একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত।

 একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত বিষয়ে বলতে গেলে কিছু নিয়ম নীতি অবলম্বন করে আর্টিকেল লেখা হলে সেটার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। 

একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত।

আমরা যারা নিজের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন স্থানে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে চাই তাদের জন্য আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো জানা থাকা জরুরী।

পেজ সূচিপত্রঃ একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত। 

একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত। 

একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত সম্পর্কে বলতে গেলে যেকোনো ধরনের লেখা বা নিজের মত করে লেখা গুগল এ স্বাভাবিকভাবে মানুষ পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না।   এজন্য নিয়ম নীতি মেনে সুন্দর করে যদি আর্টিকেল লেখা হয়, তা পাঠকদের জন্য পড়তে সুবিধা হয়। 

আর্টিকেল রাইটিং এর উদ্দেশ্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পাঠকদেরকে জানানো। পাঠকরা যদি কোন বিষয়  পড়ে সুন্দরভাবে বুঝতে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনার আর্টিকেল লেখার সার্থকতা রয়েছে। অন্যথায় আপনার লেখা খুব একটা ভালো ইম্প্যাক্ট তৈরি করবে না। পাঠকরা পড়ার পাশাপাশি লেখাটা দেখতে সুন্দর চায়। নিয়ম-নীতি মেনে আর্টিকেল লিখলে আপনার লেখাটা হবে সুন্দর ও পাঠক পড়ে ভালো অনুভব করবে।

আর্টিকেল রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুবই জনপ্রিয়। আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা যেমন পাঠকদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেই সাথে সাথে আমাদেরও ইনকামের চিন্তা থাকে। একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার বিষয়ে যদি নিয়ম নীতিগুলো মেনে আমরা লিখতে পারি, সে ক্ষেত্রে পাঠক ও আনন্দ পাবে এবং আমাদের ইনকামও সেভাবে হবে। সুতরাং লেখার সৌন্দর্যের কোন বিকল্প নেই। 

আর্টিকেল লিখে মাসে লাখ টাকা ইনকামের ১১ টি উপায় 

আর্টিকেল লিখে মাসে লাখ টাকা ইনকামের ১১ টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আপনারা যারা আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতিষ্ঠিত হতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই ১১ টি উপায় জানা থাকলে লিখতে সুবিধা হবে ও আপনার লেখার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুন্দর ধারণা পাবেন। তবে চলুন শুরু করা যাক।

নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখাঃ নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার বিষয়ে আমরা বলতে পারি আপনি যখন একজন পেশাদার আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাচ্ছেন তখন আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরী, যেখানে আপনি আপনার আর্টিকেলগুলো লিখবেন এবং গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করবেন।এডসেন্স পাওয়ার পর আপনার আর্টিকেলে বিভিন্ন ধরনের এড শো করবে, যার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ কিছু অ্যাড আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

 আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকামঃ আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম কিভাবে করা যায় বা ইনকাম কেমন হতে পারে তার একটি উদাহরণ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
artmohol

এই স্ক্রিনশটটি রাজশাহী সেরা আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্ডিনারি আইটির। এখানে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনের ইনকাম, শেষ সাত দিনের ইনকাম ও এক মাসের ইনকাম। এটা দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন, প্রচুর ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে এসে যদি আর্টিকেল পড়ে ওই ভিজিটরদের সংখ্যা অনুযায়ী আপনাদের ওয়েব সাইটে ইনকাম হবে।

অন্যদের কাছে আর্টিকেল বিক্রি করাঃ অন্যদের কাছে আর্টিকেল বিক্রি করা হতে পারে আপনার একটি ব্যবসার ধরন। আপনি একজন ভাল আর্টিকেল রাইটার হতে পারলে আপনার কাছে অনেক ওয়েবসাইট ওনার আর্টিকেলের জন্য যোগাযোগ করতে পারে, সেক্ষেত্রে তার চাওয়া অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে সরবরাহ করলে নির্দিষ্ট হারে ইনকাম পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আর্টিকেল বিক্রি করাঃ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আর্টিকেল বিক্রি করা হতে পারে আপনার আরেকটি ইনকামের উপায়। বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আপনার লেখার মান  যদি ভালো  হয়, সেক্ষেত্রে এই সাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলে এড দিতে পারেন। সেখানে আপনার লেখা যদি কারোর ভালো লাগে সে আপনাকে দিয়ে আর্টিকেল লিখিয়ে নিতে পারে। এভাবেও আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়।
 
বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান আর্টিকেল লেখার চাকরিঃ  বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান আর্টিকেল লেখার চাকরি দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম অর্ডিনারি আইটি। এইরকম আইটি প্রতিষ্ঠানে আপনি আর্টিকেল রাইটার হিসেবে চাকরি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে বেতন পাবেন। ভালো আর্টিকেল রাইটাররা এজাতীয় চাকরি করেও ইনকাম করে থাকেন।
 
আর্টিকেল লেখার সাইট বিক্রি করাঃ আর্টিকেল লেখার সাইট বিক্রি করা এ বিষয়ে বলতে গেলে আপনি একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে অনেকগুলো আর্টিকেল আপলোড করে গুগল এডসেন্স লাভ করার পর ওই ওয়েবসাইটটি বিক্রি করে দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ওয়েবসাইট এর দাম আসতে পারে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এভাবে করেও অনেকে ইনকাম করে থাকেন।
 
আর্টিকেলে লোকাল অ্যাড দেখানোঃ আমরা জানি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে অ্যাড দেখিয়ে ইনকাম করা যায়।শুধু তাই নয়, দেশের গণ্ডির মধ্যে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাড দেখিয়েও আপনি ইনকাম করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমান বা তার বেশি ভিজিটর আসতে হবে।
 
আর্টিকেল রাইটিং কোর্স বিক্রি করাঃ আপনি একজন ভালো আর্টিকেল রাইটার হলে আপনার কাছে অনেকে আর্টিকেল রাইটিং শিখতে চাইবে, সেক্ষেত্রে আপনি তাদের কাছে আর্টিকেল রাইটিং কোর্স বিক্রি করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।
 
ব্যাকলিংক সেল করে আয়ঃ ব্যাকলিংক সেল করে আয়ের বিষয়ে বলতে গেলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাক লিংক আপনার আর্টিকেলের সাথে যুক্ত করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আর্টিকেল রাইটিং শিখলে ব্যাকলিংক সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন ও ব্যাকলিংক সেল করে আয় করতে পারবেন।
 
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট শব্দের অর্থ অন্যের পণ্যের বিজ্ঞাপন করা অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানির পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারেন।
 
বায়িং কীওয়ার্ড রেংক করে আয়ঃ বায়িং কিওয়ার্ড রেংক করে আয় করার বিষয়ে বলা যেতে পারে, এটা অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত অর্থাৎ যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ভালো রেপুটেশন রয়েছে ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কিওয়ার্ড রেংক করে ভালো অর্থ ইনকাম করা সম্ভব।

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম 

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম বর্ণনা করতে গেলে শুরুতেই আমাদেরকে যেতে হবে ব্লগার ড্যাশবোর্ডে। সেখান থেকে নিউ পোস্ট অপশন এ ক্লিক করে পোস্ট লেখার ইন্টার ফেসে প্রবেশ করতে হবে সেখানে আমরা এমন একটি ব্ল্যাংক ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবো

এই ড্যাশবোর্ডে আমরা বিভিন্ন সেকশন ও বিভিন্ন টুলস দেখতে পাবো। একদম উপরে বাঁ দিক থেকে লেখা শুরু করতে হবে। শুরুতেই আছে টাইটেল অপশন। টাইটেল অপশনে আপনার আর্টিকেলের শিরোনাম বসাতে হবে। শিরোনাম বসানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেটা যেন ৫ থেকে ৮ শব্দের মধ্যে হয়। 

আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে


টাইটেলের নিচে লম্বা একটি টুলস বার রয়েছে। টুলস বারের নিচে টাইপিং সেকশন রয়েছে। টাইপিং সেকশনে আমরা আমাদের ব্লগ লিখব। টুলস বারে আমরা বিভিন্ন ধরনের টুলস আইকন দেখতে পাচ্ছি। যদি বাঁ দিক থেকে শুরু করা হয় সে ক্ষেত্রে বলা যায়, প্রথমে রয়েছে একটি পেন্সিল আইকন সেখানে দুইটি ভিউ অপশন রয়েছে এইচ টি এম এল ভিউ, কম্পোজ ভিউ। 

