অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ | বিকাশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট
অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি। অনলাইনে অর্থ
উপার্জন করা বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়। চাকরির পরিবর্তে
ফ্রিল্যান্সিং তরুণ সমাজের কাছে দিন দিন পছন্দনীয় হয়ে উঠছে।
অনলাইন ইনকাম এর বিভিন্ন বিষয় সহ আজ আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বেশ কিছু
জনপ্রিয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তবে আর দেরি না করে, চলুন শুরু করা
যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ
- অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ
- ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি
- ফ্রিল্যান্সিং করে বৈধ আয়
- ব্লগিং করে ঘরে বসে আয়
- ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়
- ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করে ইনকাম করা
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- অনলাইন টিউটরিং করে আয় করুন
- ড্রপ শিপিং করে আয় করার উপায়
- টেলিগ্রাম থেকে কিভাবে আয় করা যায়
- অনলাইন মাইনিং করে অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি
- ক্রিপ্টো ট্রেডিং করে আয় করা
- লেখক এর শেষ কথাঃ অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ
অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ
অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ সম্পর্কে বলতে গেলে, বর্তমান সময়ে অনলাইনে কাজকর্ম
করে অর্থ উপার্জন করা খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনলাইনে
অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। যারা
দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তাদের হাতে সব সময় কাজ থাকে। আপনি যদি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার
হতে পারেন, কাজ নিয়ে বা ইনকাম নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না।
ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিতে হয়। এই সমস্ত
মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে বিডিং এর মাধ্যমে কাজ নিয়ে সময় মত কাজ জমা দিয়ে
টাকা ইনকাম করতে হয়। অনলাইনের পরিধি এত বিশাল যে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সব সময়
অভাব থাকে। বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইনিং, ইত্যাদি বিষয় অত্যন্ত জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত।
আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় সবার মনে পেমেন্ট
সিস্টেম নিয়ে একটি সংশয় দেখা যায়, যার কারনে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে
দ্বিধাবোধ করে। বন্ধুরা, চিন্তা নেই। আপনাদেরকে বলতে চাই, বর্তমানে আমাদের দেশে
যে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো রয়েছে তার মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং
থেকে আয় করে পেমেন্ট নেওয়া সিস্টেম সচরাচর হয়েছে।
আপনি যদি নিজে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে ও কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে চান, সে
ক্ষেত্রে যেকোন ভালো মানের আইটি সেন্টার থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ও কনটেন্ট রাইটিং
বিষয়ে কোর্স করে নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালোভাবে কাজ
করা সুবিধাজনক হবে। ভালো মানের কনটেন্ট রাইটারের বেশ অভাব রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে। আপনি অর্ডিনারি আইটির কোর্স করে এ বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে যে অর্থ আমরা উপার্জন করি তা
বিভিন্ন সিস্টেমে আমরা পেমেন্ট নিতে পারি। এক এক মার্কেটপ্লেসের এক এক রকম
পদ্ধতি। বাংলাদেশে সরাসরি কিছু মার্কেট থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নেওয়া গেলেও
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে আমরা যে সমস্ত উপায়ে পেমেন্ট নেই তার মধ্যে অন্যতম
