হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত জানতে চলেছি। মনোযোগ সহকারে ব্লগ কি পড়লে আপনাদের উত্তর পেয়ে যাবেন। 

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতার সাথে আজ আমরা জানবো সিদ্ধ হাঁসের ডিমের উপকারিতা। তবে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।  

পেজ সূচিপত্রঃ হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা 

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, হাঁসের ডিম একটি জনপ্রিয় ও শক্তিবর্ধক খাবার হিসেবে আমাদের সমাজে প্রচলিত। ধারণাটা ভুল নয়, আসলেই হাঁসের ডিমে রয়েছে প্রচুর শক্তিশালী উপাদান। হাঁসের ডিমের সাদা অংশে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। অনেকে হাঁসের ডিমের শুধু কুসুম খেয়ে থাকেন। 

হাঁসের ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, অন্যান্য ভিটামিন,  আয়রন, জিংক এবং খনিজ উপাদান। এজন্য প্রতিদিন হাসির ডিমের কুসুম খেলে শরীরের পুষ্টির অভাব অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। হাঁসের ডিমে রয়েছে প্রচুর উপকারী এন্টি অক্সিডেন্ট। এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের দেহে বিভিন্ন রোগ ও সমস্যা থেকে রক্ষা করে। 

হাঁসের ডিমে মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক বেশি কোলেস্টেরল রয়েছে। যারা কোলেস্টেরল বা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য হাঁসের ডিম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। একটি মুরগির ডিমে কমবেশি ৯০ মিলি গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, অন্যদিকে হাঁসের ডিমে থাকে কমবেশি ২৭০ মিলি গ্রাম। দেহে প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব পূরণের সাথে সাথে যাদের হার্ট ও কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে হাঁসের ডিম তাদের জন্য বুঝে শুনে খাওয়া উচিত। 

সিদ্ধ হাঁসের ডিমের উপকারিতা 

সিদ্ধ হাসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে চলুন কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। প্রতিদিন খাবারের সাথে ডিম খাওয়া খুব ভালো অভ্যাস। হাঁসের ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি১২ যা আপনার হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে। হাঁসের ডিমে অন্যান্য ভিটামিনের সাথে ভিটামিন এ পর্যাপ্ত রয়েছে যা আপনার দৃষ্টিশক্তি, রক্ত ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক হয়।

হাঁসের ডিমে রয়েছে সেলেনিয়াম নামক উপাদান যা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, সাথে রয়েছে রিবোফ্লাভিন, যা অত্যন্ত শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে রক্তে নতুন ব্লাড সেল তৈরি হয়। নিয়মিত হাঁসের ডিম খেলে আপনার ডি এন এ সিন্থেসিস ও সুস্থ স্নায়ুতন্ত্র গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  

সিদ্ধ ডিমের কুসুমে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ ডিম খেলে মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। পুষ্টির দিক থেকে মুরগির ডিমের তুলনায় সেদ্ধ হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। রসুন এবং মাখন এর সাথে হালকা আঁচে সিদ্ধ ডিম খেলে ভালো পুষ্টি  পাওয়া যায়। 

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে, গর্ভবতী মায়েদের প্রথম তিন মাসে প্রচুর খাওয়া দাওয়া করা উচিত। দেহের পুষ্টি এই সময় অতি প্রয়োজনীয়, কারণ মায়ের শরীর থেকেই শিশু গর্ভে থেকে খাবার গ্রহণ করে থাকে। মায়েরা যখন গর্ভবতী হন তখন শরীর দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়, যার জন্য হাঁসের ডিম খাওয়া হতে পারে একটি ভালো বিষয়। 

গর্ভবতী মায়েরা হাঁসের ডিম খেলে, শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক সহ শরীরের অন্যান্য অর্গ্যান গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন একটি বা দুটি হাঁসের ডিম খাওয়া যেতে পারে। আমাদের শরীরে প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলের প্রয়োজন। একটি হাঁসের ডিমে কমবেশি ১৮০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।

আরও পড়ুনঃ গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

হাঁসের ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ, ফ্যাট ইত্যাদি যা গর্ভবতী মায়েদের শরীর ভালো রাখতে ও শিশুর গঠন পরিপূর্ণ হতে সহায়ক হয়। এছাড়াও রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, সেলেনিয়াম এবং জিংক, যা গর্ভবতী মায়েদের ও গর্ভের সন্তানের খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে বিবেচিত। গর্ভাবস্থায় এজন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একটি বা দুটি হাঁসের ডিম হতে পারে গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণের অন্যতম উপায়।

হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম 

হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রতিদিন খাবারের সাথে একটি ডিম খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। আমরা জানি হাঁসের ডিমে রয়েছে প্রচুর শক্তিশালী উপাদান যা আমাদের দেহ সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়ক হয়। প্রতিদিন যদি দুটো করে হাঁসের ডিম খান, সেক্ষেত্রে শারীরিক অস্থিরতা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

হাঁসের ডিম অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় গরমের সময় হাঁসের ডিম খেলে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। সাধারণত যারা শরীর চর্চা করেন, একটি ডিম খেয়ে চর্চা শুরু করুন তাতে আপনার শরীর চর্চা করতে প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন। অনেকে শুধুমাত্র হাঁসের ডিমের কুসুম খেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রেও প্রতিদিন একটি হাঁসের ডিমের কুসুম খাওয়া ভালো। 

আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি সিদ্ধ হাঁসের ডিম খেয়ে নিতে পারেন। আর যদি আপনি ওজন কমাতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি হাঁসের ডিম খেয়ে নিতে পারেন। হাঁসের ডিমে যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা শরীরের জন্য খুবই ভালো। আমরা জানি হাঁসের ডিমে প্রচুর কোলেস্টেরল রয়েছে কিন্তু এই কোলেস্টেরল রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মত নয়।     

ছেলেদের হাঁসের ডিম খেলে কি হয় 

ছেলেদের হাঁসের ডিম খেলে কি হয় এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ছেলেরা যদি তাদের যৌবন ধরে রাখতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন একটি করে হাঁসের ডিম খেতে পারেন। অনেকে বলে থাকেন প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস দুধের সাথে কাঁচা হাঁসের ডিম মিশিয়ে খেলে হারানো যৌবন ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু বন্ধুগণ,   কাঁচা হাঁসের ডিমে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা আপনার দেহে অনেক ক্ষতি করতে পারে। 

ছেলেদের হাঁসের ডিম খেলে কি হয়

ছেলেরা প্রতিদিন একটি করে হাঁসের ডিম খেলে আপনাদের শরীর, ত্বক, নখ, চুল ইত্যাদি ভালো থাকবে। মুখে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ ও চুলকানি জাতীয় রোগ নিরাময়ে নিয়মিত হাঁসের ডিম খেতে পারেন। নিয়মিত হাঁসের ডিম খেলে রক্ত কোষের পুনর্জন্ম হয়। এছাড়াও শিশু থেকে বয়স্ক সকলের মস্তিষ্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে হাঁসের ডিম। 

ছেলেরা নিয়মিত হাঁসের ডিম খেলে আপনাদের যৌন ক্ষমতা বজায় থাকবে এবং বৃদ্ধি পাবে। হাঁসের ডিম বিভিন্নভাবে খেতে পারেন, সিদ্ধ করে, ভেঁজে বা রান্না করে, যেভাবেই খান সমান পুষ্টি পাবেন। তবে মনে রাখবেন, বেশি যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেয়ে হাঁসের ডিম খেয়ে শরীরের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। পরিমিত হাঁসের ডিম খান, শরীরের শক্তি এমনিতেই বজায় থাকবে এবং যৌবনও অটুট থাকবে। 

হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে 

হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রথমে আমাদেরকে প্রেসার সম্পর্কে জানতে হবে। প্রেসার দুই ধরনের, হাই প্রেসার ও  লো প্রেসার। যাদের হাই প্রেসার রয়েছে তারা প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা জানি হাঁসের ডিমে পুষ্টি উপাদান মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক বেশি। হাই প্রেসার এর ক্ষেত্রে যদি সমস্যা হয় কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়া যেতে পারে। 

হাঁসের ডিম অবশ্যই প্রেসার বাড়ায়। যাদের লো প্রেসার রয়েছে তাদের জন্য হাঁসের ডিম অত্যন্ত উপকারী। আপনাদের লো প্রেসার কে স্বাভাবিক প্রেসারে আনতে হাঁসের ডিম হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। যাদের লো প্রেসার, প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে প্রেসার একেবারেই কমে গেলে অনেকে দুটো হাঁসের ডিম একসাথে খেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে প্রেশার ঠিক হয়ে গেলে একদিন গ্যাপ দিয়ে আবার নিয়মিত হাঁসের ডিম খেতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

হাঁসের ডিম প্রেসার বাড়িয়ে দেয় কথাটা সোনার সাথে সাথে একটি শঙ্কা মনে জেগে ওঠে। এজন্য প্রেসার সম্পর্কে জেনে ও নিজের শরীর বুঝে খাওয়া-দাওয়া করা উচিত। হাঁসের ডিম অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার আমাদের সবার জন্য। অহেতুক হাঁসের ডিমকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে হাঁসের ডিম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, এক্ষেত্রে যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকতে পারেন। 

