বাংলাদেশে ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের স্মার্ট উপায় | জেনে নিন

বাংলাদেশের ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের স্মার্ট উপায় সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি। ছাত্র অবস্থা থেকে আমরা যদি অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করি, বিষয়টা আমাদের ভবিষ্যতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশে-ছাত্রদের-অর্থ-উপার্জনের-স্মার্ট-উপায়

বাংলাদেশে ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের উপায় এর সাথে আজ আমরা বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় সে বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের স্মার্ট উপায় 

বাংলাদেশে ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের স্মার্ট উপায় 

বাংলাদেশে ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের স্মার্ট উপায় হিসেবে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু বিষয় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছাত্র অবস্থায় আমাদের দেশে ইনকাম করার প্রচলন নেই বললেই চলে, কিন্তু আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দিকে তাকাই, সে ক্ষেত্রে দেখতে পাবো তারা ছাত্র  অবস্থা থেকে বিভিন্ন কাজ করে থাকে। 

 পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা যদি কর্মে দক্ষ হই, সে ক্ষেত্রে পড়াশোনা শেষে অর্থ ইনকামের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বর্তমানে অর্থ উপার্জন করা আমাদের পড়াশোনার প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে গিয়েছে। পড়াশোনার উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা ও মানুষের মতো মানুষ হওয়া কিন্তু আমরা ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য ও অর্থ উপার্জনের জন্য পড়াশোনা করে থাকি। 

পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে আমরা বিভিন্ন উৎপাদন মুখী কাজকর্মের সাথে সংযুক্ত থাকলে বেকারত্ব শব্দটা আমাদের সাথে কখনোই থাকবে না এবং সঠিকভাবে জ্ঞান অর্জন করে মানুষের মতো মানুষ হতে পারব। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অনলাইনমুখি কাজ বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়, তার সাথে আরো কিছু কাজকর্ম রয়েছে। 

বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার এর প্রয়োগ সবখানে দেখা যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এর হার দিন দিন বাড়বে ছাড়া কমার কোন সম্ভাবনা নেই। ছাত্র অবস্থায় অনলাইনের বিভিন্ন কাজকর্ম করে অর্থ উপার্জন করার বিষয়ে বিস্তারিত আজ আমরা জানবো। অনেকে বলে থাকেন ছাত্র অবস্থায় শুধু পড়াশোনা কাজ কর্মের প্রয়োজন কি, তাদের উদ্দেশ্যে বলি সময় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।

ছাত্র অবস্থা থেকে ইনকামের বিষয়টা খুব ভালোভাবে নেওয়া উচিত। কোন কাজকে ছোট করে দেখার অপশন নেই। এজন্য, আমি পড়াশুনা করি কাজ কেন করব, এই মন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং উৎপাদন মুখী কাজকর্মের সাথে লিপ্ত হতে হবে ও কাজে দক্ষ হতে হবে। অনলাইন, অফলাইন দুটি সেক্টরেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 

ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করে আয় 

ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করে আয় হতে পারে আপনার জন্য খুবই উপযুক্ত একটি কাজ। আমরা দেখি বর্তমান সময়ে ছাত্ররা বেশিরভাগ সময় গেমস, বিভিন্ন ভিডিও দেখা ও ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় নষ্ট করে থাকে। এই সময়টা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যদি দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে ভালো পরিমান অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি কাজের মধ্যে ডিজাইনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এস ই ও সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। এ জাতীয় কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখবেন, কোন কাজ করার জন্য দক্ষতার বিকল্প নেই। 

ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো আর্টিকেল রাইটিং। কারণ আর্টিকেল রাইটিং এর বিষয়বস্তুর সাথে পড়াশোনার সম্পর্ক রয়েছে। আর্টিকেল রাইটিং করতে গেলে আপনাকে একটি বিষয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে বিশ্লেষণধর্মী উপায় পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। 