পেওনিয়ার। পেওনিয়ার থার্ড পার্টি পেমেন্ট কনভার্টিং কম্পানি, যার মাধ্যমে
মার্কেটপ্লেস থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা লোকাল কারেন্সিতে কনভার্ট করা হয়।
বেশিরভাগ মার্কেটপ্লেস পেওনিয়ার সাপোর্ট করলেও কিছু কিছু মার্কেট প্লেস
সরাসরি পে-পাল দিয়ে থাকে।
পে-পাল অনলাইন কারেন্সি বাংলাদেশে অনুমোদন না থাকায় পেওনিয়ার এর মাধ্যমে
বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আমরা অর্থ
নিতে পারি। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা অর্থ ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে
নিয়ে নেওয়া হয়, কিন্তু এখন চাইলে বিকাশের মাধ্যমেও পেমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
ক্রিপ্টো ট্রেডিং ও মাইনিং করে বর্তমান সময়ে প্রচুর ইনকাম করা যায়। আপনারা যদি
এই সমস্ত মার্কেটপ্লেসে ট্রেডিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান, সে ক্ষেত্রে
নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এবং এই মার্কেটপ্লেস থেকে অর্জিত অর্থ আপনি চাইলে
সরাসরি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশে কোন
ঝামেলা ছাড়াই পেমেন্ট ট্রান্সফার করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে বৈধ আয়
ফ্রিল্যান্সিং করে বৈধ আয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে
অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হল
আপ ওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, পিপলপার আওয়ার, টপ টাল ইত্যাদি। এই
মার্কেটপ্লেস গুলোর মাধ্যমে সারা পৃথিবীর ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম
করে থাকেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কাজ হল ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট,
গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ডাটা
এন্ট্রি ইত্যাদি। এই কাজগুলোর মধ্যে কোন একটি কাজে দক্ষ হয়ে মার্কেটপ্লেস গুলোর
মাধ্যমে আপনি কাজ করতে পারেন এবং ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এই সমস্ত কাজগুলির ভেতর থেকে যে কাজটি আপনি জানেন, সেই কাজটি মার্কেটপ্লেসে করার
জন্য আপনাকে মার্কেটপ্লেস একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার দক্ষতার বিবরণ সহ
প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। কাজ পাওয়ার পর সময় মত কাজ ডেলিভারি দিতে হবে
এবং বায়ারদের কাছ থেকে ভালো রেটিং নিতে হবে।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কোন একটি বিষয়ে দক্ষ হন, সে ক্ষেত্রে
মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ও অনেক কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ
হয়েছেন, সে বিষয় সহ আপনার সমস্ত বিষয় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করতে
পারেন, সে ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে যে সমস্ত ব্যক্তিরা বিষয় সংশ্লিষ্ট সার্ভিস চান,
তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে কাজ দিতে পারেন।
কিভাবে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যাবেঃ এ বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমে
মার্কেটপ্লেস থেকে প্রাপ্ত অর্থ পেওনিয়ার একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে।
পেওনিয়ার থেকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট ও ব্যাংক একাউন্ট থেকে মোবাইল
ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশে দ্রুত ও সহজ উপায়ে পেমেন্ট নিতে পারবেন। তবে এই সমস্ত
কার্যক্রম সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে, যেটা আপনাকে দেওয়ার মন-মানসিকতা রাখতে
হবে।
ব্লগিং করে ঘরে বসে আয়
ব্লগিং করে ঘরে বসে আয় এ বিষয়ে বলতে গেলে, অনলাইনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম
ব্লগিং করা, অর্থাৎ যেকোনো মূল্যবান ও আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু লিখে নিজের
