ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

 ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে কথাটি প্রত্যেক নতুন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আসা ব্যক্তিদের সাধারণ প্রশ্ন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আজ আমার এই ব্লগ।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে সময় লাগে এই কথার সাথে আরো জানতে ইচ্ছা জাগে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে। আজকের এই ব্লগে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করি।

পেজ সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এই কথাটির বিস্তারিত বলতে গেলে প্রথমে আমাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিধি সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। আমরা মনে করতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং খুব ছোট একটি জায়গা কিন্তু বিষয়টি তা নয়, এর পরিধি ব্যাপক। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিয়ে এক্সপার্ট হতে অনেক বছর সময় লেগে যায়। 

হতাশ হবেন না। আপনাদেরকে ক্লিয়ার করে দিব যে কত দিনে কিভাবে আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক শাখা রয়েছে। কোনো ডিজিটাল মার্কেটার সবগুলো শাখাতে এক্সপার্ট হতে পারে না। দুই একটি শাখাতে এক্সপার্ট হয়ে তারা সুন্দরভাবে কাজ করতে পারেন, কারণ যেকোনো একটি শাখাতে কেউ এক্সপার্ট হলে তার আর পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন হয় না।  

এতক্ষণে হয়তো কিছুটা বুঝে গেছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যতগুলো শাখা রয়েছে তার মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে যদি আমরা এক্সপার্ট হই সে ক্ষেত্রে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আগে আমাদেরকে মন স্থির করে নিতে হবে যে আমি কোন শাখাতে এক্সপার্ট হব। সাধারণত একটি শাখার উপর প্রাথমিক ধারণা নিয়ে কাজ করতে সর্বনিম্ন ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

 ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সময়সীমা নিয়ে আরো কিছু বিশদ বক্তব্য রয়েছে। তাহলো, আপনি যদি ছয় বছরের একটি প্রজেক্ট চিন্তা করেন তাহলে হতে পারে, প্রথম বছর প্রাথমিক লেভেল, দ্বিতীয় বছর বেসিক এক্সপার্ট, তৃতীয় বছর মাধ্যমিক লেভেল, চতুর্থ বছর মাধ্যমিক এক্সপার্ট, পঞ্চম বছর এক্সপার্ট এবং ষষ্ঠ বছর কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটার। আপনাদের সহজে বোঝার জন্য এটা একটা উদাহরণস্বরূপ উপস্থাপন করেছি। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে বলতে গেলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে ফি নির্ধারণ করে থাকে। যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে শিখতে চান, সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি তা হতে পারে কমবেশি ১৫ হাজার টাকা। বর্তমানে আমরা অনলাইনের কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের কোর্স ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুক বা অন্যান্য বিভিন্ন মাধ্যমে পেয়ে থাকি। 

আপনি যদি মনে করেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন কিন্তু কোন টাকা খরচ করবেন না, সে ক্ষেত্রেও করতে পারবেন তবে সময় একটু বেশি লেগে যেতে পারে এবং পরিপূর্ণভাবে বিষয়টি বুঝতে সমস্যা হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি চাইলে পারবেন। যদি আমার কাছে শুনতে চান সেক্ষেত্রে আমি বলব, যদি আপনি কোন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেন সে ক্ষেত্রে আপনার সময় বেঁচে যাবে অনেক এবং আপনি অনেক ভালোভাবে বিষয়টি শিখতে পারবেন। 

আমি উপরে উল্লেখ করেছি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কমবেশি ১৫ হাজারের মতো টাকা লাগে কিন্তু আপনি এই পরিমাণ অর্থ খরচ করলেই যে ভালো ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন বিষয়টি এমন নয়। আপনাকে অবশ্যই গুগল সার্টিফাইড ডিজিটাল মার্কেটারের কাছে এ বিষয়টি শিখতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে আমরা বিভিন্ন রকম ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের অ্যাড দেখে থাকি। আপনাকে জেনে বুঝে সঠিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে বিষয় সংশ্লিষ্ট জ্ঞান অর্জন করলে ভালো ফলাফল পাবেন। 