আপনি ছাত্র অবস্থায় যেভাবে পড়াশোনা করেন, আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় ভালোভাবে শিখে নিলে আপনি সুন্দর মত কাজ করতে পারবেন এবং আপনার পড়াশোনার চর্চাও রানিং থাকবে। আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে বাক্য গঠন, দাড়ি-কমার ব্যবহার ও পাঠককে একটি বিষয় বোঝানোর জ্ঞান রপ্ত হয়ে যাবে।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যতগুলো বিষয় রয়েছে, প্রত্যেকটি বিষয় নির্দিষ্ট সময় প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি অত্র অবস্থা থেকে ইনকাম করতে পারবেন ও নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালাতে পারবেন। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ছাত্রদের জন্য খুবই উপযোগী ও বাস্তব সম্মত একটি উপায়। নিজে এবং পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য ছাত্র অবস্থা থেকেই চেষ্টা করা উচিত। 

ছাত্রদের জন্য টিউশনি করে অর্থ উপার্জন 

ছাত্রদের জন্য টিউশনি করে অর্থ উপার্জন করা আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি পেশা। আমরা দেখেছি অনেকে পড়াশোনা শেষ করে শুধুমাত্র টিউশনি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ পড়ে থাকেন। ছাত্র অবস্থায় টিউশনি করলে পড়াশোনার অভ্যাস ও ছাত্রকে বোঝানোর সাথে সাথে কোন মানুষকে একটি বিষয় বোঝানোর জ্ঞান অর্জন হয়ে যায়। 

নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে খুব অল্প পরিমান সময় ব্যয় করে ছাত্ররা নিজেদের খরচ নিজেরা চালাতে পারেন। টিউশনি শুধুমাত্র মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে বা একটি কোচিং সেন্টার খুলে বা নিজের বাড়িতে ছাত্র ডেকে এনে পড়ানোকেই বর্তমানে বোঝায় না। টিউশনির পরিধি এখন অনলাইন ক্ষেত্রেও ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে।  

অনলাইন টিউটরিং ডিজিটাল মাধ্যমে টিউশনি করার একটি জনপ্রিয় ও সাম্প্রতিক সময়ে বহুল প্রচলিত  মাধ্যম। অনলাইন টিউটরিং এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ল্যাপটপ সামনে নিয়ে দেশের ও দেশের বাইরের বিভিন্ন ছাত্রদের পড়াতে পারবেন। অনলাইন টিউটরিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালোভাবে জানতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আপনি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স ও প্রোগ্রাম শেখাতে পারেন। অনলাইন টিউটরিং করে ছাত্র অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। অনলাইন টিউটরিং এর মাধ্যমে আপনি যে অর্থ উপার্জন করবেন তা আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশের মাধ্যমে ও উত্তোলন করতে পারবেন। 

অনলাইন টিউটরিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করে স্ক্রল করে নিচে আসুন এবং অনলাইন টিউটরিং করে আয় করুন এই প্যারাগ্রাফটি পড়লে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। পেজ সূচিপত্র থেকেও সরাসরি অনলাইন টিউটরিং করে আয় করুন এই প্যারাগ্রাফে আসতে পারবেন। 

পোষা প্রাণী বিক্রি করে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন 

পোষা প্রাণী বিক্রি করে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করার বিষয়ে বলতে গেলে বিভিন্ন গৃহপালিত পশু ও পাখি  খাওয়া ও শখের জন্য পোষা অনেক পুরনো একটি ঐতিহ্য ও ব্যবসা। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি বিভিন্ন পাখি, খরগোশ, কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি আমরা খাওয়া ও শখের জন্য পুষে থাকি। আগের সময় বাজারে যেয়ে এজাতীয় পশু প্রাণী ক্রয় করা হতো। 

বর্তমান সময়ে যে সমস্ত পশু প্রাণী খাওয়া যায় সেই পশু প্রাণী গুলো বাজারে পাওয়া যায়। পোষার জন্য যেই পশু প্রাণী রয়েছে, সেগুলো আমরা বিভিন্ন দোকানে দেখতে পাই। বর্তমান সময়ে অনলাইনে পশু প্রাণী বিক্রি করা জনপ্রিয় একটি ব্যবসায়িক পদ্ধতি হিসেবে প্রচলন হয়েছে। ছাত্র অবস্থা থেকে এজাতীয় পশু পাখি অনলাইনে ব্যবসা করা যেতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে