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম 

তারপর রয়েছে আন্ডু অপশন ও রিডো অপশন। তারপর রয়েছে ফন্ট টইপ। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ফন্ট নিয়ে লেখা যায়। তারপর রয়েছে ডাবল টি অপশন। এই অপশন থেকে যেকোন লেখা ছোট বড় বিভিন্ন রকম করা যায়। তারপর যে টুলস টা রয়েছে  সেটার নাম নরমাল। এই টুলস এর মধ্যে যে অপশনগুলো রয়েছে তা দিয়ে যেকোনো লেখাকে বিভিন্ন হেডিং, প্যারাগ্রাফ ইত্যাদি করা যায়। 

তারপরে যে টুলসটি রয়েছে ওটার নাম বোল্ট টুলস। যেকোনো লেখা সিলেক্ট করে এই টুলসে চাপ দিলে ওই লেখাটি বোল্ট হয়ে যায়। তারপর রয়েছে ইটালিক আই। এই অপশন থেকে যেকোন লেখা অ্যাঙ্গেল করা যায়। এর পরের অপশনটি আন্ডারলাইন U অর্থাৎ যেকোনো লেখার নিচে আন্ডারলাইন দেওয়ার জন্য এই টুলস টি ব্যবহার করা হয়। তারপরের টুলসটির নাম স্ট্রাইক থ্রু। আর্টিকেল লেখার মধ্যে ভিউয়ের ক্ষেত্রে ডান,বাম মিডেল ইত্যাদি করার জন্য এই টুলস টি ব্যবহার করা হয়। 

আরও পড়ুনঃ কর্মক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে জানুন

এরপরের অপশনটি কালার এ। এই টুলস থেকে বিভিন্ন ফন্টের কালার পরিবর্তন করা যায়। এরপরের টুলস টির নাম টেক্সট ব্যাকগ্রাউন্ড কালার। এই অপশন দিয়ে যেকোনো লেখার নিচে একটি কালার ফুল ব্যাকগ্রাউন্ড এড করা যায়। আর্টিকেলে লিংক করার জন্য এরপরে যেটি রয়েছে সেটার নাম লিংক টুল। এর পরের অপশন টির নাম ইমেজ টুলস। এই টুলস এর মাধ্যমে  আর্টিকেলে ইমেজ সংযুক্ত করা হয়।

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম 

 এর পরের টুলসটির নাম ইন্সাল্ট ভিডিও টুলস। এই টুলস এর মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও আর্টিকেলের সাথে সংযুক্ত করা হয়। আর্টিকেলের মধ্যে যেকোনো ধরনের ইমোজি ব্যবহার করার জন্য এর পরের টুলসটি, ইমোজি টুলস। এরপরের যে টুলসটি রয়েছে লেখার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো লেখাকে ডানে বামে মিডিলে ও সম্পূর্ণ সারিবদ্ধ ভাবে রাখতে এই অ্যালাইনমেন্ট টুলস ব্যবহার করা হয়।

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম

এরপরে দুইটি ইনডেন্ট টুলস রয়েছে। যেকোন লেখা এক একটা টেব আকারে সরানোর ক্ষেত্রে এই টুলস টি ব্যবহার করা হয়। এরপরে যে টুলসটি রয়েছে সেটার নাম বুলেট লিস্টিং। এই রুলস এর মাধ্যমে যেকোনো লেখার মধ্যে লিস্টিং করা যায়। এরপরের টুলসটির নাম, নাম্বার লিস্টিং টুলস। বুলেট লিস্টিং এর মত একই রকম কাজ করে তবে এক্ষেত্রে নাম্বার শো করে।

 এর পরের টুলসটির নাম কোট টুলস। যেকোনো লেখা কে কোট করতে এই টুলস টি ব্যবহার করা হয়।এরপরের টুলসটি জাম্প ব্রেক টুলস। এরপরে যে ৪টি টুলস রয়েছে মধ্যে থ্রি ডটের মধ্যে প্রথম দুইটি লেফট এবং রাইট লেয়াউট অপশন, এই দুটি দিয়ে যেকোনো লেখা ডান থেকে অথবা বাম থেকে সমান করে স্থাপন করা যায়। 

