আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়

  আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে আমরা আজ বিস্তারিত জানতে চলেছি। বিভিন্ন কারণে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়, তবে প্রধানত মায়েদের গর্ভকালীন সন্তানের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম বিশেষ ভাবে করা হয়ে থাকে। 

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায়

আজকে আমরা আরো জানতে চলেছি, গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট কিভাবে বুঝবেন। তবে আর দেরি না করে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় 

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় 

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদেরকে জানতে হবে আল্ট্রাসনোগ্রাম কি। গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট সময় পর শিশুর বৃদ্ধি, মায়ের প্রজনন অঙ্গ গুলির অবস্থা, স্বাস্থ্য, ভ্রুনের হার্ট ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য যে মেশিনের সাহায্য নেওয়া হয় তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বলা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার জন্য আরও কিছু বিষয় চলুন জেনে আসি। 

  • ট্র‍্যান্স ভ্যাজাইনাল আল্ট্রা সাউন্ডঃ গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন প্রকার আল্ট্রা সাউন্ড এর মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট। তার মধ্যে গর্ভের সন্তানের বয়স যদি দশ সপ্তাহের কম হয় এবং গর্ভের সন্তানের যদি বড় ধরনের সমস্যা ডাক্তার মনে করেন, সেক্ষেত্রে ট্র‍্যান্স ভ্যাজাইনাল আল্ট্রা সাউন্ড ব্যবহার করে স্ক্যান করা হয়। 
  • সাধারণ আল্ট্রাসাউন্ডঃ সাধারণ আল্ট্রা সাউন্ড করার জন্য টেকনিশিয়ান আপনার গর্ভস্থ পেটের উপর দিয়ে একটি লাঠির মতো যন্ত্র দিয়ে স্ক্যান করে থাকে। এই স্ক্যান এর মাধ্যমে শিশুর ২ ডি ইমেজ দেখা যায়। 
  • ফিটাল ইকো কার্ডিওগ্রাফিঃ ফিটাল ইকো কার্ডিওগ্রাফিতে শিশুর হার্টে কোন সমস্যা আছে কিনা এ বিষয় নির্ণয় করা হয়। ডাক্তাররা ট্রিটমেন্ট বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি সন্দেহজনক কোন অবস্থা মনে করেন, সেক্ষেত্রে এই স্ক্যান টি করা হয়। 
  • থ্রিডি আল্ট্রাসাউন্ডঃ থ্রিডি আল্ট্রা সাউন্ড একটি বিশেষ ধরনের স্ক্যান সিস্টেম, যার মাধ্যমে শিশুর ভ্র‍ুনের সম্পূর্ণ ও বিস্তারিত ছবি প্রদান করে থাকে। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর এই স্ক্যান এর মাধ্যমে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। 

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট 

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট আপনি কিভাবে বুঝবেন, সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। আপনার গর্ভের সন্তান প্রতিমাসে ধীরে ধীরে গঠিত হয়। প্রতি মাসে যদি গর্ভের স্ক্যান করা হয়, সেক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। যদিও এতো বেশি স্ক্যান করা ঠিক না, তবে বোঝার জন্য উপস্থাপন করা হল। গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট কিভাবে বুঝবেন সে বিষয়ে চলুন আরও জেনে আসি। 

  • গর্ভের ইমেজ দেখাঃ সোনোগ্রামে গর্ভের ইমেজ দেখার সময় আপনি দেখবেন ছবির কোন গুলোর চারিপাশে হালকা ধূসর ও সাদা লাইন দেখা যাচ্ছে। একটি কালো বড় অংশ দেখতে পাবেন যা অ্যামনিওটিক লিকুইড নামে পরিচিত। 
  • গর্ভের শিশুকে দেখাঃ গর্ভের শিশুকে দেখার জন্য অ্যামনিওটিক লিকুইড অংশে গাড়ো ধূসর বা সাদা রংয়ের মধ্যে শিশুকে দেখা যাবে। 
  • এক মাসে শিশুর অবস্থাঃ এক মাস পর আল্ট্রা সাউন্ড স্ক্যান করার পর আপনার শিশুটিকে একটি সিদ্ধ সিমের আকার ও আকৃতির মত দেখা যেতে পারে। 
  • ৩ মাসে শিশুর অবস্থাঃ তিন মাসে যদি স্ক্যান করা হয়, সেক্ষেত্রে আপনার শিশুর মাথা দেখতে পাবেন। 
  • ৫ মাসে শিশুর অবস্থাঃ পাঁচ মাসে স্ক্যান করা হয়, সেক্ষেত্রে আপনার শিশুর মেরুদন্ড, চোখ, হার্ট ও পা দেখতে পাবেন। 

