মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

 মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি দিক থাকা সত্তেও, মিল্কশেক বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ মিল্কশেক পান করতে পারে।

মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

 বিভিন্ন স্বাদের মিল্কশেক বাজারে পাওয়া যায়। মিল্কশেকের উপকারিতা ও অপকারিতা নির্ভর করে  উপাদানের মিশ্রণের উপর। বিভিন্ন উপাদানের কারণে স্বাদ ও বিভিন্ন রকম হয়। অনেকের মনে আবার প্রশ্ন মিল্কশেক খেলে কি মোটা হওয়া যায়। 

পেজ সূচিপত্রঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা 

মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানার আগে আসুন জেনে নেই মিল্কশেক কাকে বলে। মিল্ক শব্দের অর্থ দুধ আর শেক শব্দের অর্থ ঝাঁকানো অর্থাৎ, দুধ বা দুগ্ধ জাত দ্রব্য, আইসক্রিম, চিনি, বিভিন্ন ধরনের ফল, বরফ কুচি, সিরাপ, বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার ও অনুমোদিত ফুড কালার মিশ্রিত হয়ে ঝাঁকুনির মাধ্যমে যে ঘন পানীয় তৈরি হয় তাকে আমরা মিল্কশেক বলতে পারি। 

মিল্কশেকের খাদ্য উপাদান: মিল্কশেক তৈরীর জন্য ৬০টিরও বেশি উপাদান ব্যবহার হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, দুধ, আইসক্রিম, বরফ কুচি, দই, খেজুর, কমলা, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, কলা, আপেল, নাশপতি, মিষ্টি কুমড়া, গাজর বিভিন্ন ধরনের চকলেট, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বিভিন্ন চকলেট  ইত্যাদি। 

উপাদানের বিভিন্নতার কারণে মিল্কশেকের পুষ্টি গুনাগুন ও বিভিন্ন হয়ে থাকে। তবে, যে যেমন রেসিপিই তৈরি করুক না কেন, তার মধ্যে উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য উপাদান থাকবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সুন্দর রংয়ের জন্য অনুমোদিত ফুড কালার ও সুন্দর গন্ধের জন্য ফ্লেভার যুক্ত হয়ে থাকে।

মিল্কশেকের পুষ্টি গুনাগুন 

মিল্কশেকের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে হলে মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। প্রচুর উপাদান মিশ্রিত পানীয় হওয়ায় মিল্কশেকে পাওয়া যায় প্রচুর পুষ্টি। যা আমাদের দেহ ও মনকে সবল রাখে ও দেহের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়, ঘুমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে। ২০০ গ্রাম মিল্কশেকের আনুমানিক পুষ্টি উপাদান নিম্নে উপস্থাপন করছি।

  • ক্যালোরি ১৩০ গ্রাম 
  • শর্করা ২০ গ্রাম
  •  সুগার ১৯ গ্রাম
  •  ক্যালসিয়াম ১৫ গ্রাম
  •  ভিটামিন ডি ১৩ গ্রাম 
  • পটাশিয়াম ১ গ্রাম 

 খাদ্য উপাদানের পরিমাণ ও বিভিন্নতার উপর এই তালিকার গুনাগুন ও পরিমাণ বিভিন্ন হতে পারে। পুষ্টি গুণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটা আনুমানিক একটি চাট। এটি শতভাগ নির্ভুল নয়। সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর রেজাল্ট পেতে আপনার মিল্কশেক তৈরির জন্য সুন্দর একটি রেসিপি নির্বাচন করুন ও মিল্কশেক পান করুন। 

আরও পড়ুনঃ গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্কশেক কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো 

মিল্কশেক কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এ বিষয়ে বলতে গেলে প্র‍চুর খাদ্যপ্র‍াণ সমৃদ্ধ উপাদান থাকায় এই পানীয়টি একেক জনের দেহে একেক ধরনের প্র‍ভাব ফেলতে পারে। মিল্কশেকের মধ্যে যে জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এমন উপাদান সাধারণত ব্যবহার করা হয় না। বর্তমান সময়ে যে সকল স্থানে মিল্কশেক তৈরি ও বিপণন করতে দেখা যায়। 

মিল্কশেক তৈরির জন্য উপাদান গুলির মানের বিষয়টি দেখা খুবই জরুরী। ক্ষতিকর দ্রব্য যেমন: ফুড কালার, বিভিন্ন ফ্লেভার, এই উপাদানগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। যদিও বিষয়টি বর্তমান সময়ে পরিবেশনের ক্ষেত্রে খুবই ব্যবহার হচ্ছে কিন্তু যেহেতু বিষয়গুলোর মধ্যে কেমিক্যাল এর ব্যবহার রয়েছে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

