গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে হক আর না জেনে হোক, মুখরোচক ও উচ্চ মানসম্পন্ন খাবার হিসেবে ভাতের সাথে গরুর মাংস আমাদের খুবই প্রিয়। সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও আমরা গরুর মাংস খেতে পছন্দ করি। 

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সাধারণত যেকোনো বাজারে গরুর মাংস পাওয়াটা খুবই সহজলভ্য। গরুর বয়স ভেদে গরুর মাংস ভালো মন্দ হিসেবে আমরা জানি কিন্তু যে বয়সী গরুই হোক না কেন মাংসের পুষ্টিগুণ একই রকম থাকে। 

পেজ সুচিপত্রঃ গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা 

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে উপকারি বিষয়গুলো চলুন যেনে আসি। গরুর মাংস মানবদেহে বিভিন্ন উপকারী উপাদানের যোগান দেয়। মানবদেহের পেশী, দাঁত ও হাড় গঠন করতে অত্যন্ত কার্যকরী গরুর মাংস। শরীর বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বাড়াতে গরুর মাংসের ভূমিকা অপরিসীম। দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষত নিরাময়ে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। 

শিশুর স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়কঃ নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যবৃদ্ধি ও বুদ্ধি বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে গরুর মাংস। আমরা জানি, নবজাতক শিশুর শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা যদি সঠিকভাবে খাদ্যের জোগান দিতে পারি  তবে আমাদের শিশুদের শরীর গঠন ও ভালো রাখতে সহায়ক হবে। 

খনিজ লবণের অভাব দূর হয়ঃ আমরা জানি খনিজ লবণ আমাদের দেহ গঠনে ও শরীর সুস্থ রাখতে খুবই জরুরী। গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর খনিজ উপাদান, যা আমাদের পেশী, হাড়, স্নায়ু সবল ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে খনিজ লবণের উপকারিতা অপরিসীম। 

প্রোটিনের ভালো উৎসঃ আমাদের দেহে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রোটিনের অভাবে দেহ অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়ে। গরুর মাংসের হাড়, কলিজা ও মগজে প্রোটিন পাওয়া যায়, যা হাড় ও মাংসপেশী গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ প্রোটিন পাওয়া যায়।

জিঙ্কের অভাব দূর করেঃ মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শরীরের পেশী কোষগুলো ভালো রাখতে জিঙ্ক এর তুলনা হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি আমাদের দেহে কেমন প্রয়োজন তা আমরা স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারি। আমাদের পেশী কোষ গুলো যদি ভালো থাকে তাহলে ত্বকের সমস্যা দূর হয় ও ত্বক সুস্থ থাকে।   

গরুর মাংসের পরিচিতি 

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আসুন জেনে নেই গরুর মাংস সম্পর্কে। গরুর মাংস আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। আমরা পারিবারিকভাবে অতিথি আপ্যায়নে ও বিভিন্ন উৎসবে স্বাভাবিকভাবে গরুর মাংস খেয়ে থাকি। আমাদের দেশি গরুর পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গরু ও মাংস আমরা খেয়ে থাকি। 

 তাজা গরুর মাংস আমরা স্বাভাবিকভাবে পাই কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাত করা ও বাসি মাংস অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও আমরা মাঝে মাঝে কিনতে বাধ্য হই ও খেয়ে থাকি। গরুর মাংসের আঁশ খুব মোটা হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে তা আমাদের জন্য খাওয়াটা কষ্টকর হয়। 

অধিক মাত্রায় খাদ্যপুষ্টি থাকায় বেশি পরিমাণে গরুর মাংস খেলে আমাদের শরীরে অস্বাভাবিক অনুভূতি দেখতে পাওয়া যায়। বয়স ভেদে ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার উপরে নির্ভর করে আমাদের গরুর মাংস খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া কোন ক্ষেত্রেই উচিত নয়, বিশেষ করে গরুর চর্বি থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। 

গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ 

গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ অনেক রয়েছে। গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার বিচারে না যেয়ে আমরা বলতে পারি, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপ্রাণ যুক্ত উপাদান গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তার মধ্যে আমরা বলতে পারি, প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন বি১২, সেলেনিয়াম, আয়রন, রিবোফ্লাভিন, ফসফরাস, এবং ভিটামিন বি৬।  সাথে রয়েছে প্রচুর খনিজ লবণ, এমাইনো এসিড, লৌহ, সোডিয়াম, ফ্যাট, কোলেস্টরেল ইত্যাদি। 

গরুর মাংসের পুষ্টি আমাদের দেহে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। পুষ্টি উপাদান গুলো মাথায় রেখে গরুর মাংস খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান দেহের বিভিন্ন সমস্যার উপরে নির্ভর করে বা দেহের গঠনের উপর নির্ভর করে ভালো বা মন্দ প্রভাব ফেলে। প্রভাব যাইহোক না কেন, বুঝেশুনে গরুর মাংস খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