অনলাইনে পোষা প্রাণী বিক্রি কিভাবে করা যায় এ বিষয়ে বলতে গেলে, আপনি নিজে পশু-প্রাণী পুষে বিক্রি করতে পারেন আবার বড় বড় পোষা প্রাণীর দোকান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এখন বলতে পারেন, কিভাবে অ্যাফিলিয়েট সিস্টেমে পোষা প্রাণী বিক্রি করব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে আপনাকে ফেসবুক বা ইউটিউব মাধ্যমকে বেছে নিতে হবে। আপনার পেজ বা চ্যানেলে নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে আপনি ফেসবুক বা ইউটিউব কোম্পানি থেকে মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন এবং মনিটাইজেশন পেলে আপনি পোষা প্রাণী বিক্রির বিষয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়াও আপনি চাইলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পোষা প্রাণী ছাত্র অবস্থা থেকে বিক্রি করতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে ভালো মানের রেয়ার ও জনপ্রিয় পোষা প্রাণীর ছবি আপলোড করে ও ভিডিও তৈরি করে মার্কেটিং করতে পারেন। যাদের প্রয়োজন হবে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করলে কেনা বেচার মাধ্যমে ছাত্র অবস্থা থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

ছাত্রদের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা 

ছাত্রদের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে বলতে গেলে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে ছাত্র অবস্থায় ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করা লাভজনক ও সহজলভ্য উপায় হিসেবে বিবেচিত। ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের ব্যবহারের বৃদ্ধি এবং অনলাইন কেনাকাটার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে ই-কমার্স ব্যবসাও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

ছাত্রদের-জন্য-ই-কমার্স-ব্যবসা

ই-কমার্স ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে প্রথমে যেকোনো একটি ধরন চিন্তা করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ই কমার্স ব্যবসা অনলাইনে রয়েছে, যেমনঃ ড্রপ শিপিং, নিজের পণ্য বিক্রি করা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। 

ড্রপ শিপিং এটা হল আপনি নিজে কোন পণ্য স্টক না করে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করে ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এই কাজ করার জন্য বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। ছাত্র অবস্থায় এই কাজ ভালোভাবে করা যেতে পারে। এজাতীয় ব্যবসা করার জন্য আপনি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা Shopify, WooCommarce প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। 

আমাদের দেশে যে মার্কেটপ্লেস গুলো রয়েছে যেমনঃ Daraz, Evely, Rokomari এই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করেও আপনি ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন। ড্রপ শিপিং ব্যবসা করার জন্য আপনাকে পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করতে হবে। বাজারে যে সমস্ত পণ্যের চাহিদা বেশি, এই পণ্যগুলো নিয়ে ড্রপ শিপিং ব্যবসা ছাত্র অবস্থায় করা যেতে পারে।  

বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এস ই ও সহ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও ছাত্র অবস্থা থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়। ই কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান ও সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে অনলাইনে ভালো মানের পণ্যের বাজার খুবই উঁচু অবস্থাতে রয়েছে। 

ছাত্র অবস্থায় রিমোট জব করে আয় 

ছাত্র অবস্থায় রিমোট জব করে আয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, রিমোট জব হলো দূর থেকে কাজ করে উপার্জন করা ছাত্রদের জন্য একটি জনপ্রিয় উপায় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্লায়েন্ট বা কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারেন। রিমোট জবের সুবিধা হল, এটি আপনি পড়াশোনার সাথে সাথে করতে পারবেন। 

রিমোট জবের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে যে সমস্ত কাজের চাহিদা রয়েছে, সেই সমস্ত কাজ করে অর্থ উপার্জন করা রিমোট কাজের মধ্যে অন্যতম একটি কাজ। এর সাথে অনলাইন টিউটরিংকেও আমরা রিমোট জব হিসেবে বলতে পারি। ছাত্র অবস্থায় রিমোট জব করে আয় করা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি উপায়।  

যারা ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন, তারা ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করতে পারেন, এটাও রিমোট জবের একটি অংশ। অনেকের কাছে লেখালেখি করা খুবই পছন্দনীয় একটি কাজ, অনলাইনে এই কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। এই কাজকেও আমরা রিমোট জব হিসেবে বলতে পারি।

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব বিস্তারিত জানুন

অনেক ছোট ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা তাদের দৈনন্দিন কাজ করার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করেন। এজাতীয় কাজের জন্য ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন কাজকর্মের দক্ষতা প্রয়োজন হয়। এজাতীয় কাজকর্ম করে ছাত্র অবস্থায় ভালো মানের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করাও রিমোট জবের অংশ। 