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে কোটিপতি হওয়ার উপায়

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি যোগ্যতার প্রয়োজন 

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি যোগ্যতার প্রয়োজন এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি করে ডিজিটাল মার্কেটিং এ আসতে হবে বা প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নিয়ে এই মার্কেটিং করতে হবে এমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নাই। কম্পিউটার বিষয়ে বেসিক জ্ঞান ও পৃথিবী সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান, প্রচন্ড মানসিক শক্তি এবং ইচ্ছা যদি কোন ব্যক্তির থেকে থাকে তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। 

কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে ভাষা জ্ঞান ও সুন্দর লেখার প্রয়োজন হওয়ার কারণে আপনার একাডেমিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন আছে কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি সামান্য পড়াশোনা করেও তার সুন্দর ভাষা জ্ঞান থাকে ও সুন্দরভাবে কোন একটি বিষয় গুছিয়ে লিখতে পারে, সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নাই। সুতরাং, ডিগ্রি বা শিক্ষার বিষয় নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন নিয়ম নীতি নাই। 

তবে ডিজিটাল মার্কেটিং যেহেতু শুধু দেশের মধ্যে আবদ্ধ নয় বরং বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথেও কাজ করতে হয় সে ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কথাবার্তা বলতে হয়। সেজন্য ইংরেজিতে দক্ষতা প্রয়োজন আছে। কারণ আমাদের দেশ ব্যতীত পুরো পৃথিবী চলে ইংরেজি ভাষায়। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হন ও আপনার যদি একাডেমিক সার্টিফিকেট নাও থাকে তাও আপনি কাজ করতে পারবেন কিন্তু এজাতীয় মানুষজন আমাদের দেশে অনেক কম। 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এ্যাকাউন্ট খুলব

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে দিনে কত ঘন্টা সময় দিতে হয় 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে দিনে কত ঘন্টা সময় দিতে হয় তা বুজতে হলে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে কোন একটি কাজ শিখতে গেলে আপনি কত দ্রুত শিখবেন সেটা নির্ভর করে আপনার ডেডিকেশন ও সময় দেওয়ার উপর। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে বিষয়টি অধ্যায়ন করেন এবং প্রতিদিনের কাজ সুন্দরভাবে করতে পারেন আপনি সফল হবেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে দিনে কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় যদি আপনি ব্যায় করেন, সেক্ষেত্রে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ভালো একটি আয়ের সন্ধান পেতে পারেন।

আপনার মনোযোগ এবং চেষ্টা যদি সঠিক থাকে এবং আপনি যদি দিনে আরো বেশি সময় ব্যয় করেন এবং আপনি যদি দ্রুত শিখে নেওয়ার মত মানুষ হন, সে ক্ষেত্রে আপনার সময় আরো কম লাগতে পারে। অন্যদিকে ভর্তি হয়ে সঠিক সময় মত কাজ না করলে এবং বিষয়টি যদি আপনি বুঝতে না পারেন এবং যদি বোঝার চেষ্টা না করেন, সে ক্ষেত্রে কত সময় লাগতে পারে তা বলা মুশকিল। একটা কথা মনে রাখবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং সবার জন্য না।

কিন্তু সম্মানিত পাঠক, ঘাবড়াবার কিছু নেই। মানুষ পারে না এমন কোন কাজ পৃথিবীতে নাই, শুধু প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি ও কাজ করার মন-মানসিকতা। আপনি যদি এই ২ টি গুণের মানুষ হন, আপনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং বেটার অপশন হবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং কাজ হয়ে থাকে, তার মধ্যে জনপ্রিয় ডিজাইনিং। আপনি যদি এখন ডিজাইনিং নিয়ে এগিয়ে যেতে চান প্রচুর কম্পিটিশনের মধ্যে পড়ে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এখনো অনেক সুন্দর ও সম্ভাবনাময় অবস্থানে রয়েছে। 

