorts) আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ক্রিয়েট (Creat) অপশনে ক্লিক করে শর্ট ক্যামেরা ওপেন করতে হবে।
এখানে এসে আপনি ড্রিম স্ক্রীন ফিচার খুঁজে পাবেন। এটি সাধারণত ইফেক্ট বা ব্যাকগ্রাউন্ড অপশন গুলোর মধ্যে থাকবে। এরপর ড্রিম স্ক্রীন ফিচার অপশনটি ক্লিক করে আপনার চাওয়া অনুযায়ী ইংলিশে কমান্ড লিখতে হবে। এই কমান্ড এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে এ আই (AI) একটি ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করে দেবে।
আরও পড়ুনঃ ১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
ড্রিম স্ক্রীন ফিচার এ আই এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড আপনাকে সাজেস্ট করবে। আপনি চাইলে কাস্টম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এ আই কে নিজের ইচ্ছামত আবারো কমান্ড দিতে পারেন। ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করার পর আপনি আপনার ভিডিও রেকর্ডিং শুরু করুন। রেকর্ডিং হয়ে গেলে আপনার ইচ্ছামত এডিটিং করে মিউজিক অ্যাড করে পাবলিশ করতে পারেন।
ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার দিয়ে কি করা যাবে
ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার দিয়ে কি করা যাবে এ বিষয়ে বলতে গেলে, এই ফিচারটি মূলত যারা শর্ট ভিডিও তৈরি করবে তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এ আই জেনারেটর ব্যাকগ্রাউন্ড ইউটিউব শর্টস এর জন্য স্পেশালি ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে আপনি ইচ্ছামত ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করে নিতে পারবেন।
আপনি যখন ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করবেন, তখন বিভিন্ন স্টাইলে এই ব্যাকগ্রাউন্ড টি তৈরি করতে পারবেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আপনাকে বিভিন্ন সৃজনশীল স্টাইল সাজেস্ট করবে যেমনঃ ক্লেমেশন, ভিন্টেজ ইত্যাদি। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছামত ভিডিও তৈরি ও উপস্থাপন করতে পারবেন।
ভিডিও তৈরির জন্য গ্রীন স্ক্রীন ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি ও স্টুডিও সেটাপের জন্য যে সমস্ত সরঞ্জাম ও সময়ের প্রয়োজন তা থেকে মুক্তি দিতে পারে ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার। এটি আপনার সময় অনেক বাঁচিয়ে দেবে এবং দ্রুত কাজ করবে। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন, যার মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট তৈরিতে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আরও পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা | উপকারিতাও জেনে নিন
ড্রিম স্ক্রীন ফিচার এর মাধ্যমে আপনি চাইলে কল্পিত যেকোন স্থানের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন মহাকাশ, সমুদ্রের তলদেশ বা যেকোনো কাল্পনিক স্থান। আপনি যদি চান সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও তৈরি করবেন সেটা আপনি ড্রিম স্ক্রীনের মাধ্যমে পারবেন, আবার এর মাধ্যমে আপনি মহাকাশচারীও হয়ে যেতে পারবেন।
শর্ট ভিডিও তৈরিতে ড্রিম স্ক্রীনে ভিও
শর্ট ভিডিও তৈরিতে ড্রিম স্ক্রীনে ভিও অপশনটি নিয়ে আসতে চলেছে ইউটিউব। গুগলের ডিপ মাইন্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আপডেট ভিডিও মেকিং সিস্টেম ভিও যুক্ত হতে চলেছে ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রিন ফিচারে। ভিও সিস্টেমের মাধ্যমে মূলত শর্ট ভিডিওর এ আই জেনারেটর ব্যাকগ্রাউন্ড গুলো পাওয়া যাবে।
