গর্ভাবস্থায় চালতার ৫টি অসাধারণ উপকারিতা | মাতৃত্বের পথ সহজ করুন
গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চলেছি। গর্ভাবস্থায় কি খাব, কি খাব না এই নিয়ে মায়েদের মধ্যে অনেক সংশয় ও জানার আগ্রহ দেখা দেয়।
গর্ভাবস্থায় চালতার বিভিন্ন গুনাগুন সহ আজ আমরা আরো জানতে চলেছি, গর্ভাবস্থায় চালতা কিভাবে খাওয়া উচিত। তবে আর দেরি না করে চলুন, শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় চালতা কিভাবে খাওয়া উচিত
- চালতার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
- গর্ভাবস্থায় চালতা বেশি খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় চালতা পাতার ব্যবহার
- গর্ভাবস্থায় চালতা পাতার ব্যবহারে সতর্কতা
- গর্ভাবস্থায় চালতার আচার
- গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে চালতার জুস
- লেখকের শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, গর্ভবতী মায়েরা গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। প্রাকৃতিকভাবে আমরা যে সমস্ত খাবার, ফল, সবজি ইত্যাদি পাই তা দিয়ে সুন্দরভাবে গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টি চাহিদা ও বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় মায়েরা বিশেষ করে পেটের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন।
গর্ভাবস্থায় চালতা খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়, কারণ চালতা প্রচুর আশ সমৃদ্ধ একটি ফল। গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয়, যা চালতা খেলে সমাধান হয়ে যায়। চালতাতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়। গর্ভাবস্থায় মায়েদের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে চালতার ব্যবহারে ভালো ফল দিতে পারে।
চালতায় রয়েছে বিভিন্ন এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ বিরোধী উপাদান, যা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন প্রদাহ দূর করতে সহায়ক হয়। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ জনিত সমস্যা দূর করতে পারে চালতা, কারণ এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান। চালতায় ভিটামিন বি এর উপস্থিতি থাকায় স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় চালতা কিভাবে খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় চালতা কিভাবে খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে বলতে গেলে, গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সর্বপ্রথম জরুরী কাজ। বেশি চালতা খাওয়া হীতে বিপরীত হতে পারে, এজন্য অল্প পরিমানে চালতা খেতে হবে। চালতা তে রয়েছে এসিডিক উপাদান, যা বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভকালীন সময়ে পাকা চালতা খাওয়া ভালো হয় এবং এতে পুষ্টিগুণ ও বেশি থাকে। গর্ভকালীন সময়ে কাঁচা ও বেশি পাকা চালতা খাওয়া উচিত নয়। চালতা সরাসরি খাওয়ার চেয়ে রান্না বা আচার তৈরি করে খেলে পেটের অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। চালতা দিয়ে কোন খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মসলা ও তেল এড়িয়ে চলা উচিত।
গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতার সাথে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি থাকলে চালতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ চালতা আপনার গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে চালতা খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক উপকারিতা রয়েছে, তা সত্ত্বেও চালতা খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেলে সম্ভাব্য সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
চালতার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
চালতার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে, টক স্বাদযুক্ত ফল হিসেবে চালতার ব্যবহার আমাদের দেশে প্রচুর। গর্ভকালীন সময়ে চালতা খাওয়ার প্রচলন আমাদের গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। চালতায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতার সাথে কিছু পুষ্টিগুণ চলুন জেনে আসি।
ভিটামিন সিঃ চালতাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ত্বক ভালো রাখে
এন্টিঅক্সিডেন্টঃ চালতায় পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষগুলিকে ফ্রী রেডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
আয়রনঃ চালতা আয়রনের ভালো উৎস। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ক্ষেত্রে চালতা সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে।
ডায়েটারি ফাইবারঃ প্রচুর আশ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায়, চালতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
ক্যালসিয়ামঃ চালতাতে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এন্টি ইনফ্লামেটরিঃ চালতাতে এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়ক হয়।
গর্ভাবস্থায় চালতা বেশি খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় চালতা বেশি খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে, চালতা প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যা বেশি খেলে ডায়রিয়া ও হজমের সমস্যা সহ শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে টক খাওয়ার প্রবণতা প্রচুর দেখা যায়, যার কারণে চালতা মুখরোচক হওয়ায় বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চালতা বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় খুবই কষ্টকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবে গ্যাস্ট্রিকের উপাদান পেটে সৃষ্টি হয়। এর সাথে যদি চালতা পরিমাণের অধিক খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সমস্যা অত্যাধিক বেড়ে যায়। গর্ভকালীন সময়ে চালতার সাথে অন্যান্য ফল মিশ্রণ করে খেলে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়।
আরও পড়ুনঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়
গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়ার ক্ষেত্রে যাদের শরীরে এলার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এলার্জির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য চালতা খাওয়ার পর যদি এলার্জিজনিত কোন সমস্যা দেখা দেয়, সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক ফল বা সবজি যাই খান না কেন তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব একটা বেশি হয় না।
গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, চালতা একটি শক্তিশালী ও উচ্চমানের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই ফল বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেললে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, এজন্য বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করে চালতা খেলে কার্যকরী উপকারিতা পাওয়া যায়। চালতা রান্না করে খেলে সবচেয়ে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