আপনি যদি একাধিক ভাষায় পারদর্শী হন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে ট্রান্সলেটর পদে বিভিন্ন কোম্পানি রিমোট জব দিবে, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। ছাত্র অবস্থায় রিমোট জব হিসেবে অনুবাদের কাজকর্ম করা যেমন বিভিন্ন দেশের সাথে আপনার যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে তেমনি আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি খুব ভালোভাবে এই কাজটি করতে পারবেন। 

ছাত্র অবস্থায় ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় 

ছাত্র অবস্থায় ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা হতে পারে আপনার জন্য আকর্ষণীয় একটি মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। যেমন কনটেন্ট রাইটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ। ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মটি অনেক বড় ও সমৃদ্ধ। 

ছাত্র অবস্থায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন একটি শাখায় ভালোভাবে দক্ষ হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজগুলো করতে পারবেন, যার মাধ্যমে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কাজে দক্ষ হতে হবে। কোন একটি আইটি ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স করে বা কোর্স কিনে প্র্যাকটিস করে বা ইউটিউব থেকে কোর্স দেখে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে ছাত্র অবস্থায় ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন ভালো মানের ডিজিটাল মার্কেটারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে, সে ক্ষেত্রে আপনি ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। আমার জানা মতে অর্ডিনারি আইটির ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স খুবই উন্নত মানের। এই লিংক থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো সেক্টর হতে পারে কনটেন্ট রাইটিং। পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করে অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম কনটেন্ট রাইটিং। কনটেন্ট রাইটিং করলে আপনি লেখায় দক্ষ হয়ে উঠবেন ও কোন একটি বিষয় উপস্থাপনের জ্ঞান সুন্দরভাবে আয়ত্ত করতে পারবেন যা আপনার পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ফলপ্রসু হবে। 

আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

পড়াশোনা কালীন সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে বর্তমান সময়ে অনেক ছাত্র ইনকাম করে থাকেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, ছাত্র অবস্থায় কোটি টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। আপনি যদি এই সেক্টরে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারেন, নির্দিষ্ট সময় পর আপনি অবশ্যই ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, যা আপনার পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রচুর কাজে দিবে। 

ছাত্রদের জন্য পার্টটাইম জব 

ছাত্রদের জন্য পার্ট টাইম জব এ বিষয়ে বলতে গেলে আপনি দিনের ৩-৪ ঘন্টা সময় যেকোনো কাজের পেছনে ব্যয় করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করে নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারবেন। পার্ট টাইম জব করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে। অনলাইনের কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের পার্ট টাইম জব আপনারা করতে পারবেন। 

ছাত্রদের-জন্য-পার্টটাইম-জব

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজগুলো অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবে ছাত্রদের জন্য বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত। অফলাইনে প্রাইভেট টিউশন করে ছাত্র অবস্থায় পার্ট টাইম জব হিসেবে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর জন্য দক্ষ মাস্টার হতে পারলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

বিভিন্ন কল সেন্টারে ছাত্র অবস্থায় পার্ট টাইম জব হিসেবে কাজ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ও কুরিয়ার সার্ভিসে পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করতে পারেন। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা এনজিও রিসার্চ প্রজেক্টে পার্ট টাইম গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে যেকোনো দোকান বা রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করতে পারেন। 

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স ও টিউটোরিয়াল তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব হিসেবে এই কাজগুলো করতে পারেন, যা আপনার পড়াশোনার খরচ চালানো সহ বেশ অর্থ উপার্জন করার সেরা মাধ্যম হতে পারে। 

ছাত্র অবস্থায় গ্রাফিক ডিজাইন 

ছাত্র অবস্থায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এ বিষয়ে বলতে গেলে, বর্তমানে ডিজাইনিং সেক্টরে প্রচুর ছাত্র কাজ করে থাকেন। ছাত্র অবস্থায় গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য একটি কম্পিউটার ও নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় করলে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে পথ চলা শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে প্রচুর প্র্যাকটিসের মাধ্যমে দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

ছাত্র অবস্থায় গ্রাফিক ডিজাইন করে অর্থ ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অনলাইন মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার কাজের কোয়ালিটি যদি ভালো হয়,   অবশ্যই আপনি প্রচুর অর্থ ছাত্র অবস্থায় উপার্জন করতে পারবেন। তবে এই সেক্টরে বর্তমানে প্রচুর মানুষ কাজ করছে, যার কারণে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। 