কেমন ধরনের ডিভাইস দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় 

কেমন ধরনের ডিভাইস দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় সেই বিষয়ে বলতে গেলে, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা অনেক আপডেট। বাজারে যে সমস্ত আপডেট কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন রয়েছে তা দিয়ে সুন্দরভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। যদি ন্যূনতম কনফিগারেশন বলতে চাই সেক্ষেত্রে, আপনার কম্পপিউটারের প্রসেসরের গতি যদি ২ গিগাহার্জ হয়ে থাকে এবং RAM অন্তত ৮ জিবি থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি সুন্দরভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। এবং মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে RAM অন্তত ৮ জিবি হলে সেই ফোন দিয়ে কাজ করা যেতে পারে।

কেমন ধরনের ডিভাইস দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়

আপনি যদি মনে করেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কনফিগারেশন এর ফোন দিয়েই ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য বিষয়টি কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব কাজ ফোন দিয়ে করা যায় না, তবে সাপোর্ট হিসেবে আপনি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। ডিজাইনিং বা ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে আপনার পিসি হাই কনফিগারেশনের প্রয়োজন হবে। যার ফলে আপনাকে অনেক বেশি ইনভেস্ট করতে হবে কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে এত ইনভেস্টের প্রয়োজন হয় না। 

সম্মানিত পাঠক, ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে খুবই সম্ভাবনাময় একটি সেক্টর। যার প্রয়োজনীয়তা দেশে এবং বিদেশে উভয় স্থানই রয়েছে। আপনি যদি চান দেশের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করবেন, সেটাও সম্ভব আবার যদি চান আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করবেন সেটাও সম্ভব। শুধু এখন একটাই  কাজ, সেটা হচ্ছে মন দিয়ে, সময় নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ভালোভাবে শিখে নেওয়া।  

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় 

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য দেওয়া সম্ভব না কারণ আপনার দক্ষতা ও প্রতিদিন কি পরিমান সময় ব্যয় করছেন এর পেছনে নির্ভর করে আপনার ইনকাম। আমরা সবাই জানি দক্ষ মানুষের এই পৃথিবীতে অনেক অভাব। মানুষ টাকার পেছনে ছুটে বেড়ায় কিন্তু দক্ষ হতে চায় না। আপনাদেরকে আগে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এই কথার সাথে এ ও বুঝতে হবে, দক্ষতা আপনাকে আনলিমিটেড ইনকাম এনে দিতে পারে। 

আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ভালোভাবে কোন ইনস্টিটিউট থেকে তিন মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে যেকোনো একটি বিষয়ের উপর ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আয় করার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন এবং কাজ করতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে একটা ধারণা দেওয়া যেতে পারে তাহলো, প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ১৫ থেকে তিরিশ হাজার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। যত বেশি সময় দিবেন যত বেশি দক্ষ হয়ে উঠবেন,  আপনার প্রতিমাসের ইনকাম তত হারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে লক্ষাধিক টাকাও ইনকাম করে থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে কত লক্ষ ইনকাম করছে তারও কোন হিসাব থাকে না। এজন্য আমাদের উচিত, মাসে কত টাকা ইনকাম হচ্ছে এ বিষয়ের দিকে মনোনিবেশ না করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি সেক্টরে মানসম্পন্ন দক্ষ হয়ে ওঠা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বলতে পারবে না যে আমি শুরু থেকে লক্ষাদিক টাকা ইনকাম করে থাকি। প্রত্যেক ব্যক্তির পেছনের ইতিহাস ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার দিয়েই শুরু হয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রে তা আরো কম হতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে আমার সবচেয়ে পছন্দনীয় সেক্টর

কোন ধরনের মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফল হয় 

কোন ধরনের মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফল হয় এ বিষয়ে বলতে গেলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে তাহলো ধৈর্যশীল ও স্বচ্ছ চিন্তাভাবনার মানুষ। প্রথমত আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরে বিষয় সংশ্লিষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে হবে, মার্কেট বুঝতে হবে, মানুষের চাহিদা বুঝতে হবে। যত দ্রুত এই বিষয়গুলো শিখে নিতে পারবেন তত দ্রুত আপনি সফল হবেন। 