অনেকে মনে করেন কম বা বেশি বয়সী গরুর মাংসে পুষ্টি উপাদান ভিন্ন হয়। বাস্তবিক ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন না। গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ ছোট বড় সব বয়সি গরুর মাংসে  সমান থাকে। গরুর হাড় বা চর্বিতে অতি উচ্চমাত্রার খাদ্য উপাদান থাকে, যেটা গ্রহণ করলে উচ্চমাত্রার খাদ্য উপাদান পাওয়া যায়। এজন্য বলা যায়, দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দূর করতে, গরুর মাংস হতে পারে আদর্শ খাদ্য।  

আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর মাংস খেলে কি হয় 

গরুর মাংস খেলে কি হয় কথাটি ভোজন রসিকদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ। গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়ে আমরা জানার আগে চলুন আরও জেনে নেই গরুর মাংসে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। আমাদের দেহে প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রোটিনের অভাবে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় পড়ি। গরুর মাংসে  প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে যা আমাদের হাড়, দাঁত, ত্বক গঠন ও সুন্দর রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করো। 

বিভিন্ন ভিটামিন উপাদান গরুর মাংসে রয়েছে। শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে, শরীর দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, চুল পড়ে যাওয়া, দৃষ্টি ঘোলা হয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন বি ৬, বি ১২ দেহের ভেতরের কার্যক্রম কে গতিশীল করে, যার মাধ্যমে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।

অ্যামাইনো এসিড, লৌহ, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকলাপ ও রক্ত সঞ্চালনে ব্যাপক উপকারী। ক্যালসিয়াম, হাড়, দাঁত, নখ ভালো ও সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যাদের রক্তে সমস্যা রয়েছে, কোলেস্টরেল তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

গরুর মাংসে কি ওজন বাড়ে

গরুর মাংস খেলে কি শরীরের ওজন বাড়ে প্রশ্নটি গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে অনতম । বিষয়টি বুঝতে গেলে একটু বিস্তারিত আলোচনায় যোগ দিতে হবে। আমরা জানি গরুর মাংসে অত্যাধিক মাত্রায় উচ্চ খাদ্যপ্রাণযুক্ত উপাদান থাকে,যা দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু আবার এও মনে সন্দেহ থাকে, গরুর মাংস নিয়মিত খেলে হয়তো স্বাস্থ্য বেড়ে যায়। 

গরুর মাংসে কি ওজন বাড়ে

সপ্তাহে অন্তত একদিন গরুর মাংস খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রচুর শক্তি থাকায় এটি অতিরিক্ত ভক্ষণ করলে স্বাস্থ্যের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এখন বিষয়টি হচ্ছে গরুর মাংস খেলে ওজন বাড়ে কিনা। আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি, গরুর মাংস পরিমিত হারে খেলে ওজন বাড়ে না বরং শরীর ভালো থাকে।

তবে রন্ধন প্রণালী ও মাংসে চর্বির পরিমাণ এর উপরে নির্ভর করে যে, ওজন বাড়বে কিনা। প্রচুর চর্বি ও রান্নার তেল আমাদের ওজন বাড়াতে সহায়ক হয়। এজন্য গরুর মাংসে যদি অতিরিক্ত হারে চর্বি থাকে ও খুবই তৈলাক্ত ভাবে রান্না  করা হয়, তবে ওজন বেড়ে যায়। শরীরের ওজন ঠিক রাখতে ও শরীর ভালো রাখতে চর্বিহীন  মাংস খাওয়া উচিত।  

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার উপায়

গরুর মাংস খেলে কি  এলার্জি হয় 

গরুর মাংস খেলে কি  এলার্জি হয় এটি খুবই কমন একটি প্রশ্ন। এলার্জি আমাদের দেশে খুবই সাধারণ একটি রোগ। এমন কোন ব্যক্তি নাই যার শরীরে বিভিন্ন খাবারে এলার্জি হয় না। এলার্জি হলে সাধারণত শরীরে চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে। অনেক সময় অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, শরীর খুবই চুলকায়।

তবে স্বাভাবিকভাবে বলি, আমাদের যত ধরনের খাবার আছে, তার মধ্যে ৩% খাবারে এলার্জি রয়েছে। এলার্জির প্রাধান্যতার কারণে অনেকের অনেক প্রিয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম গরুর মাংস। আরো বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমনঃ  ইলিশ, চিংড়ি, মাংসের মধ্যে হাঁসের মাংস, হাঁসের ডিম, পুঁইশাক ইত্যাদি খাবারে এলার্জি রয়েছে।

শুধুমাত্র গরুর মাংস নয়, অন্যান্য আর যে খাবারগুলোতে এলার্জি রয়েছে, যাদের শরীরে এলার্জি সমস্যা করে, তাদের এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তবে স্বাভাবিকভাবে খাবারের বিষয়ে বেশি চিন্তা না করে পরিমিত হারে খাবার গ্রহণ করলে তা যেকোনো সমস্যা এড়াতে পারে।    

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের অন্যতম আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ''অর্ডিনারি আইটি''