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম 

এরপরের টুলস টির নাম ইনপুট টুলস। এই টুলস এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশীয় ভাষা সিলেক্ট করা যায়। আর সর্বশেষ যেই টুলসটি রয়েছে তার নাম ক্লিয়ার ফরমেটিং। এই রুলস দিয়ে ব্লগ লেখার পর যেকোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ক্লিয়ার ফরমেটিং টুলস টি ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডানদিকে পাশাপাশি দুটি অপশন রয়েছে প্রথম টি রিভিউ প্রিভিউ। পোস্ট প্রিভিউ করা যায় এবং তার নিচে রয়েছে সেভ অপশন এটা দিয়ে সেভ করতে হয়। তারপরে সর্বডানে যেই অপশনটি সেটা দিয়ে যেকোনো পোস্ট পাবলিশ করতে হয়। পাবলিশের নিচে রয়েছে পোস্ট ক্যাটাগরি অপশন যেটা লেবেলস নামে এখানে রয়েছে। 

লেভেলসের নিচে একটা অপশন রয়েছে এই অপশনে আপনার যত ক্যাটাগরি আছে এখানে ক্লিক করলে সব শো করবে। তার নিচে পাবলিশ অন ডেট। তার নিচে রয়েছে পারমালিনক। পারমালিনকে ব্লক পোষ্টের ইউ আর এল হিস্ট্রি থাকে। তারপরের অপশনটি লোকেশন এখান থেকে লোকেশন সেট করা যায়। এবং ডান দিকে সর্বশেষ অপশনটি রিডার কমেন্ট অর্থাৎ পাঠক এখানে কিভাবে কমেন্ট করবেন সেই অপশনটি দেওয়া আছে।

এছাড়াও ডান দিকে সর্ব উপরে রয়েছে হেল্প এন্ড ফিডব্যাক এখান থেকে যেকোনো সমস্যার জন্য ব্লগারে হেল্পের অপশন রয়েছে। তার পাশে গুগল এপস এবং সর্ব ডানে আপনার গুগল একাউন্ট। এই হল প্রাথমিক ড্যাশবোর্ড এবং বিভিন্ন টুলস পরিচিতি। 

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম 

আজকের লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়মে আমরা আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আমরা যখন একটি ব্লগ লিখি তখন ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বিষয় সেটআপ করে থাকি। প্রথমে আসি ভূমিকা বাটন বা একশন বাটন এর বিষয়ে। কনটেন্ট শিরোনামের পর আমরা একটি স্টাইলিশ বাটন যুক্ত করি যেটাকে অন্য একটি কনটেন্টের লিংক দিয়ে তৈরি করা হয়। এই বাটনটিকে আমরা ভূমিকা বাটন একশন বাটন হিসেবে বলে থাকি। 

তারপর যে বিষয়টি রয়েছে তা হল ফিচার ইমেজ। ফিচার ইমেজ, মেটা ডিসক্রিপশন এর মধ্যে  অ্যাড করতে হয়। আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফিচার ইমেজ তৈরি করে সংযুক্ত করতে হয়। ফিচার ইমেজ সংযুক্তির জন্য ইমেজ সাইজ ১১০০/৬১৯পিক্সেল এ সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৫০ কিলোবাইটের মধ্যে ছবির সাইজ রেখে সংযুক্তি করতে হয়। সম্পূর্ণ ব্লগে আরো দুটি ফিচার ইমেজ সংযুক্ত করতে হয়। পাঁচ নম্বর হেডিংয়ে একটি ও ৮ নম্বর হেডিং এ একটি মোট ২ টি ফিচার ইমেজ সংযুক্ত করতে হয়। 

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে

মেটা ডিস্ক্রিপশন এর পর প্রথম ফিচার ইমেজের নিচে পেজ সূচিপত্র তৈরি করতে হয়। আমরা একটি আর্টিকেল তৈরির জন্য দশটি হেডিং দিয়ে থাকি। এই দশটি হেডিং পরপর সাজিয়ে বুলেট লিস্টিং করে প্রত্যেকটি পেজ সূচিপত্রের হেডিং এর সাথে আর্টিকেলের হেডিং কলাম লিংক করতে হয়। পেজ সূচিপত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আমরা কিছু কমান্ড ব্যবহার করি। 

