অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ বিস্তারিত জানুন
অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ সম্পর্কে বলতে গেলে বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে কিন্তু এটার হার কম বেশি হয় শারীরিক কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে। অল্প বয়সে চুল পাকার যে সমস্ত কারণ রয়েছে চলুন তা সম্পর্কে আরও জেনে আসি।
পেজ সূচিপত্রঃ অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ
- অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ
- অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ
- কত বছর বয়সে চুল পাকা স্বাভাবিক
- অল্প বয়সে চুল পাকলে কি করা উচিত
- চুল পাকা বন্ধ করার খাবার
- পাকা চুল কি কখনো কালো হয়
- চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
- চুল পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে
- কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়
- লেখকের শেষ কথাঃ অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ
অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ
অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ বিভিন্ন রকম হয়। সাধারণত অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে আমরা মানসিক কষ্টে ভুগি কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে যে, চুল পাকা একটি মানুষের জীবন চক্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমরা দক্ষিন এশীয় অঞ্চলের মানুষ। আমাদের স্বাভাবিক চুল পাকা শুরু হয় তিরিশের পর। তারপরেও বিভিন্ন কারণে চুল পাকা বয়সের ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে। আরো কিছু বিষয় চলুন জেনে আসি।
জেনেটিকভাবে আমাদের বংশে কারো যদি অল্প বয়সে চুল পেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে আমাদেরও অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে। চুল ও ত্বক মেলানিন নামক পদার্থের কারণে সাদা ও কালো হয়ে থাকে। যে সমস্ত মানুষের ত্বকে মেলানিন বেশি ও যাদের চুলে গোড়ায় মেলানিন উৎপাদনের ক্ষমতা বেশি তাদের চুল ধীরে ধীরে পাকে আবার চুলের গোড়ায় মেলানিন উৎপাদন কম হলে দ্রুত পেকে যায়।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা চুলের বৃদ্ধি ও গঠন প্রক্রিয়ার উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে, আমরা যারা অতিরিক্ত চিন্তা করে থাকি তাদের ক্ষেত্রে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে খাবারের উপাদানের ঘাটতি জনিত কারণে দ্রুত চুল পেকে যায়। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন বি ১২, বি ৩, ভিটামিন ই সহ বেশ কিছু ভিটামিনের অভাবে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় যে মেডিসিন ব্যবহার করা হয় তার কারনেও চুল পেকে যায়।
অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ
অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমে আমরা বলতে পারি একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসার কথা। তা হল, নারিকেল তেল ও লেবুর রস মিশ্রণ করে চুলে প্রয়োগ করলে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে, চার চা চামচ নারকেল তেলের সাথে আড়াই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করলে দুই সপ্তাহের মধ্যে আশা করা যায় পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। তবে মনে রাখতে হবে এই মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।
আমরা মসলা হিসেবে পেঁয়াজ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমাদের অনেকের জানা নাই পেঁয়াজে যে ঔষধি গুণ রয়েছে তা নিয়ম করে চুলের গোড়ায় দিলে পাকা চুল কিছুদিনের মধ্যে কালো হয়ে যায় ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ ভালোমতো বেটে তার রস প্রতিদিন অন্তত একবার মাথায় ভালো করে মাসাজ করে ৩০ মিনিট রেখে দিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
বাদাম তেল ও তিলের বীজ এই দুইটি উপাদান মিশ্রণ করে মাথায় দিলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই মিশ্রণটির বিষয়ে স্কিন বিশেষজ্ঞরাও বলে থাকেন। এই মিশ্রণটি তৈরি করতে প্রথমে তিলের বীজ ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিতে হবে এবং তার সাথে বাদাম তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন এটি চুলে ও মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
কত বছর বয়সে চুল পাকা স্বাভাবিক
কত বছর বয়সে চুল পাকা স্বাভাবিক এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় সাধারণত আমাদের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ৩০ বছরের পর থেকে চুল পাকা শুরু হওয়াটা স্বাভাবিক। এর আগে যদি কারো চুল পেকে যায় সে ক্ষেত্রে তা অস্বাভাবিক হতে পারে। তিরিশের পর যখন চুল পাকা শুরু হবে তখন চিন্তা করে লাভ নেই বরং তা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়াটা ভালো।