পাকা চালতাতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে। পাকা চালতা গর্ভাবস্থায় খাওয়া যেতে পারে। চালতার আচার করে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে তেল ও মসলার পরিমাণ বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। কাঁচা চালতা ছোট ছোট করে কেটে অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকারিতা পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
প্রচুর আশ সমৃদ্ধ চালতা ফল হওয়ায় চালতাতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি পাওয়া যায় কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়, যার কারণে গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালাপোড়া সহ পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় চালতা পাতার ব্যবহার
গর্ভাবস্থায় চালতা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে, চালতা পাতা চা হিসেবে পান করা যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। চালতা পাতাতে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়ক হয়। চালতার পাতা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা চলে যায়।
বিভিন্ন অঞ্চলে চালতার পাতা পানিতে ফুটিয়ে শরীরে মাখা হয়, যা গর্ভাবস্থায় শরীরের ফোলা ভাব কমিয়ে দিতে পারে। যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই, তবে প্রচলিতভাবে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চালতা পাতায় এন্টি ফিলামেন্টরি গুনাগুন থাকায় তা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ দূর করতে পারে ও শরীর ভালো রাখে।
আরও পড়ুনঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
চালতা পাতায় এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মানব দেহ কোষ কে ফ্রী রেডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। গর্ভাবস্থায় চালতা পাতা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে, যা গর্ভকালীন মায়েদের শরীর ও গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন অঙ্গ গঠন ও খাদ্য পুষ্টির অভাব পূরণ করতে পারে। তবে চালতা পাতা ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় চালতা পাতার ব্যবহারে সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় চালতা পাতার ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিত, কারণ চালতা পাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গর্ভবতী মায়েদের শরীরে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যাদের শরীরে এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে, চালতা পাতার ব্যবহারে এলার্জির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা যাদের রয়েছে, চালতা পাতা থেকে তাদের দূরে থাকা উচিত।
প্রচলিত বিভিন্ন বিষয় অনুসরণ না করে জেনে ও বুঝে চালতা পাতা ব্যবহার করা উচিত। আপনার শরীরে চালতা পাতা কেমন আচরণ করতে পারে সে বিষয়ে জেনে ও বুঝে কাজ করতে হবে। চালতা পাতায় হরমোনাল প্রবলেম দেখা দিতে পারে, কারণ এই পাতা ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। চালতা পাতায় এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা গর্ভপাতে সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
চালতা পাতার বেশি ব্যবহারে গ্যাস্ট্রিক, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। চালতা পাতার বেশি ব্যবহারে অনেক গর্ভবতী মায়েদের যোনিপথে রক্তপাত হতে পারে, বিষয়টি খেয়ালে রাখবেন। চালতা পাতার ব্যবহার সরাসরি কোন রোগের প্রতিষেধক হতে পারে না, এটি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় চালতার আচার
গর্ভাবস্থায় চালতার আচার সম্পর্কে বলতে গেলে, অনেক গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে কাঁচা চালতা খাওয়া শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চালতা লবণ, মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। কিন্তু আপনার শারীরিক অন্যান্য সমস্যা থাকলে চালতা সমস্যা তৈরি করতে পারে, এজন্য চালতা আচার করে খেলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চালতার আচার তৈরি করার ফলে চালতার টক স্বাদ অনেক কমে যায়। কাঁচা চালতায় যে সমস্ত সমস্যা সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে তা দূর হয়ে যায়। চালতা আচার তৈরি করার ক্ষেত্রে আগুনে তাপ দেওয়া ও অন্যান্য উপাদান মেশানোর কারণে পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। চালতার আচার কম মসলা ও তেল দিয়ে তৈরি করলে ভালো হয়।
চালতার আচার তৈরির বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। চালতা সিদ্ধ করে হালকা লবণ ও মরিচ দিয়ে খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। চালতাতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা আমাদের গর্ভকালীন মায়েদের ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে পারে। চালতার আচারে অনেক শারীরিক উপকারী গুণ রয়েছে, যা গর্ভকালীন মায়েদের ক্ষেত্রে পরিমিত হারে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে চালতার জুস
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে চালতার জুস তৈরি করে খাওয়া ভালো উপকারী পন্থা হিসেবে ধরা যেতে পারে। চালতা জুস করার ক্ষেত্রে পাকা চালতা ব্যবহার করা উচিত। কাঁচা ও বেশি পাকা চালতা থেকে গর্ভবতী মায়েরা দূরে থাকবেন। পাকা চালতা রস করে অন্যান্য উপাদান মিশ্রণ করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
চালতার সাথে অন্যান্য ফল যুক্ত করে জুস করে খেলে ভিন্ন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। চালতার জুস গর্ভবতী মায়েদের এন্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়। হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে ও এন্টিফ্লামেটরি গুণ থাকায় শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর করে। চালতার জুস তৈরি করার ক্ষেত্রে চালতা কে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে অল্প পরিমাণ খাওয়া উচিত।
এক গ্লাস চালতার জুস গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি, যার কারনে হাফ গ্লাসের কম খেলে উপকার পাওয়া যায়। বেশি খেয়ে ফেললে হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে। চালতার জুসে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য খাদ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চালতার জুস নিয়মিত খাওয়া শরীরের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমিত পরিমাণ খাওয়া উচিত।
লেখকের শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চালতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। চালতা কম পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আশা করি আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েছেন। আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ও আপন মানুষদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url