ড্রিম স্ক্রীনে ভিও সিস্টেম যুক্ত হওয়ার কারণে আপনি আরো রিয়েলিস্টিক ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন আর্টিস্টিক এনিমেশন ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে পাওয়া যাবে এই ভিও অ্যালগরিদম এর মাধ্যমে। আপনি শর্ট ভিডিও তৈরী করার ক্ষেত্রে আপনার কল্পনার গভীরের বিষয়বস্তু টেনে বের করে আনতে পারবেন, যা আপনি সারা জীবন অসম্ভব বলে চিন্তা করে এসেছেন।
ভিও প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে ড্রিম স্ক্রীনের পর এ আই জেনারেটেড ভিডিও তৈরির অপশন নিয়ে আসতে চলেছে, যা হতে পারে আরো চমকপ্রদ ও আশ্চর্যজনক একটি বিষয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে আমরা বর্তমানে ভিন্ন ধরনের ছবি ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিডিও ক্লিপ তৈরি করছি, কিন্তু এর পরিধি এখন পর্যন্ত খুবই ছোট রয়েছে।
কিভাবে ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ব্যবহার করবেন
কিভাবে ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ব্যবহার করবেন এ বিষয়ে বলতে গেলে, ইউটিউবে এই ফিচারটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময়। এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি সহজে ও কাল্পনিকভাবে আপনার ইউটিউব শর্ট ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ব্যবহারের জন্য কঠিন কোন পন্থা অবলম্বন করতে হবে না।
আপনি স্বাভাবিকভাবে যে অপশন থেকে ইউটিউব শর্টস ভিডিও তৈরি করেন, সেই প্লাস (+) আইকন থেকে আপনি আপনার ক্রিয়েশন শুরু করতে পারবেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার জন্য অতিরিক্ত কোন কাজ আপনাকে করতে হবে না। খুবই সহজে আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড অপশনে যেয়ে আপনার চাওয়া কমান্ডটি দিবেন। তাতেই আপনার ড্রিম ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে
ড্রিম ব্যাকগ্রাউন্ডে যে সমস্ত অপশনগুলো আপনি পাবেন, প্রত্যেকটি অপশন হবে আপনার কল্পনার বাইরের থিম অনুযায়ী, যেখান থেকে আপনি যেকোনো একটি পছন্দ করে নিয়ে তার উপর নির্ভর করে কমান্ড দিতে পারবেন এবং আপনার কাঙ্খিত ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এই ফিচারটি ধারণা করা হচ্ছে শর্ট ভিডিওর জগতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করতে চলেছে।
ইউটিউব ড্রিম স্ক্রীন ফিচার কবে চালু হবে
ইউটিউব ড্রিম স্ক্রীন ফিচার কবে চালু হবে এ বিষয়ে বলতে গেলে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এই ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটর দের মাধ্যমে কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে তাতে এই ফিচারের পাবলিক ভিউ খুবই ভালো এবং এটি রান করলে ভালো একটি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুনঃ কর্মক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
২০২৪ সালের শেষে বা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীন ফিচার যুক্ত হবে। ভিও চালিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর এই ফিচারের সাথে আরো আসতে চলেছে ইউটিউব সর্ট ভিডিও মেকার জাতীয় একটি ভিডিও মেকিং সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরি করা সম্ভব হবে।
ইউটিউব ড্রিম স্ক্রীন ফিচার দর্শকদের কেমন অনুভূতি দিবে
ইউটিউব ড্রিম স্ক্রীন ফিচার দর্শকদের কেমন অনুভূতি দিবে এ সম্পর্কে বলতে গেলে, নতুন এ ফিচারটি দর্শকদের মাঝে উত্তেজনা ও মুগ্ধতা তৈরি করতে পারে। এক আশ্চর্য ও কাল্পনিক বিষয়বস্তুর সাথে বাস্তবের সংমিশ্রনের একটি মিশ্র অনুভূতি দর্শকরা পেতে চলেছে, সেই সাথে দিন দিন আরো উন্নত ও বিভিন্ন ধরনের ফিচার যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্রিন স্ক্রীন ফিচারের মাধ্যমে আপনি যে কনটেন্ট তৈরি করবেন সেটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেন কন্টিনিউয়াস অ্যাক্টিভিটি বজায় থাকে। দর্শকরা যে অনুভূতি নিয়ে দেখা শুরু করবে সেই অনুভূতি দিয়েই যেন শেষ করতে পারে এ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। দর্শকরা নতুন নতুন আজগুবি বিভিন্ন বিষয়ের সাথে পরিচিত হতে চলেছে।