৩০ বছর বয়সের পর আমাদের দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে কমতে থাকে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে, তার সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়, যার কারণে এর প্রভাব চুলের উপরেও পড়ে। আমাদের বয়স ৩০ পার হয়ে যাওয়ার পরও আমরা মানসিকভাবে অত বয়স হয়নি এমন চিন্তা করে থাকি। যার কারণে বুঝতে পারিনা যে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আমাদের চুল পেকে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তা জনিত কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকি সুন্দর অ্যাডভার্টাইজের মাধ্যমে। আমরা বিভিন্ন ধরনের চুল ঘন, কালো ও সুন্দর করার প্রডাক্ট ব্যবহার করি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো ফল পেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা হীতে বিপরীত হয়। ৩০ বছর বয়সের পর যখন চুল পাকা শুরু হয় তখন মনে এক ধরনের দুর্বলতার সৃষ্টি হয় আর এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধুচক্র এ জাতীয় ব্যবসা করে থাকে। তবে উপরে বর্ণনা করেছি কিছু প্রাকৃতিক ট্রিটমেন্টের বিষয়ে সেই অনুযায়ী কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অল্প বয়সে চুল পাকলে কি করা উচিত
অল্প বয়সে চুল পাকলে কি করা উচিত এ বিষয়ে বলতে গেলে কিছু বিষয় থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে, সে ক্ষেত্রে আমরা অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে পারি, তার মধ্যে অন্যতম হলো দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকা। আমরা স্বাভাবিকভাবে ৩০ বছরের আশেপাশে বয়স হলেই বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা এসে মাথায় ভর করে, যার কারনে আমাদের স্বাভাবিক সময়ের আগে চুল পেকে যেতে পারে, এজন্য দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে আরও বলা যেতে পারে, ধূমপান, মদ্যপান ও নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণের কারণে আমাদের চুল অকালে পড়ে যাওয়া ও পেকে যেতে পারে। আমাদের মধ্যে যাদের এ জাতীয় অভ্যাস আছে তা পরিহার করুন, অন্যথায় অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে। আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা হতে পারে আপনার শরীর, ত্বক ও চুল ভালো রাখার অন্যতম মাধ্যম। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকে।
খাবারের ক্ষেত্রে কপার ও আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রয়োজনীয় প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে ও ভিটামিন জাতীয় খাবার প্রচুর খেতে হবে। একটা বিষয় আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে, আমরা যদি খাওয়া দাওয়া নিয়মমাফিক সঠিকভাবে করি, সেক্ষেত্রে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করা সম্ভব। অল্প বয়সে চুল পাকা রোধে আরেকটি অন্যতম বিষয় হল পর্যাপ্ত ঘুম, অর্থাৎ আপনার ঘুমে যদি কোন সমস্যা থাকে বা আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে রাত জেগে থাকেন তাহলে আপনার চুল পাকাটা স্বাভাবিক হিসেবে ধরা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
চুল পাকা বন্ধ করার খাবার
চুল পাকা বন্ধ করার খাবারের বিষয়ে বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের খাবারের কারণে চুল পাকা বন্ধ করা যেতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাদাম। সাথে বাদামের তেল চুলে প্রয়োগ করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয় ও চুল পাকা বন্ধ হতে পারে। আরো একটি ভালো বিষয় হল গাজরের রস, নিয়মিত গাজরের রস পান করলে চুল পাকা বন্ধ সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যেতে পারে।
প্রতিদিন সকালে যদি গুড় ও মেথি একসাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। কিছুটা পরিমাণ গুড় ও সামান্য কিছু মেথি একসাথে খেয়ে নিতে হবে সেক্ষেত্রে একদম গোঁড়া থেকে এ সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। সাথে আরো খেতে পারেন কালো তিল সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন। যদি খেতে পারেন সেক্ষেত্রে চুল পাকা বন্ধ করা যেতে পারে।
প্রতিদিনের খাবারে শাক সবজি রাখলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাকে আছে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড যা শরীরের মেলানিনের অভাব দূর করে। ডিমের কুসুম খেতে পারেন, ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। দুগ্ধজাত খাবার যেমন ছানা, পায়েস, দুধ, মিষ্টি এ সমস্ত খাবার আপনার চুল পাকা বন্ধ করতে সহায়ক হতে পারে। সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানির মাছ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, তিল গম ইত্যাদির মধ্যে প্রচুর কপার থাকে যা আপনার চুল পাকা রোধে সহায়ক হবে।
পাকা চুল কি কখনো কালো হয়
পাকা চুল কি কখনো কালো হয় এই কথার উত্তরে বলা যেতে পারে চুল সাদা হওয়ার বিভিন্ন কারণ এর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস ইত্যাদি। এ সমস্ত কাজকর্ম থেকে দূরে থাকলে স্বাভাবিকভাবে অসময়ে চুল পাকে না। খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে সমস্ত খাবারে মেলানিনের পরিমাণ বেশি যে সমস্ত খাবার গ্রহণ করলে পাকা চুল কালো হয়।
পাকা চুল ও কালো করা যায় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। চুল পেকে যাওয়া শুরু হলে আমরা চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করি। সময় মত চুলের যত্ন নিলে অল্প বয়সে চুল পাকে না। তারপরেও আমরা বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাঁক ব্যবহার করি, যেমনঃ নারকেল তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় দিলে ভালো ফল পাওয়া যায় আবার আমলকির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় দিলে ভালো ফল হয়।
