ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে  এই সেক্টরের সকল ফ্রিল্যান্সাররা না থাকলেও যারা ইসলামকে ভালোবাসে ও হালাল ইনকাম করতে চায় তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে অনলাইনে হালাল ইনকাম এই বিষয়টি আমাদের ভালোভাবে প্রকাশ না করার কারণে ধর্ম প্রিয় মানুষ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চায় না। আজকে এই আলোচনার পর আমরা বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পারব।

পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে 

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে 

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে আমরা অনেক সময় ব্যয় করি। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকার কারণে ও বিদেশীদের সাথে কাজ করার কারণে আমরা অনেকে মনে করে থাকি, এই সেক্টরটি সম্পূর্ণরূপে হারাম। কিন্তু কাজ ভেদে বিষয়টি হালাল হতে পারে। ধরুন আপনি চিন্তা করছেন অনেক কষ্ট করে কাজ করছি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে, যে কাজ করি না কেন সেটা হালাল হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি তা নাও হতে পারে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন কোন প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন করেন যেটা ধর্মে নিষিদ্ধ বা সমাজে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বা মানুষের নীতি নৈতিকতার ক্ষতি হতে পারে, এই সমস্ত কাজগুলো করে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন চান সেক্ষেত্রে তা হারাম হয়ে যেতে পারে। আবার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি যদি হালাল কাজ খুঁজে কাজ করতে পারেন সেই উপার্জন আপনার জন্য হালাল হবে। 

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন কাজটি হালাল এবং কোন কাজটি হারাম তা আমরা কিভাবে বুঝব, এটা বোঝা খুবই সহজ। আপনি যেহেতু আমার এই লেখাটি পড়ছেন আমি ধরে নিতে পারি আপনি ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। সেক্ষেত্রে আপনি স্বাভাবিকভাবে বুঝবেন, কোন ধরনের কাজ করলে তা ধর্মের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না বা ধর্মে যে সমস্ত বিষয়ে কাজ করতে নিষেধ করা আছে সেই বিষয়ে কাজ না করলেই আপনি হালালভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। 

ইসলামের দৃষ্টিতে ফ্রিল্যান্সিং 

ইসলামের দৃষ্টিতে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বলতে গেলে, আর দশটা কাজ করা বা চাকুরী করা যেমন বৈধ উপায়ে অর্জন তেমনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করাও বৈধ উপায়ে অর্জন হতে পারে। আপনার কাজের উপরে নির্ভর করবে আপনি হালাল ইনকাম করছেন নাকি হারাম ইনকাম করছেন । ধরুন আপনাকে বলা হলো একটি সুপার শপ যেখানে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সমাহার এই প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণার জন্য, আপনি যদি এই কাজটি করেন কোনক্রমেই তা হারাম হতে পারে না। 

আবার ধরুন একটি কাজ দেয়া হল যেখানে ইসলামের দৃষ্টিতে যেগুলো নিষিদ্ধ যেমনঃ পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন জিনিসপত্র, মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জিনিসপত্র রয়েছে। আপনি যদি এই প্রতিষ্ঠানের প্রমোশন করেন এবং তা করে যদি অর্থ উপার্জন করে থাকেন সেক্ষেত্রে বিষয়টি হারাম হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর পুরোপুরিভাবে হারাম বা হালাল হয় না, যার কারণে আপনারা যারা মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং করা হারাম বা ভালো না তাদের আশা করি ভুল ভেঙ্গে যাবে। 

আমাদের সমাজে বিশেষ করে তরুণরা বেশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। সামাজিক প্রেক্ষাপট ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এই সমস্ত তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের দেখে সমাজের ধর্মভীরু মানুষ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটাকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে থাকে। একটা কথা মনে রাখবেন, একটি বিষয়ে ভাল-মন্দ মন্তব্য করতে হলে আপনাকে দুই সাইড থেকে চিন্তা করতে হবে এবং প্রচুর জানতে হবে। আর যদি আপনার জানার মত মন মানসিকতা থাকে আপনি ইতোমধ্যে আশাকরি অবশ্যই বুঝেছেন। 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এ্যাকাউন্ট খুলব

হালালভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং 

হালালভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বলতে গেলে আমাদের দেশে বা বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের সেবা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যে বিষয়টি আমাদের দেশে বা আমাদের ধর্মে নিষিদ্ধ অন্যান্য দেশে সেটা বৈধ হতে পারে। এখন কথা হচ্ছে আপনি কি চিন্তা করে এই বিষয়ে ফলাফল পাবেন যে কোনটা বৈধ না অবৈধ। এই বিষয়টি ভালোভাবে বলতে গেলে আপনার জন্য একটি সহজ সমাধান আপনার ধর্মে যে বিষয়গুলো অবৈধ তা থেকে আপনি দূরে থাকলে আপনার ধার্মিক জীবনযাপনে কোন প্রভাব পড়বে না।

ধরুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফরেন এক্সচেঞ্জ এর সকল ধরনের কাজকর্ম করতে গেলে লাইসেন্স বিহীনভাবে করতে হয়। দেশীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অবৈধ। আবার যদি এই কাজটি করার জন্য আমাদের দেশে লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তা বৈধ হয়ে যাবে। এখন অনেকে ধর্মীয় জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও এ সেক্টরে কাজ করছে সেক্ষেত্রে বিষয়টি বৈধ না অবৈধ তা যার যার ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনার উপরে নির্ভর করবে।

বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রচুর জুয়া সম্পর্কিত বিষয় রয়েছে তা যেমনি ভাবে আমাদের দেশে নিষিদ্ধ তেমনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও নিষিদ্ধ। আপনি যেহেতু একজন ডিজিটাল মার্কেটার, আপনি যদি এজাতীয় সাইটের প্রচার-প্রচারণার কাজে লাগেন তা আপনার জন্য অবৈধ হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে যে সমস্ত পন্যের অ্যাড করা হচ্ছে তা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দেহ প্রদর্শন ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নেতিবাচক ভঙ্গিতে প্রচার করা হয়ে থাকে যা ইসলামের দৃষ্টিতে অবশ্যই অবৈধ।

আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

অনলাইনে হালাল ইনকাম 

অনলাইনে হালাল ইনকাম করা খুবই সহজ আবার কঠিন। আপনাকে সঠিক বিষয়টি বুঝতে হবে এবং ধর্মীয় নীতি নৈতিকতা মেনে কাজ করতে হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যতগুলো সাইট রয়েছে তা সবই এর আওতাভুক্ত অর্থাৎ প্রত্যেকটি সাইটে আপনি হালাল এবং হারাম উভয় ধরনের কাজ করতে পারবেন। এজন্য অনলাইনে হালাল ইনকাম করার জন্য আপনাকে ধর্মীয়ভাবে হালাল হারাম বুঝতে হবে। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে যে সমস্ত ওয়েবসাইট ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তৈরি হয় যা ধর্মীয় নীতি আদর্শের পরিপন্থী নয় এমন ধরনের ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ হবে না আবার কিছু ওয়েবসাইট এমন আছে জুয়া, অশালীন পোশাক, সময় নষ্ট করার মত বিভিন্ন গেম, নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যায় এমন কর্মকাণ্ড যুক্ত ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা বৈধ হবে না।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সাররা প্রচুর অর্থ উপার্জন করে থাকে কিন্তু কি ধরনের পণ্যের ডিজিটাল মার্কেটিং করছেন তার উপরে নির্ভর করবে আপনার ইনকাম টি বৈধ হবে না অবৈধ হবে। যদি আপনি এমন কোন বিষয় ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করার জন্য কাজ করেন যা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ এই সমস্ত কাজ করলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং অবৈধ বা হারাম হয়ে যাবে।

এড দেখে টাকা ইনকাম কি হালাল 

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম কি হালাল এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম বিষয়টা কি বা কিভাবে এরা কাজ করে বা কি উদ্দেশ্যে কাজ করে। দেখেন, এদের উদ্দেশ্য যাই হোক এরা যে এড গুলো দেয় সেটা স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে কিন্তু এরা বসে বসে টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে  ওই অ্যাডগুলো দেখে। আপনারা স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারতেছেন বিষয়টা অস্বাভাবিক। আর যেখানে অস্বাভাবিক কার্যকলাপ হয় সেটা কখনো হালাল হতে পারে না। 

এড-দেখে-টাকা-ইনকাম-কি-হালাল

একটা উদাহরণের মাধ্যমে আমরা বলতে পারি কিভাবে এখানে কারচুপি হতে পারে। ধরুন আমি একটি অ্যাড তৈরি করলাম প্রচারের জন্য। ডিজিটাল মার্কেটার কে পেমেন্ট করলাম ১০ হাজার সর্ত ২০০০ মানুষের কাছে পৌছতে হবে। এখন সে খরচ করল ২ হাজার  এবং যারা এড দেখছে তাদেরকে দিলো ২ হাজার বাকি ৬০০০ আমি কাজ না করেই পেয়ে গেলাম কিন্তু  ২০০০০ মানুষের পৌছল না। আবার কোম্পানিকে এরা দেখালো প্রচার হয়েছে। বিষয়টা কি কারচুপি নয়, আপনারা বুঝতে পারছেন। 