গরুর মাংসের অপকারিতা 

গরুর মাংসের অপকারিতা বেশ রয়েছে। এই মাংসের একটি অন্যতম উপাদান সোডিয়াম। অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে তা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। নিম্নে আরো বেশ কিছু অপকারি দিক সম্পর্কে আলোচনা করছি। 

কোষ্ঠকাঠিন্যতা বৃদ্ধি করতে পারেঃ বিষয়সংশ্লিষ্ট সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের জন্য গরুর মাংস বেশি পরিমাণে খাওয়াটা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, সেক্ষেত্রে খাদ্য বিচার বিশ্লেষণে যত্নবান হতে হবে এবং পরিমাণ বুঝে খেতে হবে। সেক্ষেত্রে, যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে ভালো থাকা যেতে পারে। 

ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারেঃ অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া মোটেও ভালো নয়। গবেষকদের মতে, সপ্তাহে যদি পাঁচ বেলা গরুর মাংস বা ছাগলের মাংস খাওয়া হয়, সেক্ষেত্রে কোলোন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সারা পৃথিবীব্যাপী এটা প্রসিদ্ধ যে, লাল মাংস শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে, যার কারণে মৃত্যুও হতে পারে।  

উচ্চ রক্তচাপ হতে পারেঃ আপনারা জানেন, গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর সোডিয়াম আর এই সোডিয়াম আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। যার ফলে হতে পারে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত বড় ধরনের সমস্যা। এজন্য, গরুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে, বিচার বিশ্লেষণ করে, জেনে বুঝে, পরিমিত হারে খাওয়া উচিত। 

গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া নিরাপদ

গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া নিরাপদ এ বিষয়ে চলুন জেনে আসি। বেশি পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ কোন দিক দিয়েই ভালো নয়। আমরা যেকোনো খাবার যদি পরিমিত হারে গ্রহণ করি, সেক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন রোগ ও শারীরিক সমস্যা থেকে ভালো থাকতে পারবো। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে তা আমাদের দীর্ঘ জীবনের জন্য সুন্দর হতে পারে। 

গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া নিরাপদ

আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, সপ্তাহে ৫-৬ বেলা লাল মাংস খেলে শারীরিক বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এখন কথা হচ্ছে, তাহলে কতটুকু খাওয়া নিরাপদ। সেক্ষেত্রে বলা যায়,   ৫-৬ বেলার কম বা আরো কম লাল মাংস খেলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে অনেকাংশে ভালো থাকা যায়। 

তবে, যেহেতু লালমাংসে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে সেহেতু আমরা যদি সপ্তাহে একবেলা লাল মাংস ভক্ষণ করি, সেক্ষেত্রে শারীরিক ক্ষতির মাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারি। আমরা যারা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, বিষয়গুলো যদি মনোযোগ দিয়ে ও সুন্দরভাবে পালন করি, এ জাতীয় সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবো ও আমাদের জন্য গরুর মাংস খাওয়া নিরাপদ হবে। 

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে আমার সবচেয়ে পছন্দনীয় সেক্টর

গরুর মাংস খাওয়ার সতর্কতা 

গরুর মাংস খাওয়ার সতর্কতা অবলম্বন করলে মানুষ কখনোই সমস্যায় পতিত হবে না। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে যদি আমরা সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি, আমাদের শরীরকে ভালো রাখতে পারব। মানব দেহ এক এক জনের এক এক রকম। যার কারণে কোন খাবারে কার সমস্যা সেটা সর্বপ্রথম আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। একটি সঠিক খাদ্য তালিকা, আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়ক হবে।

গরুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা হলো, গরুর মাংসে চর্বির পরিমাণ কি হারে আছে তা সর্বপ্রথম দেখতে হবে। পারতপক্ষে চর্বিযুক্ত মাংস না খাওয়াই উচিত। রান্নার ক্ষেত্রে অল্প তেল দিয়ে রান্না করলে আমরা আমাদের শারীরিক সমস্যা, অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারব। শুধু মাংস ক্রয়ের সময় বুঝেশুনে ক্রয় করা ও সুন্দরভাবে রান্না করে খেলে, শারীরিক সমস্যা অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারব। 

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো। যাদের অ্যালার্জি আছে বুঝে শুনে খেতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ গরুর মাংস বা লাল মাংস খাওয়া কোন ব্যক্তির পক্ষেই ভালো নয়। যা মোটা হয়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস বৃদ্ধি, স্ট্রোক সহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টির কারণ। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও ভালো জীবন যাপন করতে পরিমিত হারে খাবার গ্রহণ করা উচিত।   

লেখকের শেষ কথাঃ গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা  

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণের আলোচনায় আমরা বিভিন্ন তথ্য  জেনেছি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদের এ বিষয়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী। 

এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের সাথে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ লেখা ও প্রকাশ করা হয়। উপরোক্ত আলোচনার বিষয় যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করে রাখুন। আপনাদের  সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url