ছাত্র অবস্থায় গ্রাফিক ডিজাইনের ভালো কিছু করতে হলে আপনাকে প্রচুর প্র্যাকটিস ও আপডেট বিভিন্ন সফটওয়্যার ও কাজ জানতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য দিকে সময় না কাটিয়ে এই সেক্টরে ভালোভাবে লেগে থেকে দক্ষ হলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, যা পরবর্তীতে আপনাকে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহের হাত থেকে রক্ষা করবে। 

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর ছাত্র গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে। ছাত্র অবস্থায় গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে ভালো কিছু করতে হলে একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন সহ সব সময় সজাগ থাকতে হবে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যখন অর্ডার হবে তখন যেন ওই অর্ডারের রেসপন্স দ্রুত করা যায়, কারণ এই সেক্টরটি এখন প্রচুর প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। 

ভিডিও এডিটিং করে ছাত্র অবস্থায় আয় 

ভিডিও এডিটিং করে ছাত্র অবস্থায় আয় সম্পর্কে বলতে গেলে, বর্তমান সময় কনটেন্টের যুগ হিসেবে বিবেচিত। কনটেন্ট এর মাধ্যমে যেকোনো বিষয় খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। বর্তমান সময়ে এমন কোন মানুষ নাই যে কনটেন্ট দেখেনা। যত কনটেন্ট তৈরি হবে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদাও বাড়তে থাকবে। 

ছাত্র অবস্থায় আপনি যদি ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে পারেন, অবশ্যই প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। একজন ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে হলে আপনাকে একটি হাই কনফিগারেশন পিসি সেটআপ তৈরি করতে হবে। বর্তমানে ভিডিও এডিটিং করার জন্য যে সমস্ত সফটওয়্যার রয়েছে সেই সফটওয়্যার গুলো চালানোর জন্য সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে সম্ভব হয় না। 

বিভিন্ন সফটওয়্যার এর সাহায্য নিয়ে একটি সুন্দর ভিডিও, এডিটিং এর মাধ্যমে তৈরি করা যেতে পারে। ভিডিও এডিটিং এর সাথে মিউজিক সেট আপ করে ভিডিওর পূর্ণাঙ্গতা প্রকাশ করা হয়। সব সময়ের জন্য আপডেট বিষয় ও এডিটিং এ নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যমে আপনি ছাত্র অবস্থায় ভালো মানের ভিডিও এডিটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার উপায়

ছাত্র অবস্থায় একজন ভিডিও এডিটর মাসে আনলিমিটেড অর্থ উপার্জন করতে পারে। এজন্য যেকোনো আইটি সেন্টার বা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন, তবে আপনাকে প্রচুর সময় ও ধৈর্য সহকারে এই কাজটি শিখতে হবে এবং প্রচুর খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। 

ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে ছাত্র অবস্থায় আয় 

ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে ছাত্র অবস্থায় আয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, আমরা যখন পড়াশোনার নির্দিষ্ট একটি গণ্ডি পেরিয়ে ফেলি, তখন উচ্চশিক্ষার জন্য যে বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করি, তার বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে ইন্টার্নশিপের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করার জন্য আবেদন করতে হয়। 

ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করা সম্ভব যদিও ইন্টার্নশীপে অর্থ প্রদানের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নীতি নেই। অনেক কোম্পানি কোন অর্থ প্রদান ছাড়াই ইন্টার্নশিপ করিয়ে থাকেন। তবে সব কোম্পানি অর্থ ছাড়া ইন্টার্নশিপ করায় না, যার কারনে এই সমস্ত কোম্পানিতে নির্দিষ্ট সময় কাজ করে অর্থ ইনকাম করা সম্ভব। 

ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে ছাত্র অবস্থায় আয় করা তেমন ভালো কোন পদ্ধতি নয়, কারণ ইন্টার্নশিপের সময়কাল খুবই স্বল্প এবং অর্থের পরিমাণও খুবই কম, যার কারণে এই সেক্টর থেকে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করা সম্ভব হলেও এটা বাস্তবিক ভালো ইনকামের কোন পথ নয়। অনেক সময় দেখা যায়, ইন্টার্নশিপ সময়ে ভালো কাজ অনেকে দেখাতে পারেন এবং চাকরি পেয়ে যান।  