ওয়েবসাইটে আপলোড করার মাধ্যমে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে
আপনাকে প্রচুর ভিজিটর ওয়েবসাইটে আনতে হবে এবং এই ভিজিটর আসার মাধ্যমে আপনার
ইনকাম হবে।
আপনি যদি সঠিকভাবে এস ই ও করতে পারেন এবং ব্লগিংয়ের জন্য যে সমস্ত বিষয় বা
নিয়ম নীতি মানতে হয় তা মেনে যদি কাজ করতে পারেন এবং আপনার লেখার মান যদি ভাল
হয়, সে ক্ষেত্রে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি গুগলের নিয়ম অনুসরণ না করে ব্লগিং করেন, সে ক্ষেত্রে আপনার সফলতা
পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।
আপনি যদি ভালো মানের কনটেন্ট গুগলে প্রকাশ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট
সংখ্যক বা তার বেশি ভিজিটর নিয়মিত আসলে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্সের বিষয় হলো, আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে
গুগল বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাড প্রচার করবে, আপনার পাঠকরা
যখন ব্লগ পাঠ করবে, তখন এই অ্যাডগুলো দেখবে এবং এর মাধ্যমে আপনার
ইনকাম হবে।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে
ব্লগিং করে প্রাপ্ত অর্থ আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের
মাধ্যমে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশে খুব সহজে ট্রান্সফার করে নিতে
পারবেন। গুগল এডসেন্স থেকে অর্থ ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এডসেন্সের জন্য
আবেদন করতে হবে এবং যদি গুগল কোম্পানি আপনার আবেদন গ্রহণ করে, সে ক্ষেত্রে আপনি
এর থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়
ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় এ বিষয়ে বলতে গেলে, ইউটিউব বর্তমান সময়ে
মানুষের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা ও বিনোদন গ্রহণের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে
সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। গুগলে বড় বা ছোট ভিডিও তৈরি করে প্রচুর ভিউ জেনারেট
করে অর্থ উপার্জন করা যায়। ইউটিউব কনটেন্টের যত বেশি ভিউ হবে তত বেশি ইনকাম
হবে।
বিভিন্ন ধরনের খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও, গেমিং, ফানি ভিডিও, ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থান
দর্শন, বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতি তুলে ধরা, গান, কবিতা, নাটক,
সিনেমা সহ ভিডিও সেক্টরের এমন কোন বিষয় নেই যা ইউটিউবে পাওয়া যায় না। ভালো
একটি ক্যামেরা বা ভাল ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন নিয়ে ভিডিও করে সুন্দর ভাবে এডিট
করে সাথে মিউজিক সেট করে প্রচার করা যেতে পারে।
আপনার ভিডিও ইউটিউবে যদি ভালোভাবে রান করে, সে ক্ষেত্রে আপনি এডসেন্সের মাধ্যমে
অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে অর্থ উপার্জনের আগে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি
মনিটাইজ করে নিতে হবে। ইউটিউব থেকে ভিডিও বানিয়ে বর্তমান সময়ে প্রচুর মানুষ
আনলিমিটেড অর্থ উপার্জন করছে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির এড প্রচার করতে পারবেন এবং
বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, এজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভিউ
জেনারেট করা। ইউটিউব সেক্টর থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়, এজন্য আপনাকে এই
সেক্টর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে হবে, সে ক্ষেত্রে আপনি ভালো একটি এমাউন্ট
প্রতিমাসে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে অর্জিত অর্থ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। আপনি
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা সরাসরি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ নিতে পারেন।
পরবর্তীতে এই অর্থ আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশে ট্রান্সফার করে খুব সহজে
অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এইভাবে ইউটিউব থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা
যায়।
ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করে ইনকাম করা
ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করে ইনকাম করার যে পদ্ধতি গুলো রয়েছে তার মাধ্যমে বর্তমানে
প্রচুর মানুষ ইনকাম করে থাকেন। ইউটিউব এর মত ফেসবুকেও বড় ও শর্ট ভিডিও প্রচার
করা যায়। ফেসবুক থেকে ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে
ফেসবুক কম্পানি থেকে প্রদত্ত কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
আপনি যখন আপনার ফেসবুক পেজটি শর্তপূরণ সাপেক্ষে মনিটাইজেশন এর আওতায় আসবেন, তখন
থেকে ভিডিও শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে
মানুষ ফেসবুকের ভিডিও ও রিল দেখে অনেক সময় ব্যয় করে। আপনি যদি ভালো বিষয়বস্তু
ও সুন্দর ভাবে এডিট করা ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ভালো ভিউ
জেনারেট করতে পারবেন।
আপনি যখন ভালো মানের ভিডিও মেকার হবেন, তখন আপনি প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকারও বেশি
উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে ফেসবুকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও, ফানি ভিডিও,
খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও, বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়ার ভিডিওসহ অনেক ধরনের ভিডিও
মানুষ খুবই পছন্দ নিয়ে দেখে থাকেন।
আপনার পেজটি যখন মনিটাইজ হয়ে যাবে এবং প্রচুর অডিয়েন্স থাকবে তখন আপনি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সহ বিভিন্ন ধরনের প্রোমোশনাল ভিডিও প্রচার করতে পারবেন,
যার মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক বা ইউটিউব এর ক্ষেত্রে
অডিয়েন্স বা ভিউ আপনার ইনকাম এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
আরও পড়ুনঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এর হিসেবে আপনি যখন ভালো একটি স্থান দখল করতে পারবেন, তখন
আরো বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আপনার ইনকাম জেনারেট হতে থাকবে। ব্যক্তিগত পরিচিতির
পাশাপাশি প্রচুর অর্থ উপার্জন করার মতো পদ্ধতি রয়েছে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং এর মধ্যে এবং এই সেক্টরটি দিনে দিনে আরো সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি অনলাইন ইনকামের
মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অর্থ হলো, অন্যের যেকোনো পণ্যের বিজ্ঞাপনের
মাধ্যমে আপনি যদি কেনা-বেচা করে দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে
নির্দিষ্ট হারে কমিশন প্রদান করবে। এই কাজে কোন বাড়তি ইনভেস্ট বা খরচ নেই বললেই
চলে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে নেটওয়ার্ক বা
প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। জনপ্রিয় কিছু অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হলো
এমাজন অ্যাসোসিয়েটস, ক্লিক ব্যাংক, শেয়ার আ সেল, সি জে
অ্যাফিলিয়েট ইত্যাদি। আমাদের দেশে স্বাভাবিকভাবে এমাজন অ্যাসোসিয়েট এর
মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়ে থাকে।
আপনি যে ধরনের পণ্য বা সেবা প্রচার করতে চান, সেই অনুযায়ী একটি বিষয় আপনাকে
ফোকাস করতে হবে। যেমনঃ ফিটনেস, ফ্যাশন, টেকনোলজি ইত্যাদি। আপনি যখন একটি
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করবেন, তখন তারা আপনাকে একটি ট্রাকিং
লিঙ্ক দিবে। এই লিঙ্ক এর মাধ্যমে যখন কেউ পণ্য ক্রয় করবে, তখন কোম্পানি
আপনাকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন প্রদান করবে।
আরও পড়ুনঃ
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এ্যাকাউন্ট খুলব
আপনি যেই অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটি পেয়েছেন এই লিঙ্কটি আপনার ইউটিউব
চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।
আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।
যেমনঃ ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা, পণ্যের রিভিউ ভিডিও আকারে প্রকাশ করা, আপনি