দর্শকরা এই ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা নতুন মাত্রায় উপভোগ করবে। বিভিন্ন সৃজনশীল ও এডিটিং দক্ষতার মাধ্যমে এই ভিডিও গুলো দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে এবং এ আই জেনারেটেড ব্যাকগ্রাউন্ড ও সাউন্ডের সাথে আপনার উপস্থিতি সব মিলিয়ে একটি মিশ্র অনুভূতির ভিডিও তৈরির সিস্টেম নিয়ে আপনার সামনে হাজির হতে চলেছে ইউটিউব।
ড্রিম স্ক্রীন ফিচারের নেতিবাচক বিষয় কি হতে পারে
ড্রিম স্ক্রীন ফিচারের নেতিবাচক বিষয় কি হতে পারে এ সম্পর্কে বলতে গেলে, এই স্ক্রীনে ভিডিও তৈরি করতে গেলে আপনার আর্টসেন্স ও কম্পোজিশন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। ভিডিওর লাইট-কালার ও আপনার ছবির লাইট-কালারের ব্যালেন্স ভালোভাবে করতে হবে। একজন শিল্পী যেভাবে সবদিক বিবেচনা করে ছবি আঁকায়, তেমনি এই ভিডিওটি তৈরি করতে হবে।
আপনি যদি যেন তেনো ভাবে এই ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও তৈরি করেন, সে ক্ষেত্রে মানের সমস্যা হতে পারে। যেহেতু এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়, সে ক্ষেত্রে কমান্ডটি খুব ভালোভাবে দিতে হবে। আপনি যদি ভালোভাবে কমান্ড দিতে না পারেন, ভালো ফলাফল না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সহজ ও স্পষ্টভাবে আপনাকে কমান্ড দিতে হবে।
এই ফিচারের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনাকে সৃজনশীলতার দিক থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। আপনি যদি এই ফিচারের মুখাপেক্ষী হয়ে যান এবং সমস্ত কার্যক্রম এর মাধ্যমেই করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত সৃজনশীল চর্চার অনেক ঘাটতি হয়ে যেতে পারে। মৌলিক সৃষ্টিশীলতা থেকে আপনি দূরে সরে আসতে পারেন এই ফিচারের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে এই ব্যাকগ্রাউন্ড গুলো তৈরি করার কারণে একঘেয়ে একটি অনুভূতি স্বাভাবিকভাবে দর্শকদের ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। এখানে কমান্ড দিতে হবে ইংলিশে, যারা ইংলিশে অত পারদর্শী নয় তাদের ক্ষেত্রে উল্টাপাল্টা ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চলে আসতে পারে, যার দ্বারা আপনার মন মত ভিডিও তৈরি নাও হতে পারে।
এই ফিচারটি সব ধরনের ডিভাইস ও নেটওয়ার্কে সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। লো কনফিগারেশনের যে সমস্ত গেজেট রয়েছে তাতে কাজ না করার সম্ভাবনা বেশি। যদিও লো কনফিগারেশনের এ কাজ করে, সে ক্ষেত্রে আপনার গেজেট ও সময় দুই ই প্রচুর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজাতীয় সমস্যা ইউটিউবে ড্রিম স্ক্রীনে হতে পারে।
লেখকের শেষ কথাঃ ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার
ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন ফিচার সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম এবং এ ও বুঝতে পারলাম কিছু সমস্যাকে পাশে রেখে এই ফিচারটি ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় ও আশ্চর্যজনক হতে চলেছে।
এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রীন সম্পর্কে আশা করি সঠিক তথ্য পেয়েছেন ও অনেক বিষয় জানতে পেরেছেন। এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করলে নতুন ও ব্যতিক্রমী তথ্য পাবেন। আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে, এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url