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম 

পেজ সূচিপত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড সুন্দর করতে আমরা এডিট এইচটিএমএল অপশনে যেয়ে একটি কমান্ড দিয়ে থাকি তা হল class="alert info" এই ক্লাসটি ইনক্লুড করার পর পেজ সূচিপত্রের ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা স্টাইল যোগ হয়। সম্পূর্ণ কনটেন্ট এর মধ্যে আমরা চারটি জায়গায় আরো পড়ুন সেকশন যোগ করি। প্রত্যেকটি আরও পড়ুন সেকশনে একটি করে কনটেন্টের লিঙ্ক যুক্ত করি। এই লিঙ্কগুলো স্টাইলিশ করার জন্য উপরে বর্ণিত ক্লাসটি ব্যবহার করি। 

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম

সর্বনিম্ন ১৫০০ শব্দের সম্পূর্ণ কনটেন্ট লেখার জন্য আমরা দশটি হেডিং ব্যবহার করি। মেটা ডিস্ক্রিপশন এর জন্য দুই লাইন ফিচার ইমেজের উপরে ও দুই লাইন ফিচার ইমেজের নিচে ব্যবহার করে থাকি। ১০ নম্বর হেডিং এ কনক্লুশনে আমরা দুই লাইন করে দুই টি প্যারা সংযুক্ত করি। প্রত্যেকটি হেডিং এ তিনটি করে প্যারা থাকে এবং প্রত্যেকটি প্যারাতে তিন থেকে সাড়ে তিন লাইন লেখা রাখতে হয়। 

সম্পূর্ণ কনটেন্টটাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আমরা কয়েকবার এডিট এইচটিএমএলএ যেয়ে বিভিন্ন কমান্ড  সংযুক্ত করে থাকি। ভূমিকা বাটন অ্যাড করার জন্য কনটেন্টের একদম উপরে যেয়ে আমরা প্রথম কমান্ড পেস্ট করি। পেজ সূচিপত্র সুন্দর করার জন্য আবার আমরা এডিট এইচটিএমএলএ যেয়ে কমান্ড পেস্ট করি। 

আর্টিকেল লেখার প্র্যাকটিক্যাল নিয়ম 

আরো পড়ুন সেকশন সুন্দর করতে শেষবারের মতো আমরা এডিট এইচটিএমএল কমান্ড পেস্ট করি। কনটেন্ট এর লেখা সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ লেখা জাস্টিফাই আকারে প্রকাশ করি যেন তা দেখতে বইয়ের মত দুই সাইডে লেখা সমানভাবে উপস্থাপিত হয়। প্রত্যেকটি প্যারা তিন লাইন করে লেখা সাজানোর পর কনটেন্টের কোথাও কোন অতিরিক্ত গ্যাপ রাখা ঠিক না। এতে কনটেন্ট দেখতে এলোমেলো লাগে। 

একটি আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড কমপক্ষে ১০ বার ব্যবহার করতে হয়। সেকেন্ড ফোকাস কিওয়ার্ড ৫ বার ব্যবহার করতে হয়। মোট ১৫ বার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। সম্পূর্ণ কন্টেন্টের মধ্যে মডিফাই করে আরও ১০ বার ব্যবহার করলে এস, ই, ও  তে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। গুগল যখন দেখবে সম্পূর্ণ কনটেন্ট এর মধ্যে ফোকাস কি ওয়ার্ল্ড অনেক বেশি রয়েছে তখন এটি  র‌্যাংক করতে অনেক ভালো হবে।

 আমাদের যেহেতু গুগল এডসেন্স থেকে ইনকামের চিন্তা, সেহেতু গুগল যে বিষয়গুলো ভালোভাবে একসেপ্ট করে সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের লেখা সাজানো উচিত। ফোকাস কিওয়ার্ড ১০ বার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যদি লেখার ভারসাম্য নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে লেখা মানহীন হয়ে পড়বে। অতএব ফোকাস কিওয়ার্ড ১০ বার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাক্যের মিল থাকা অত্যন্ত জরুরি। 

লেখক এর শেষ কথাঃ একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত। 

একটি সার্থক আর্টিকেল লেখার আদ্যোপান্ত বিষয়ে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম। একটি কনটেন্ট গুগলে ভালোভাবে র‌্যাংক করানোর জন্য এই বিষয়গুলো মেনে চললে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণ আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করলাম তা থেকে আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে এখানেই শেষ করছি।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url