যে পণ্যের প্রচার করবেন সেই রিলেটেড অন্য পণ্যের সাথে তুলনামূলক বিষয় তুলে ধরা ও
ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি যে অর্থ উপার্জন করবেন, তা নির্দিষ্ট সময় বা
এমাউন্ট পূরণ হওয়ার পর কোম্পানি আপনাকে প্রদান করবে, সেক্ষেত্রে পে-পাল, ব্যাংক
ট্রান্সফার ইত্যাদির মাধ্যমে আপনাকে পেমেন্ট করবে, সেখান থেকে আপনি বিকাশের
মাধ্যমে কোন ঝামেলা ছাড়াই পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারবেন।
অনলাইন টিউটরিং করে আয় করুন
অনলাইন টিউটরিং করে আয় করুন এ বিষয়ে বলতে গেলে, বর্তমানে অনলাইন
টিউটরিং খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও শিক্ষা
প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে শিক্ষার্থীরা যেকোনো স্থান থেকে টিউটরিং সেবা নিতে
পারছে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে টিউটরিং করে আয় করতে পারবেন।
অনলাইনে টিউটরিং করে আয় করার জন্য আপনাকে একাডেমিক বিষয় নির্বাচন করতে হবে।
যেমনঃ গনিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি ইত্যাদি, আপনি যদি বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ হন যেমন
ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, বিভিন্ন টেকনিক্যাল স্কিল যেমন প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক
ডিজাইন, ডাটা সাইন্স ইত্যাদি এর সাথে মিউজিক বা আর্ট ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ হলে
অনলাইন টিউটরিং করতে পারবেন।
অনলাইন টিউটরিং করতে বেশ কিছু টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তার মধ্যে Chegg Tutor,
Tutor.com, Preply, VipKid অন্যতম। এই সাইটগুলি থেকে আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি
সাইট নির্বাচন করে রেজিস্ট্রেশন করুন। এই জাতীয় প্লাটফর্ম এ কাজ করতে গেলে
আপনাকে পেশাদার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনার একাডেমিক সকল তথ্য এখানে
উল্লেখ করতে হবে।
অনলাইন টিউটরিং করার জন্য আপনাকে এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে সম্পূর্ণ সিস্টেম জেনে কাজ
করতে হবে। আপনি এখানে বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যেমনঃ আপনি প্রতি
ঘন্টায় বা প্রতি ক্লাসে কত রেট নিবেন এখানে উল্লেখ করতে হবে। আপনি ব্যাচ সিস্টেমে ও একজন শিক্ষার্থীকেও পড়াতে পারেন, এর উপর নির্ভর করবে আপনার ইনকাম।
সরাসরি ব্যাংক একাউন্ট বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থ নিতে পারেন।
ড্রপ শিপিং করে আয় করার উপায়
ড্রপ শিপিং করে আয় করার উপায় হিসেবে আমরা বলতে পারি, ড্রপ শিপিং একটি ই কমার্স
ব্যবসায়িক সিস্টেম, যেখানে কোন প্রোডাক্ট স্টক না করে অন্য সরবরাহকারীর থেকে
সরাসরি ক্রেতার কাছে পাঠানোর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এই বিজনেসে স্টক
ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয় না, যার কারনে আপনার বাড়তি ঝামেলা নেই
বললেই চলে।
ড্রপ শিপিং ব্যবসা করার আগে আপনাকে একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। যেমনঃ বিউটি
আইটেম, ইলেকট্রনিকস, ফিটনেস আইটেম ইত্যাদি। ড্রপ শিপিং ব্যবসা পরিচালনার জন্য
একটি প্ল্যাটফর্ম আপনাকে বেছে নিতে হবে। জনপ্রিয় কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম হল
Shopify, WooCommerce, BigCommerce ইত্যাদি।
ড্রপ শিপিং ব্যবসার জন্য আপনাকে সরবরাহকারী নির্বাচন করতে হবে, যারা আপনার
ক্রেতাকে সরাসরি পণ্য সরবরাহ করবে। এরকম কিছু কোম্পানি হলো Daraz, AliExpress,
ইত্যাদি। ড্রপ শিপিং ব্যবসার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট সেট আপ করতে হবে,
যা আপনি Shopify, WooCommerce এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার উপায়
ড্রপ শিপিং ব্যবসা সম্পূর্ণ ভালোভাবে বুঝে আপনি করতে পারবেন। ড্রপ শিপিং এর
মাধ্যমে আয় করার উপায় হচ্ছে প্রোডাক্ট এর মূল দামের সাথে আপনার অংশ যোগ করে দাম