মিল্কশেকে ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে নিয়মিত মিল্কশেক পান করলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তবে, মিল্কশেক পানে স্বাভাবিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য যে সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাব থাকে তা পূরণ হয়। প্রচুর পরিমাণে মিল্কশেক পান করলে দৈনিক গ্রহণযোগ্য ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়।এছাড়া মিল্কশেক পানে দেহ শক্তিশালী, সুস্থ ও সুন্দর থাকে। 

আরও পড়ুনঃ হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

খাঁটি মিল্কশেক তৈরীর কিছু বিষয় 

খাঁটি মিল্কশেক তৈরীর কিছু বিষয় সম্পর্কে বলতে গেলে, মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও জানতে হবে। খাঁটি মিল্কশেক তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে উপাদানগুলির মিশ্রণের রেসিপি। একেক ধরনের মিল্কশেক এক এক রকম ভাবে তৈরি হয়। আপনাদের রুচি ও পছন্দের উপর নির্ভর করে এটি তৈরি করে নিতে হবে। চলুন আরও বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক।

উপাদানের পরিমিত পরিমাণঃ উপাদানের পরিমিত পরিমান এর উপরে নির্ভর করে আপনার মিল্কশেকের মান ও স্বাদ। আপনার দেহে কোন কোন খাদ্য উপাদান গ্রহণে সমস্যা আছে, সেটা বুঝে মিল্কশেক তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝকির পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ মিল্কশেক পেতে পারেন। যা আপনার  শরীর ও মনের সতেজতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। 

চিনি ও চর্বিযুক্ত উপাদানের উপস্থিতিঃ আমরা জানি, চিনি মস্তিষ্কের কার্যক্রম সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং চর্বিযুক্ত উপাদান দেহের প্রয়োজনীয়  বিভিন্ন শারীরিক অভাব পূরণ করে। তা সত্ত্বেও যদি অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত উপাদান ব্যবহার করে মিল্ক শেক তৈরি করা হয় সে ক্ষেত্রে তা হতে পারে আপনার স্থূলতা, ডায়াবেটিস বৃদ্ধি সহ অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার কারণ। 

কৃত্রিম রং ও ফ্লেভারঃ যেকোনো রঙিন খাবার আমাদের মনকে আনন্দ দেয় কিন্তু এই আনন্দ তৈরি করার জন্য আমরা যে কেমিক্যাল ব্যবহার করছি, তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর সাথে সুন্দর গন্ধ তৈরি করার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করছি তাও আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। এজন্য খাটি মিল্কশেক তৈরি করতে রং ও ফ্লেভার যুক্ত করার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া হবে আপনার স্বাস্থ্যকর সু চিন্তার প্রমাণ।

মিল্কশেক এর উপকারিতা 

মিল্কশেক এর উপকারিতা সম্পর্কে এখন আলোচনা করা যাক। মিল্কশেক পানে আপনার শারীরিক বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অভাব পূরণ হয় যা আপনার শরীর সুগঠিত ও ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ভাল ঘুম মানুষের জন্য খুব প্রয়োজনীয় যা মিল্কসেক পানে আস্তে পারে। নিয়মিত মিল্কশেক পান করলে আর যে সমস্ত শারীরিক উপকার হয় সে বিষয়ে চলুন জেনে আসা যাক। 

মিল্কশেক এর উপকারিতা

কার্বোহাইড্রেটের অভাব দূর করেঃ মিল্কশেক তৈরির উপকরণের মধ্যে রয়েছে চিনি। যা কার্বোহাইড্রেট এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচিত। চিনি আপনার মস্তিষ্ককে সুন্দরভাবে কাজ করার জন্য শক্তি প্রদান করে। আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করি তা যদি যথেষ্ট না হয় সেক্ষেত্রে মিল্কশেক ভালো সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজে দেয়।

 হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখেঃ ফল ও সবজি সমৃদ্ধ মিল্কশেক আপনার হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এক্ষেত্রে ফল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে স্ট্রবেরি, পেঁপে, কমলা ইত্যাদি। দুধের সাথে এই ফ্রুটসগুলো মিক্স করে ফ্রুটস মিল্ক শেক তৈরি করে খেলে হৃদপিন্ডের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। এজন্য আমরা যারা হার্ট সম্পর্কে সচেতন, তাদের ক্ষেত্রে  ফ্রুটস মিল্কশেক হতে পারে একটি আদর্শ পানীয়।