শুধু হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলেই হবে না আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয়, যেমনঃ খাবার, ঘুম, দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি। তবে বয়স হওয়ার সাথে সাথে চুল পাকবে এটা স্বাভাবিক আবার অনেক ক্ষেত্রে চুল না পাকলে অভিজ্ঞতার কমতি বলে অনেকে ধরে থাকেন, সেক্ষেত্রে বয়সক্ষেত্রে চুল পাকাটা খুব একটা খারাপ না। কিন্তু অল্প বয়সে চুল পাকাটা নেতিবাচক, যার কারণে নিয়ন্ত্রণ সমৃদ্ধ জীবন আমাদেরকে এ সমস্ত বিষয় থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় একথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি একমাত্র খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা যায়। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার সাথে বাদামের তেল মাথায় ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। গাজরে ভিটামিন পটাশিয়াম এবং বিটাকারোটিন থাকে যা প্রতিদিন রস করে খেলে চুলের জন্য ব্যাপক উপকারী।
আমলকি চুল পাকা থেকে মুক্তি দিতে পারে। কারণ আমলকিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে যা অল্প বয়সে চুল পাকা প্রতিরোধ করে। গরম পানিতে আমলকির রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তিন গ্রাম আমলকির গুড়া এবং আধা চা চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এর সাথে আমলকির তেল মাথায় ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
কালো তিল আপনার চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে ভালো ফল দিতে পারে। সপ্তাহে অন্তত তিন চার দিন এক চামচ করে কালো তিল কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে নিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিয়মিত কিসমিস খেলে তা চুলের জন্য ব্যাপক উপকারী। আমরা খাবারের সাথে কারি পাতা ব্যবহার করি, কারি পাতা চুল পাকা থেকে মুক্তির অন্যতম প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
আরও পড়ুনঃ ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াশ
চুল পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে
চুল পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। সাধারণত ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি৩ আয়রন, কপার, বায়োটিন ইত্যাদি উপাদানের অভাবে অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। আমাদের যদি খাদ্যাভাস ঠিক থাকে সেক্ষেত্রে এই ভিটামিনের অভাব প্রাকৃতিকভাবে পূরণ হয়ে যায়।
ভিটামিন সি চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন সি এর পর্যাপ্ততা রয়েছে এই খাবারগুলি গ্রহণ করলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয় যা আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ভিটামিন বি৭ ও আমাদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এ জাতীয় ভিটামিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
আমরা স্বাভাবিকভাবে ১২ মাসে যে সমস্ত মৌসুমী ফল ও শাক-সবজি পাওয়া যায় এগুলো গ্রহণ করলে ভালো থাকতে পারি। সব সময়ের জন্য প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত। শহুরে পরিবেশের মানুষদের এজাতীয় সমস্যা বেশি দেখা যায়, কারণ তাদের খাদ্যাভাসের ঠিক থাকে না, যানজট, দূষণ, ধুলাবালি ইত্যাদি শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে।
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় এ কথার উত্তরে বলা যেতে পারে চুল গজানোর নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই অর্থাৎ চুল গজানোর বিষয়টা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। সাধারণত মাতৃগর্ভ থেকে চুল গজানো শুরু হয়। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর তা প্রথম উপলব্ধি হয় যে হয়তো আমার চুল ঝরছে কিন্তু চুল সব সময়ই গজাচ্ছে। গজানোর হার যখন কমে যাচ্ছে ও প্রচুর পরিমাণে যখন ঝরে যাচ্ছে তখন এটি উদ্বেগের কারণ হয়।
চুল গজানোর বিষয়টা নির্ভর করে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রার ওপর। এমনও হতে পারে শারীরিক বড় ধরনের কোন সমস্যার কারণে মাথার চুল একেবারেই গজানোর ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেত্রে বিষয়টা ব্যতিক্রম কিন্তু স্বাভাবিকভাবে ৩০ বছর বয়স পর থেকে চুল ঝরে পড়ার হার বেড়ে যায় যার কারনে তখন থেকে চুলের বিষয়ে আমাদের চিন্তা আসে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মাথার চুল পড়ে গেছে কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে নতুন চুল গজাচ্ছে। এ কারণে নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না যে কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়। খাদ্যাভাস এর সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মেডিসিনের প্রভাবেও চুল ঝরে যেতে পারে ও গজাতে পারে। সুতরাং চুল ঝরে যাওয়া ও গজানোর বিষয়ে চিন্তা না করে আমরা আমাদের জীবনযাত্রা সুন্দর করি, খাদ্যাভাস ভালো করি সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে আমরা ভালো থাকতে পারবো।
লেখকের শেষ কথাঃ অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ
অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে যে সমস্ত বিষয় এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম সে সমস্ত বিষয় ভালোভাবে মেনে চললে অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করা ও পাকা চুল ও কালো করা যেতে পারে।
আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণের আলোচনায় আমি আশা করি আপনারা বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। সব সময় এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ও নতুন নতুন তথ্য পেয়ে যান। আপনাদের সুন্দর জীবন কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url