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় 

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে, বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমরা সন্তান প্রসবের অনেক আগে জানতে পারি গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। সাধারণত প্রত্যেক পরিবার এই রিপোর্টটা জানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকে। ছেলে না মেয়ে সেটা না ভেবে সন্তানের যত্ন নিয়ে ভূমিস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো। 

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চাওয়া অনুযায়ী সন্তান না আসার কারণে আগে থেকে বুঝতে পেরে সন্তান নষ্ট করে দেওয়া হয়, এটা খুবই অন্যায় কাজ। সৃষ্টিকর্তা যেই সন্তান দিয়েছেন তার উপরে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এ বিষয়টি বুঝতে পেরে বলেন না, বিষয়টা অনাগত সন্তানের জন্য ভালো বলে আমি মনে করি।   

আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় জানার সাথে এও জানতে হবে গর্ভধারণের পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে আপনি আপনার সন্তানের মেরুদন্ড, চোখ, হাত-পা ইত্যাদি দেখতে পাবেন অর্থাৎ আপনার সন্তানের ব্যাসিক গঠন এ সময় হয়ে যায়। এ সময় আপনারা জানতে পারবেন শিশুটি ছেলে নাকি মেয়ে হতে চলেছে। 

মেয়ে সন্তান কত মাসে হয় 

মেয়ে সন্তান কত মাসে হয় এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, গর্ভে সন্তান আসার পর নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি যে, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। গর্ভের সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক তার ক্ষেত্রে আলাদা কোন নিয়ম বা পরিচর্যা কোনটাই নেই। সন্তান হিসেবে স্বাভাবিক যত্ন করে যেতে হবে।

গর্ভের সন্তান মেয়ে সন্তান হলে কম সময়ে জন্মগ্রহণ করবে আর ছেলে সন্তান বেশি সময়ে জন্মগ্রহণ করবে বা এর উল্টোটা, কোনটাই কোন সিস্টেমের মধ্যে নাই। সাধারণত চল্লিশ সপ্তাহে একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম ধরে নেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় দশ মাসের আগে সন্তান জন্ম নেয়। 

আরও পড়ুনঃ গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভের সন্তান যদি ৩৭ সপ্তাহের নিচে জন্মগ্রহণ করে সেক্ষেত্রে প্রিম্যাচিউর বেবি হিসেবে ধরা হয়। ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৩৮ সপ্তাহ ৬ দিন পর্যন্ত প্রারম্ভিক গর্ভকাল হিসেবে ধরা হয়। ৩৯ সপ্তাহ থেকে  ৪০ সপ্তাহ ছয় দিন পর্যন্ত পূর্ণগর্ভকাল হিসেবে ধরা হয় আর ৪১ সপ্তাহ থেকে ৪১ সপ্তাহ ছয় দিন পর্যন্ত বিলম্বিত গর্ভকাল হিসেবে ধরা হয়।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ 

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ বিষয়ে আমরা বলতে পারি, নরমাল ডেলিভারি কথাটি শুনলেই বোঝা যায় এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সাধারণত ভ্যাজাইনা বা মাসিকের রাস্তা দিয়ে সন্তান প্রসব প্রক্রিয়াকে নরমাল ডেলিভারি বলা হয় কিন্তু ডাক্তারি ভাষায় এটিকে বলা হয় নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি। কিছু কিছু লক্ষণ দেখে সাধারণত বোঝা যায় যে নরমাল ডেলিভারি হবে, তা হল ।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ

  • শিশুর দেহের অবস্থা ও মাথার অবস্থানের উপর নরমাল ডেলিভারি নির্ভর করে। মায়ের পেটে সন্তানের অবস্থা উল্টা ভাবে থাকলে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব না। 
  • সাধারণত প্রথমবার সন্তান ধারণ করলে সন্তানের দেহের আকৃতি বড় থাকে, এক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হওয়া কষ্টকর। 
  • সাধারণভাবে গর্ভফুল জরায়ুর উপরে বা সামনে-পেছনে থাকে। নরমাল ডেলিভারির জন্য সন্তান নিচের দিকে ও গর্ভফুল উপরের দিকে থাকতে হয়। কোন কারনে যদি এর বিপরীত হয় সে ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব না।
  •  অ্যামনিওটিক লিকুইড সাধারণত ৮ থেকে ২২ সেন্টিমিটার হয় যদি এই লিকুইডের পরিমাণ এর থেকে কম হয় সেক্ষেত্রে সন্তানের খাদ্যগ্রহণে সমস্যা দেখা দেয়। যদি কোন মায়ের পেটে লিকুইড এর পরিমাণ কম থাকে, সেক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হওয়াটা স্বাভাবিক না। 
  • নরমাল ডেলিভারি হওয়ার যে সমস্ত বিষয় রয়েছে সব ঠিক থাকার পরেও অনেক সময় মায়ের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে নরমাল ডেলিভারি এর জন্য অপেক্ষা করা যায় না। 
  • নরমাল ডেলিভারির জন্য দেহ স্বাভাবিকভাবে প্রস্তুত থাকলেও যদি চল্লিশ সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা না উঠে, সে ক্ষেত্রে ডাক্তাররা অপেক্ষা করতে বলে থাকেন। কৃত্রিম উপায়ে ব্যথা উঠিয়ে ডেলিভারি করা যায়, সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ পূর্ব বিবেচ্য। 
  • সাধারণত প্রেগনেন্সিতে রক্তপাত থাকবে না বা মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত গড়াবে না এটাই স্বাভাবিক কিন্তু যদি এই সময়ের মধ্যে রক্তপাত হয়,  সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। 
  • আপনার যদি এই বিষয় গুলো স্বাভাবিক থাকে তবে ধরে নিতে পারেন আপনার নরমাল ডেলিভারি হবে।

গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ 

গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ বিষয়ে বলতে গেলে, আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলারা জানেন না গর্ভকালীন সময়ে কিভাবে চলাফেরা করলে নরমাল ডেলিভারি হয় এবং কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে বোঝা যায় জরায়ু মুখ খুলবে বা কি করলে জরায়ু মুখ খোলে। চলুন কিছু স্বাভাবিক লক্ষণ সম্পর্কে জেনে আসি। 

  • জরায়ুর মুখ বড় হওয়াঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ যখন বড় হতে থাকবে তখন বুঝতে হবে জরায়ু মুখ খোলার সময় হয়ে গেছে। 
  • স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি স্রাবঃ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি স্রাব যখন প্রবাহিত হবে তখন বুঝে নিতে হবে জরায়ু মুখ খুলতে পারে। 
  • রক্ত বের হওয়াঃ  স্বাভাবিকভাবে যে স্রাব প্রবাহিত হয় তার সাথে যদি রক্ত বের হয়, সে ক্ষেত্রে জরায়ু মুখ খোলার সময় হয়ে গেছে বুঝে নিতে হবে। 
  • বাচ্চা নিচের দিকে নেমে যাওয়াঃ মায়েদের পেটের বাচ্চা নিচের দিকে নেমে যাওয়া, এটা একটা জরায়ু মুখ খোলার অন্যতম লক্ষণ।
  • অস্বস্তিকর অনুভূতিঃ জরায়ু মুখ খোলার যখন সময় হয় তখন শরীরে অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি হয়। 
  • পিঠে ও পেটে প্রচন্ড ব্যথাঃ জরায়ু মুখ খোলার আগে মায়েদের পিঠে ও পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। 

বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয় 

বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয় এ বিষয়ে বলতে গেলে, প্রত্যেক মা-বাবার স্বপ্ন থাকে একটি সুস্থ ও সবল সন্তানের। "অভিনন্দন আপনি মা হতে চলেছেন" এই সুন্দর কথাটির সাথে মায়েরা বেশ কিছু 
সমস্যা বা শারীরিক পরিবর্তনের সম্মুখীন হন। চলুন এ বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে আসি।