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে  

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে এ সম্পর্কে বলতে গেলে একটি বড় আলোচনা হয়ে যাবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এলার্জি এমন একটি বিষয় যা প্রকৃতিতে যত খাবার আছে প্রত্যেকটি খাবারে এলার্জি রয়েছে। এলার্জির উপসর্গ হচ্ছে সর্দি লাগা, হাঁচি-কাশি হওয়া, শরীরে চাকা চাকা লাল লাল হয়ে  ফুলে যাওয়া, শরীর চুলকানো ইত্যাদি।

হাঁসের ডিমে অবশ্যই এলার্জি আছে, তবে তা এক একজনের শরীরে এক এক রকম ভাবে দেখা দিতে পারে। হাঁসের ডিমে এলার্জি আছে কিনা এটি মুখ্য বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে আপনার শরীরে হাঁসের ডিম এলার্জি ইফেক্ট করছে কিনা। যদি না করে থাকে, অনায়াসে আপনি হাঁসের ডিম খেতে পারেন। অনেক সময় ডাক্তার হাঁসের ডিমের সাথে আরো অন্যান্য কিছু খাবার খেতে নিষেধ করে। মনে রাখবেন, ওটা সাময়িকভাবে বলে।

আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ধরুন আপনার এমন একটি রোগ হয়েছে যে রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার কিছু ওষুধ দিয়েছে যেই ওষুধে স্বাভাবিকভাবে এলার্জি দেখা দিতে পারে, তার মধ্যে যদি এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে, এজন্য ডাক্তার নিষেধ করে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের শরীরে স্বাভাবিকভাবে হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, পুঁইশাক ইত্যাদি খাবারে এলার্জি ইফেক্ট করে। 

হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক 

হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বলতে গেলে, পুষ্টিগুণের বিচার বিশ্লেষণে হাঁসের ডিম মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু মনে রাখতে হবে, হাঁসের ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল রয়েছে কমবেশি ২৭০ মিলিগ্রাম, অন্যদিকে মুরগির ডিম এ রয়েছে কমবেশি ৯০ মিলি গ্রাম। এর থেকেই বুঝতে পারছেন, যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য হাঁসের ডিম না। 

হাঁসের ডিমের ক্ষতিকর দিক

অনেকে হার্টের সমস্যাই ভুগে থাকেন। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা হাঁসের ডিমকে এড়িয়ে চলুন। হাই ব্লাড প্রেসার যাদের রয়েছে তারা অতিরিক্ত হারে হাঁসের ডিম খেলে আপনাদের প্রেসার অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে, যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। যাদের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তারা অনায়াসে হাঁসের ডিম খেতে পারেন তবে, নিয়মিত ১টি হাঁসের ডিম খাওয়া ভালো। 

যাদের শরীরে হাঁসের ডিম এলার্জি ইফেক্ট করে তারা হাঁসের ডিম এড়িয়ে চলুন। তা না হলে সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীর চুলকানো সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হয়ে থাকেন, হাঁসের ডিমে যদি কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে, তারপরেও প্রতিদিন একটির বেশি হাঁসের ডিম খাওয়া উচিত না।  

প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেলে কি হয় 

প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেলে কি হয় এ বিষয়ে বলতে গেলে, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। ডিম দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। প্রতিদিন যদি দুটো করে ডিম খেতে থাকেন, সেক্ষেত্রে দেহের প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারের সহ অন্যান্য বিষয়ের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলাফল হতে পারে দেহের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি। 

বেশি পরিমাণে ডিম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে, যদিও ডিম খুবই সহজে শরীরে হজম হয়ে যায় তা সত্ত্বেও বেশি পরিমাণে ডিম খেলে এ সিস্টেম বিগড়ে যেতে পারে। বেশি পরিমাণে ডিম খেলে পেটের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে, যেমন এসিডিটি। আপনারা জানেন গ্যাস বা এসিডিটি বেড়ে গেলে শরীরে কেমন অনুভূতি হয়। 

আমরা উপরে আলোচনা করেছি ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর কোলেস্টেরল। হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেলে আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যার জন্য অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের হার্টের সমস্যা তাদের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে বেশি পরিমাণে ডিম খাওয়া। 

লেখকের শেষ কথাঃ হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা 

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছি। আমাদের দেহের ভাষা বুঝে সব সময় খাবার নির্বাচন করা উচিত। দিনে প্রতিদিন একটির বেশি ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। উপরোল্লিখিত বিষয় থেকে আমি আশা করি, আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url