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এ্যাকাউন্ট খুলব

ইন্টার্নশিপ চলাকালীন ভালো পারফরমেন্স হলে কোম্পানি পার্মানেন্ট হিসেবে অনেক সময় চাকরি দিয়ে থাকেন, যা বর্তমান সময়ে স্থায়ী ইনকাম হিসেবে প্রচলিত। এভাবে যদি আপনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে চাকরি নিয়ে নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে আপনি এই চাকরি পেলেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারছেন এটা বলা যেতে পারে। 

ছাত্র অবস্থায় অনলাইন কোর্স পরিচালনা 

ছাত্র অবস্থায় অনলাইন কোর্স পরিচালনা এ সম্পর্কে বলতে গেলে, আমরা অনেকেই আছি যারা ছাত্র অবস্থায় ভালো ছাত্র বা দক্ষ হিসেবে পরিচিত। অফলাইনে একাডেমিক বিভিন্ন সাবজেক্ট এর প্রাইভেট টিউটর ধরনের কোর্স পরিচালনা করে অর্থ উপার্জন করা যায়, যদিও এ বিষয়ের প্রচলন খুব একটা বেশি নেই।

ছাত্র-অবস্থায়-অনলাইন-কোর্স-পরিচালনা

আপনি যদি কোন একটি বিষয় দক্ষ হয়ে থাকেন, বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, আর্ট জাতীয় কোর্স, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স, মেডিকেল কোর্স সহ বিভিন্ন ধরনের কোর্স অনলাইনে রয়েছে। আপনি যদি এ জাতীয় কোর্স তৈরি করতে পারেন, ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে কোর্স তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনাকে ব্যাপক পারদর্শী হতে হবে। 

ছাত্র অবস্থায় অনলাইন কোর্স পরিচালনার জন্য আপনাকে বহুমুখী চিন্তা চেতনার অধিকারী হতে হবে। সব সময়ের জন্য নতুন ও আপডেট বিষয় উপস্থাপন করতে হবে। যে বিষয়ে আপনি কোর্স পরিচালনা করবেন, আপনার কোর্স দেখে যেন ওই বিষয় সম্পর্কে ছাত্ররা দক্ষ হতে পারে, এর উপর নির্ভর করবে আপনার কোর্স কেমন চলবে এবং আপনার কোর্স যত বেশি চলবে তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

ছাত্রদের জন্য অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে আয় 

ছাত্রদের জন্য অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে আয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন চলছে। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ,   টেলিভিশন ইত্যাদি গ্যাজেটে আমরা অ্যাপস এর ব্যবহার দেখতে পাই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনসহ জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছুর অ্যাপস রয়েছে। 

অ্যাপ ডেভলপ করে ছাত্র অবস্থা থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব, কারণ প্রতিনিয়ত আপডেট বিষয় আসছে এবং প্রত্যেকটি বিষয়ের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হচ্ছে। আপনি যদি ছাত্র অবস্থা থেকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং এই সেক্টরটি বর্তমানে খুবই ডিমান্ডডেবল। 

অনলাইন বিভিন্ন গেমস, অফিস এপ্লিকেশন, মিউজিক, ভিডিও, বিভিন্ন বিষয় জানা সহ অনেক ধরনের অ্যাপস সচরাচর ব্যবহার করে থাকি। অ্যাপ ডেভলপমেন্ট করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই বিষয়টি ভালোভাবে জানতে হবে এবং কাজে দক্ষ হতে হবে। ভালো মানের অ্যাপ ডেভেলপারদের বর্তমান সময়ে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

লেখকের শেষ কথাঃ বাংলাদেশে ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের স্মার্ট উপায় 

বাংলাদেশী ছাত্রদের অর্থ উপার্জনের স্মার্ট উপায় সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম। আজকের আলোচনায় আমরা বুঝতে পারলাম, অনলাইন সেক্টর ছাত্রদের জন্য খুবই উপযোগী ও অর্থ ইনকামের ভালো উপায়। ছাত্র অবস্থা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারলে নিজের পড়াশোনার খরচ চালানো ও ভবিষ্যতে ভালো কিছু করা সম্ভব।

আমার এই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। আমি আশা করি, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েছেন ও উপকৃত হয়েছেন। এই ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ও আপনজনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে এখানেই শেষ করছি।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url