  • বাচ্চা পেটে আসলে প্রথম যে শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায় তা হল মায়েদের স্তন নরম হয়ে যাওয়া। 
  • সব সময় রুক্ষ মেজাজ হয়ে থাকে, এই সময় সবাইকে এই বিষয়টি বুঝে চলা উচিত।
  • বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া বাচ্চা পেটে আসার লক্ষণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধরা হয়। 
  • বাচ্চা পেটে আসলে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। 
  • বাচ্চা পেটে আসলে মায়েদের ওজন বেড়ে যেতে পারে বা কমেও যেতে পারে। 
  • সব সময় চরম ক্লান্তি বোধ হতে পারে বাচ্চা পেটে আসলে, সে ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে যত্নবান হওয়া উচিত। 
  • বাচ্চা পেটে আসলে মাথা ব্যথা করাটা একটি লক্ষণ, এ ক্ষেত্রে রেস্ট নেওয়া খুবই জরুরী। 
  • আপনি যখন প্রেগন্যান্ট হবেন তখন আপনার বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে, এ ক্ষেত্রে প্রচুর পানি পান করা উচিত। 
  • বাচ্চা পেটে আসলে মাঝে মাঝে পায়ে খিল ধরতে পারে। এজন্য পায়ে খিল ধরলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগে থেকেই চিন্তা করে রাখা উচিত।  
  • আপনার যখন বাচ্চা পেটে আসবে তখন পিঠের নিচের অংশ এবং যোনিতে ব্যথা হতে পারে। 
  • বাচ্চা পেটে আসলে শারীরিক যেমন পরিবর্তন দেখা দেয় তেমনি নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণও তৈরি হতে পারে। 
  • আপনি যখন প্রেগন্যান্ট হবেন তখন কিছু কিছু খাবার আপনার নতুন করে অপছন্দ হতে পারে। 
  • আপনি প্রেগন্যান্ট হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে, এজন্য সব সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। 

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ 

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, মায়েরা যখন প্রথমবার গর্ভবতী হন নতুন অভিজ্ঞতার কারণে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অস্বস্তি ও চিন্তিত হয়ে থাকেন। কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন বিষয়টি যেহেতু প্রাকৃতিক, প্রকৃতিগতভাবে এইটা সুন্দরভাবে সমাধান হবে। চিন্তা না করে বুকে সাহস রাখুন ও সময় কে উপভোগ করুন। প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ চলুন জেনে আসি। 

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

  • আপনি যখন প্রথমবার প্রেগনেন্ট হবে তখন যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্ত আসতে পারে। ঘাবড়াবার কিছু নেই, বিষয়টি স্বাভাবিক। 
  • প্রথমবার প্রেগনেন্সিতে মাথা ঘুরানো সমস্যাটা দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে বিশ্রাম নিন, ঠিক হয়ে যাবে। 
  • প্রথমবার গর্ভবতী হলে আপনার স্তনে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব হতে পারে। 
  • আপনি যখন প্রথমবার প্রেগন্যান্ট হবেন তখন আপনার বমি বমি ভাব ও বমি হওয়াটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে হবে। 
  • গর্ভবতী হলে প্রচুর ক্লান্তি অনুভব হয়, এ ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া, পানি পান ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুবই প্রয়োজনীয়। 
  • পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, এ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। 
  • আপনি যখন প্রথমবার প্রেগনেন্ট হবেন তখন যোনিপথ দিয়ে প্রচুর সাদা স্রাব নির্গত হতে পারে। 
  • পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথার মতো তলপেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। 
  • এ সময় ঘনঘন প্রস্রাব হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। 
  • প্রথমবার প্রেগনেন্ট হলে মুখে অদ্ভুত স্বাদ পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার অতি প্রিয় খাবার ও অপছন্দ হতে পারে। 

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায় 

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায় এ বিষয়ে বলতে গেলে, গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসে ছোট ছোট শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। যেমনঃ স্তন নরম হয়ে যাওয়া ও ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব, শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হওয়া ইত্যাদি। এজাতীয় উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত। 

গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাধারণত এক দুই সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়। পিরিয়ড মিস হওয়ার পরে যদি এই উপসর্গগুলো দেখা দেয় তবে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনি গর্ভবতী হয়েছেন। অনেকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গগুলো এক-দুই মাসের মধ্যে দেখা দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে চিন্তা না করে যে কোন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভধারণ হওয়ার পর সাধারণত ছয় থেকে ৪১ দিনের মধ্যে গর্ভধারণের লক্ষণগুলো প্রকাশ হয়ে থাকে। মায়েদের শারীরিক বিষয়ের উপর গর্ভধারণের লক্ষণগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে আর যাই হোক আপনি যদি গর্ভবতী হয়েছেন বলে মনে হয়, সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। 

লেখকের শেষ কথাঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় 

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বোঝার উপায় বিষয়ে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম, সাথে গর্ভাবস্থায় কি করনীয়-বর্জনীয় সে বিষয়েও আলোচনা করলাম। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। আশা করি এতক্ষণের আলোচনায় আপনারা উপকৃত হয়েছেন, সে ক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে এখানেই শেষ করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url