ওজন কমাতে সহায়ক হয়ঃ উচ্চ ক্যালরিযুক্ত উপাদান বাদ দিয়ে যদি মিল্কশেক তৈরি হয় সেক্ষেত্রে ওই মিল্কশেক গ্রহণ করলে আপনার ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন: খেজুর, পেঁপে ও বাদাম, মিশ্রণে যোগ দিলে ভালো এক ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন পানীয় তৈরি হয়। যা আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফলপ্রসু হবে।

এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করেঃ রোগ মুক্ত জীবন আমাদের সবার কাম্য। দেহে এন্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি ভালো থাকলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়া যায়। এন্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভালো উৎস মিল্কশেক যা শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সার সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন: কমলা, আঙ্গুর, স্ট্রবেরী এই ফলগুলো যুক্ত করে মিল্কশেক তৈরি করে পান করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য বলা যায়, স্বাস্থ্য সচেতন ও অধিক শারীরিক পরিশ্রম যারা করেন তারা প্রতিদিন এক গ্লাস মিল্কশেক পান করলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব পূরণ হয়।

আরও পড়ুনঃ হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্কশেক পান করলে কি ওজন বাড়ে 

মিল্কশেক পান করলে কি ওজন বাড়ে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা একটু সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্য বিসয়ক এ জাতিও তথ্য জানতে চান ও অনেক কিছু করে থাকেন। সব সময় চিন্তায় মগ্ন থাকেন কিভাবে একটু ভালো স্বাস্থ্য লাভ করা যায়। তাদের ক্ষেত্রে বলবো আপনারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মিল্কশেক রাখুন।

 এর উচ্চ প্রোটিন ও চর্বি সমৃদ্ধ উপাদান সহ মিল্কশেক তৈরি করে খেলে আপনাদের ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর ও সুস্থ থাকবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা বিভিন্ন মেডিসিন গ্রহণ করে মোটা হতে চান।এবং অনেকে মোটা হয়েও যান তবে পরবর্তীতে মেডিসিনের খারাপ প্রভাব শরীরের উপরে পড়ে। যার কারনে সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা।

 ওজন বাড়ানোর জন্য মিল্কশেক খুবই ভালো, তবে উপাদান নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু চিন্তা ভাবনা করে ব্যবহার করলে আপনারা ভালো ফলাফল পেতে পারেন, যা আপনাদের অন্যান্য সমস্যা মুক্ত সুন্দর দেহ গঠনে ভালো ফলাফল দিবে যা আপনার দিনকে কর্মময় ও সুন্দর করে দিতে পারে। ভাল মিল্কসেক পানে আপনি এই সুফল পাবেন।

আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

মিল্কশেকের অপকারিতা 

মিল্কশেকের প্রচুর উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এর অপকারিতাও কম নয়। সাধারণভাবে আমাদের সবার শরীর সমান নয় শরীরের কার্যকরিতার ভিত্তিতে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান বিভিন্ন শরীরে ভিন্নতর প্রভাব হিসেবে দেখা দেয়।

 কারোর ক্ষেত্রে দেখা যায় খুব শক্ত খাদ্য প্রাণযুক্ত খাবার খেয়েও হজম হয়ে যায়, আবার কারও ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না।  একজনের শরীরে এক এক ধরনের খাদ্য সহ্য হয় এই জন্য শরীরকে বুঝে আমাদের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

 ভালো মানের খাবার মনে করে গ্রহণ করে শরীরের সহ্য ক্ষমতার অধিক হয়ে যেতে পারে এজন্য মিল্কশেক যেহেতু বিভিন্নভাবে তৈরি করা যায় না বুঝে না শুনে খেলে উপকারের তুলনায় অপকার হয়ে যেতে পারে। চলুন জেনে আসি মিল্কশেকের কিছু অপকারিতা।

রক্তকে দূষিত করেঃ আমরা জানি মিল্কশেকের প্রধান উপাদানের মধ্যে একটি চিনি অতিরিক্ত চিনি গ্রহণে আপনার রক্তনালী ও রক্ত কণিকার মধ্যে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এজন্য কম চিনি দিয়ে মিল্কশেক  তৈরি করে খেলে অপকারের তুলনায় উপকার ই বেশি হয়। 

ওজন বাড়িয়ে দেয়ঃ মিল্কশেকের উপাদানগুলির মধ্যে উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত উপাদান অনেক রয়েছে আমরা যদি এই জাতীয় উপাদান ব্যবহার করে মিল্কশেক পান করি সে ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্য বেড়ে যেতে পারে এজন্য মিল্কশেক তৈরির সময় উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত উপাদান যদি পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করা যায় সেক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব।

ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাঃ মিল্ক শিকে রয়েছে দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাত দ্রব্য অনেকের ক্ষেত্রে দুধ হজম করাটা কষ্টকর যাদের দুধ হজম হয় না তারা যদি মিল্কশেক পান করেন তবে ডায়রিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এজন্য আপনারা মিল্ক শিপ তৈরি করে খেতে চাইলে দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় পরিনিত পরিমাণে দিয়ে অন্যান্য উপাদান যেমন ফল সবজি ইত্যাদি বাড়িয়ে দিয়ে তৈরি করে মিল্ক শেক খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে সমস্যা এড়ানো সম্ভব। 

কৃত্রিম উপাদানের উপস্থিতিঃ মিল্কশেককে আকর্ষণীয় ও সুন্দর ফ্লেভার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সময় জেনে না জেনে আমরা কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করছি সাময়িকভাবে পরিবেশন গত দিক থেকে দৃষ্টিনন্দন হলেও এটা শারীরিকভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে এজন্য স্বাস্থ্যসম্মত মিল্কশেক পেতে হলে উপাদান গত দিক থেকে ভালো নজর রাখতে হবে। 

ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারেঃ মিল্ক-শেকে যে জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয় এই উপাদানগুলির বেশির ভাগই ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া নিষেধ আপনারা যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা যদি মিল্কশেক পান করতে চান সেক্ষেত্রে বুঝে শুনে মিল্ক শেক তৈরি করতে পারেন যেই উপাদান গুলিতে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে সেই উপাদান গুলি ব্যবহার করে অন্যান্য উপাদানগুলির পরিমিত ব্যবহার আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে। 

মিল্কশেক পাউডারের উপকারিতা

সারা দিনের ক্লান্তি শেষে ক্লান্ত শরীরকে একটু আরাম দিতে আমরা বেছে নেই ঠান্ডা পানির সাথে মিল্কশেক মিশ্রণে এক গ্লাস পারফেক্ট মিল্কশেক। এটি আপনার দেহমনকে যেমন উজ্জীবিত করে তেমনি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে।

মিল্কশেক পাউডারের উপকারিতা

আপনার শারীরিক খাদ্য পুষ্টির অভাব পূরণে এটি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।বিভিন্ন ফাস্টফুডে বিভিন্ন ফ্লেভার ও স্বাদ যুক্ত মিল্কশেক পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে তা মন মত ও স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। এজন্য ভালো সমাধান হতে পারে মিল্কশেক পাউডার।

 বিভিন্ন ফ্লেভার ও স্বাদ যুক্ত মিল্কশেক পাউডার বাজারে পাওয়া যায় তার ভেতর থেকে আপনার পছন্দমত ও ভালো কোম্পানির পণ্য কিনে ভালো মান পেতে পারেন। ভালো মান বোঝার ক্ষেত্রে বিশ্বাসী কোম্পানি ও উন্নত মানের লেবেল দেখে কিনতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

মিল্কশেক পাউডারের অপকারিতা

  বিভিন্ন সুপার শপ বা সাধারণ দোকানে বিভিন্ন ধরনের মিল্কশেক পাউডার পাওয়া যায়। আমরা হর হামেশা সেটা কিনে এনে ব্যবহার করছি ও মনে মনে তৃপ্ত হচ্ছি এই ভেবে যে, ভালো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করছি কিন্তু বাস্তবে তার ফলাফল ভিন্নও হতে পারে।

 যেহেতু মিল্কশেক পাউডার কিভাবে তৈরি হচ্ছে তা আমরা জানিনা সেহেতু আমরা হরফ করে বলতে পারিনা যে পাউডারের যে উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রত্যেকটি পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত যার কারণে একটা সন্দেহ থেকেই যায় যে বাজার থেকে ক্রয় কৃত মিল্কশেক পাউডার আমাদের দেহের জন্য আদৌ ভালো হবে কিনা সে ক্ষেত্রে সন্দেহ থেকে যায়। 

 আপনারা বাসায় যদি তৈরি করে খেতে পারেন তার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। তবে ঢালাওভাবে একথা বলা যায় না যে সব মিল্কশেড পাউডারে অপকারিতা আছে যদি ভালো কোম্পানি দেখে বুঝেশুনে পণ্য ক্রয় করতে পারেন সেক্ষেত্রে ভালো পণ্য পেতে পারেন যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে। 

লেখকের শেষ কথাঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্মন্ধে এতক্ষণের আলোচনায় আমরা বিস্তর ধারণা পেলাম।  এবং এও বুজতে পারলাম, আমাদেরকে জেনে ও বুঝে মিল্কশেক তৈরি ও পান করা উচিত। 

এই ব্লগ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ লেখা হয়। আশা করি আপনারা উপরোক্ত ব্লগটি ভালোভাবে পড়েছেন ও বুঝেছেন। ভবিষ্যতে আরো জানতে ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url