আপনি এখন বলতে পারেন, এজেন্সি কাজ নিয়েছে কিভাবে নিয়েছে এটা আমাদের জানার বিষয় না। আমাদেরকে কাজ দেওয়া হয়েছে অ্যাড দেখার জন্য, আমরা এড দেখেছ্‌ এখানে অবৈধতা কোথায়। কিন্তু কথা হচ্ছে অবৈধ কাজের সহযোগী বা অবৈধভাবে যে সমস্ত কাজকর্ম হয়ে থাকে সেই থেকে প্রাপ্ত অর্থও অবৈধ হয়। ধর্মীয় কথা হচ্ছে কাজ করার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এই কোম্পানিটি কেমন ধরনের কোম্পানি এবং তাদের কাজকর্মে কোন অবৈধ বিষয় আছে কিনা। 

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার উপায়

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট কথাটি শুনে আপনারা যারা বেকার বসে আছেন তাদের অনেকেই এই সমস্ত বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস করে কাজের লেগে পড়ছেন। একটা সাধারণ বিষয় আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে, যেখানে ফ্রি কথা বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সেখানে কোন না কোন সমস্যা আছেই। আর যেখানে সমস্যা আছে এমন সমস্ত বিষয় থেকে দূরে থাকতে আমাদের ধর্মে বলা রয়েছে। চলুন আরও জেনে নেই ফ্রি কথা দিয়ে কি কি বিজ্ঞাপন বাজারে চলছে। 

যেহেতু এই বিষয়ে শুরুতে বলেছি ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট সেহেতু আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ খোলেন এবং এই অ্যাপটি বিভিন্ন মানুষের কাছে রেফার করেন সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে পেমেন্ট পেতে পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন অ্যাপ কোম্পানি তাদের প্রচারের জন্য বিভিন্ন সময় এ জাতীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এ সমস্ত প্রচার-প্রচারণা করে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমেছে কিন্তু টাকা উঠাতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে বুঝতেই পারছেন আপনি প্রতারিত হয়েছেন। 

বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেট জুয়া কোম্পানি, টিক টক ইত্যাদি এক সময় তাদের প্রচারণার জন্য ও বর্তমানেও এই জাতীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় টাকা ইনকাম হচ্ছে কিন্তু আপনি কি প্রচার করছেন। আপনি যখন একটি জুয়ার বিজ্ঞাপন আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে ইনকামের উদ্দেশ্যে প্রচার করবেন এবং তারা যদি আপনার বিজ্ঞাপন দেখে বা আপনার রেফারেন্স দেখে ওই জাতীয় সাইটে যেয়ে প্রতারিত হয়, সেক্ষেত্রে এই প্রতারণার ভাগীদার আপনিও হবেন। যার কারণে এজাতীয় কর্মকাণ্ড করলে নগদ কিছু অর্থের চেয়ে খারাপ ফলই বেশি হয়।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের অন্যতম আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ''অর্ডিনারি আইটি''

মোবাইল দিয়ে হালাল ইনকাম 

মোবাইল দিয়ে হালাল ইনকাম করার মত অনেক উপায় রয়েছে তার মধ্যে বলা যায়, আপনি যদি ইসলামের নীতি আদর্শ মেনে ভিডিও তৈরি করেন এবং তা যদি অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে প্রচার করেন, সেক্ষেত্রে তা হালাল হতে পারে। কিন্তু কোনভাবেই সম্পূর্ণ কনটেন্ট এর মধ্যে এমন কোন কিছু থাকা যাবে না যা ইসলাম সমর্থন করে না। বলা যায় বর্তমান সময় যে সমস্ত কন্টেন্ট চলছে তার বেশিরভাগই ইসলামের নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত। 

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে আপনি যদি প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ ভিডিও করে প্রচার করেন, কি করলে মানুষের ভালো হয়, মানব সেবা, বিভিন্ন পশু প্রাণীকে খাদ্য দান সহ মানুষের কল্যাণ হয় এমন কোন কাজকর্ম করে তা যদি প্রচার করেন সেক্ষেত্রে তা হালাল হবে। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে থাকি। আমাদের লেখার বিষয়বস্তু যদি এমন হয় যে তা মানুষের কল্যাণে কাজে লাগছে ধর্মীয় বিরুদ্ধচারণ করা হচ্ছে না এই সমস্ত লেখনীর মাধ্যমে যদি আপনারা অনলাইনে ইনকাম করতে চান তা হালাল হবে। 