নির্ধারণ করতে হবে। আপনার অর্জিত অর্থ পেওনিয়ার এর মাধ্যমে পেতে পারেন। পেমেন্ট
হয়ে গেলে আপনি বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
টেলিগ্রাম থেকে কিভাবে আয় করা যায়
টেলিগ্রাম থেকে কিভাবে আয় করা যায় এ বিষয়ে বলতে গেলে, বর্তমান সময়ে
টেলিগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যাচ্ছে, তবে এখান থেকে আয় করতে গেলে
বেশ ধৈর্য ও সময় দিতে হয়। টেলিগ্রাম থেকে আয় করতে গেলে একটি চ্যানেল ও গ্রুপ
তৈরি করতে হয়। আপনি যদি একটি চ্যানেল মনিটাইজ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার
চ্যানেলে প্রচুর দর্শক-শ্রোতা থাকবে।
আপনার চ্যানেলে প্রচুর দর্শক-শ্রোতা থাকলে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তিগত
উদ্যোক্তা তাদের প্রোডাক্ট বা সেবার বিজ্ঞাপন দিতে আগ্রহী হবে। আপনার চ্যানেলে যে
সমস্ত কনটেন্ট থাকবে, পেইড মেম্বারশিপ এর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির লিঙ্ক শেয়ার করে অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন।
বিভিন্ন ধরনের ই-বুক, কোর্স, সফটওয়্যার বা বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য টেলিগ্রামের
মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে আপনার যে টেলিগ্রাম গ্রুপ বা চ্যানেল
রয়েছে তার মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েও ক্রেতাদের মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে
পারবেন। আপনি যদি টেলিগ্রাম গ্রুপ বা চ্যানেল বড় করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে
বিভিন্ন কোম্পানি তাদের অ্যাড প্রচারের জন্য আপনার চ্যানেল ব্যবহার করবে।
টেলিগ্রামে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রির মাধ্যমে আপনি যে অর্থ উপার্জন করবেন তা
পেওনিয়ার বা সরাসরি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ জমা করতে পারবেন, পরবর্তীতে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশে সরাসরি ট্রান্সফার করে কোন
ঝামেলা ছাড়াই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
অনলাইন মাইনিং করে অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি
অনলাইন মাইনিং করে অর্থ উপার্জনের পদ্ধতি হিসেবে আমরা বলতে পারি, অনলাইন
মাইনিং মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি একটি
প্রযুক্তিগত পদ্ধতি যা কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে ব্লক চেইন নেটওয়ার্কে লেনদেন
যাচাই ও নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। অনলাইন মাইনিং খুবই শক্তি
ও ব্যয় সাপেক্ষে বিষয়।
অনলাইন মাইনিং করার জন্য কম্পিউটার হার্ডওয়ার শক্তিশালী মাইনিং রিগ যেমনঃ ASIC,
GPU প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর জন্য বিশেষ সফটওয়্যার রয়েছে।
যেমনঃ CGMiner, BFGMiner, NiceHash ইত্যাদি। অনলাইন মাইনিং করার জন্য ব্লক চেইন
নেটওয়ার্কের সংযোগ অবশ্যই থাকতে হবে।
মাইনিং একটি জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া, যা উচ্চতর শক্তির প্রয়োজন
হয়, যার কারণে বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি হতে পারে। নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ না
থাকলে ব্লক চেন নেটওয়ার্কের সাথে স্থায়ী সংযোগ করা সম্ভব হবে না, যার কারণে
নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট অবশ্যই থাকতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের মাইনিং, অনলাইন মাইনিং এর ক্ষেত্রে রয়েছে। যেমনঃ সলো মাইনিং, পুল
মাইনিং, ক্লাউড মাইনিং। যদি মাইনার একা এই কাজ করেন এবং ব্লক সমাধান করে উপযুক্ত
পুরস্কার জিতে নেন একে সলো মাইনিং বলে, তবে এই ক্ষেত্রে বেশি শক্তি ও সময়ের
প্রয়োজন হয়। পুল মাইনিং এর ক্ষেত্রে একাধিক মাইনররা কাজ করে থাকেন।
ক্লাউড মাইনিং এর ক্ষেত্রে মাইনাররা নিজেদের সরঞ্জাম না কিনে অন্যের কাছ থেকে
মাইনিং শক্তি ভাড়া নেয় এবং দূরে বসে মাইনিং করে থাকে। মাইনিং এর জন্য বিটকয়েন,
ইথেরিয়াম, লাইট কয়েন, মনিরো ইত্যাদি কারেন্সি ব্যবহৃত হয়। অনলাইন মাইনিং এর
ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টি খুবই সাধারণ ঘটনা। কাজ করার আগে ভালোভাবে জেনে কাজ
করা উচিত।
অনলাইন মাইনিং এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত কারেন্সি ব্যবহৃত হয় তার মাধ্যমে যে লাভ হয়
তা ফিয়াট কারেন্সিতে রূপান্তরিত হতে পারে, সেখান থেকে পেওনিয়ার বা আপনার
স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টে প্রদান করে বিকাশের মাধ্যমে স্থানান্তর করে নেওয়ার
সুযোগ রয়েছে। অনলাইন মাইনিং করে অর্থ ইনকাম করা বেশ কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়
হতে পারে।
ক্রিপ্টো ট্রেডিং করে আয় করা
ক্রিপ্টো ট্রেডিং করে আয় করা সম্পর্কে বলতে গেলে, ক্রিপ্টো ট্রেডিং এর
মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেকে ইনকাম করে থাকেন, তবে এই সিস্টেমে অর্থ উপার্জন
করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে-বুঝে ও বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ
করে ক্রিপ্টো ট্রেডিং করলে লাভজনক অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব। ক্রিপ্টোকারেন্সির
বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে কাজ করলে সফলতার হার বেড়ে যায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব স্ট্রাটেজি নির্বাচন করতে হবে। কিছু স্ট্রাটেজি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি
- স্ক্যাল্পিংঃ মিনিট বা ঘন্টা ধরে ট্রেডিং ট্রেডিং করা, এক্ষেত্রে লেনদেন ছোট হয়।
- ডে ট্রেডিংঃ একই দিনে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা ও বিক্রি করা বোঝায়।
- সুইং ট্রেডিংঃ কিছুদিন বা সপ্তাহব্যাপী এই ট্রেডিং করা হয়।
- হোডলিংঃ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে এই সিস্টেমে ট্রেড করা হয়।
ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে শুরুতে প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হয়। কিছু
প্ল্যাটফর্ম, যেমনঃ Binance, Coinbase, Kraken, KuCoin ইত্যাদি। এর ভেতর থেকে
যেকোনো একটি প্লাটফর্ম নিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং ট্রেডিং করতে হবে।
ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো চার্ট দেখে প্যাটার্ন নির্বাচন করে বাজারের
ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা বুঝতে হয়।
এই মার্কেটটি যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ, তাই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য মোট পুঁজির এক
থেকে পাঁচ শতাংশ বিনিয়োগ করা ভালো। স্টপ লস সেট করলে ট্রেডিং যখন লস এর দিকে
যাবে, তখন এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আপনার ট্রেডিং যখন লাভে চলে
যাবে, তখন অটোমেটিক ট্রেডিং বন্ধ করার জন্য টেক প্রফিট সেট করে নিতে
হবে।
ক্রিপ্টো ট্রেড করার ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো টু ক্রিপ্টো ট্রেডিং করা যায়। যেমনঃ
বিটকয়েন টু ইটেরিয়াম। আবার ক্রিপ্টো টু ইউএসডি বা ইউরো ট্রেডিং করা যায়।
বাজার সেন্টিমেন্ট পর্যালোচনা করে ক্রিপ্টো ট্রেডিং করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ক্রিপ্টো থেকে সরাসরি স্থানীয় ব্যাংক বা বিনান্স এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা যায়,
সেখান থেকে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা যায়।
লেখক এর শেষ কথাঃ অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ
অনলাইন ইনকামের সেরা সুযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট ও কাজের বিষয়ে
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম। আমি আশা করি, এই ব্লগ থেকে আপনারা সঠিক তথ্য
পেয়েছেন ও অনলাইন ইনকামের সোর্স সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। নিয়মিত এই
ওয়েবসাইট ভিজিট করলে বিভিন্ন ধরনের ও সঠিক তথ্য পাবেন। এই ব্লকটি পরিচিতদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে, এখানেই শেষ
করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url