ইসলাম ধর্ম মিউজিক সমর্থন করে না। আপনি যদি মিউজিক বহির্ভূত বিভিন্ন অডিও তৈরি করে অনলাইনে প্রচার করেন এবং তার মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তা ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজে লাগবে এবং মানুষ ধর্মীয় অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে। এমন সমস্ত কর্মকাণ্ড করে যদি আপনারা ইনকাম করতে চান অনলাইনের মাধ্যমে সেটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ হতে হবে। সব সময় মনে রাখবেন, মানুষের কল্যাণ হয় এমন সমস্ত কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হালাল। 

গেম খেলে টাকা ইনকাম করা কি হালাল 

গেম খেলে টাকা ইনকাম করা কি হালাল এ বিষয়ে বলতে গেলে শুরুতে বলতে হয় গেম খেলে টাকা ইনকাম করা সেটা যদি এমন গেম হয় যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক রয়েছে এবং গেম এর বিষয়বস্তু সমাজ ও মানুষকে ক্ষতিকর বিষয় শেখাচ্ছে এবং এটার মাধ্যমে যদি আপনারা ইনকাম করতে চান তা হালাল হবেনা।

গেম খেলে টাকা ইনকাম করা কি হালাল
খেলাধুলা এমন হবে যার মাধ্যমে শরীরচর্চা হয়, মন ভালো থাকে, শারীরিক ব্যায়াম হয় এ সমস্ত বিষয় বহির্ভূত মোবাইলের মধ্যে সারাদিন ডুবে থেকে, সময় নষ্ট করে, জীবন ধ্বংস করে যে গেম খেলা হয়, এই খেলাটাই অবৈধ। আমরা জানি অবৈধ কাজকর্ম করে যে টাকা অর্জন হয় তা কখনোই বৈধ হতে পারে না। সেক্ষেত্রে আপনারা বুঝতেই পারছেন অনলাইনে গেম খেলে যে টাকা ইনকাম করা যায় তা বৈধ নয়। 

অনলাইনে হালাল উপায় টাকা ইনকাম করার জন্য অনলাইনে যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম গুলো রয়েছে এবং যে সমস্ত কাজ রয়েছে এগুলো শিখে মানুষের সুন্দর সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আমরা উপার্জন করতে পারি। অল্প সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করার চিন্তা ও সময় নষ্ট করে বিভিন্ন ইসলাম বহির্ভূত কাজ করে টাকা ইনকামের চিন্তা আমাদের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। কাজে দক্ষ হন, ইনকাম অটোমেটিক আপনার কাছে চলে আসবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় কি হালাল 

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় কি হালাল এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, এই বিষয়টি নির্ভর করবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি যে ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করছেন তার উপর। আপনি যদি ভাল মানের কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবলিশ করেন তা থেকে যদি মানুষের কল্যাণ হয়, কোন ধরনের ইসলাম পরিপন্থী বিষয় না ছাড়ায় তার মাধ্যমে যদি আপনার উপার্জন হয় তা হালাল হতে পারে।

 তবে, যখন আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন আসবে যেহেতু বিজ্ঞাপন দাতা যেকোনো বিজ্ঞাপন আপনার চ্যানেলে দিতে পারে,  এটার উপর আপনার কোন হাত যেহেতু নাই সেহেতু এ বিষয়ে না জড়ানোর ক্ষেত্রে বিজ্ঞ ইসলামিক ব্যক্তিরা নিষেধ করেছেন। আমরা এতক্ষণ ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে এই বিষয়ে বিভিন্ন রাস্তা খুঁজেছি ও আলোচনা করেছি। 

প্রত্যেক ক্ষেত্রে একটি কথা প্রাধান্যতা পেয়েছে তা হল, রাস্তা সঠিক কিন্তু আপনি যদি রাস্তাটাকে নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করেন সেটা খারাপ হবে আর যদি ইতিবাচক ভাবে ব্যবহার করেন সেটা ভালো হবে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করার ক্ষেত্রেও এ বিষয়  মাথায় রাখতে হবে। সর্বদা সঠিক  পথে চলতে হবে।

লেখকের শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে 

ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে এই কথায় বলা যায় বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে হালাল এবং হারাম দুটি উপায়ে উপার্জন করা যায়। তবে, হালাল উপার্জনের বিষয়ে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ পোস্ট করা হয়। আমি আশা করব, উপরোল্লেখিত বিষযয়টি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন ও উপকৃত হয়েছেন। এ ধরণের আরও ব্লগ পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনাদের হালাল ও সুন্দর জীবন কামনা করে এখানেই শেষ করছি।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url