কাজের প্রতি পূর্ণ মনোনিবেশ করে একনিষ্ঠ ভাবে যদি চিন্তা করেন যে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবই এবং আমি এ সেক্টরে সফল হবই, সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা  হতে পারে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত। বন্ধুগণ, আমরা জানি পরিশ্রম ছাড়া ভালো পথে ইনকাম করা সম্ভব নয়। আপনি যদি পরিশ্রমী না হন কোন ক্ষেত্রেই আপনি সফল হতে পারবেন না। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে গেলে দুর্বলতার কোন স্থান নেই। 

এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে তার মধ্যে ভালো-মন্দ দুইটি ভাগ রয়েছে আপনি যদি খারাপ ভাগের কোন কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে চান হয়তো আপনি পারবেন কিন্তু তা আপনার মনের শান্তি কেড়ে নেবে এবং প্রতিনিয়ত যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তা আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে। ডিজিটাল মার্কেটিং হল ভালো কাজের অন্যতম একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে অসৎ কোন প্রভাব আপনার উপর পড়বেনা। 

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের অন্যতম আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ''অর্ডিনারি আইটি'' 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়গুলো কি কি 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়গুলো কি কি এ বিষয়ে জানতে হলে আমরা প্রথমেই বলতে পারি, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেক বিষয়ে রয়েছে। যা সম্পূর্ণ জানা কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে অসম্ভব বলা চলে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যারা সফল তারা দুই একটি বিষয়ে এক্সপার্ট। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্তম্ভস্বরূপ কয়েকটি বিষয় আপনাদেরকে জানাচ্ছি। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়গুলো কি কি

  • এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 
  • এস ই এম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং 
  • কনটেন্ট মার্কেটিং 
  • এস এম এম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং  
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং   
  • ইমেইল মার্কেটিং 
  • ই কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং 
  • সিপিএ মার্কেটিং 

এই বিষয়গুলোকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্তম্ভ স্বরূপ বলতে পারি। প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা অন্য একটি ব্লগে উপস্থাপন করব। আপনাদেরকে বিষয়গুলো সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এখানে আমি উপস্থাপন করলাম। এখানে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে আপনি দক্ষ হলে খুব ভালোভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন অনেক ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ক্ষেত্রে পারদর্শী। একটা বিষয় আপনাদেরকে স্পষ্ট করে দিতে চাই, এতক্ষণ আমি বলছি যেকোনো একটা বিষয়ে দক্ষ হওয়ার জন্য। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি যদি যেকোনো একটা বিষয় দক্ষ হতে পারেন অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পর্কে অটোমেটি ধারণা চলে আসবে বা বলা যায় একটি বিষয় আরেকটির সাথে সংযোগপূর্ণ। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা প্রচুর। বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর, যার কারণে আমরা যেকোনো কাজ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে চাই। আমরা যে সমস্ত বিষয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকি তার প্রচার এবং প্রসার করার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমকে গ্রহণ করে থাকি, যে কাজগুলো করে দেয় ডিজিটাল মার্কেটাররা। ভবিষ্যৎ সময় আরো সম্ভাবনাময়, কারণ এখনো যতটুকু ডিজিটাল পরিসীমার মধ্যে আসেনি তা ভবিষ্যতে চলে আসবে এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কনসেপ্ট যুক্ত হওয়ার কারণে ধারণা ও কাজকর্ম পরিবর্তিত হতে থাকবে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এই কথার সাথে এ ও জানতে হবে একজন ডিজিটাল মার্কেটার কখনোই একবার শিখে বসে থাকে না, সে প্রতিনিয়ত শিখতে থাকে। কারণ সময় পরিবর্তন হচ্ছে, মানুষের রুচি ও চাহিদারও পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষ নতুন কিছু চায় যার কারণে আজ যে সমস্ত কাজ চলছে দুই বছর পর তা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া মোটেই অসম্ভব নয়, যার কারণে এই সেক্টরের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। বর্তমান সময়ে চাকুরীর ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে ও পারিশ্রমিক কম হওয়ার কারণে ডিজিটাল ক্ষেত্রে সবাই কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছে। 

সময়ের সাথে সাথে মানুষ যেহেতু আপডেট হচ্ছে এবং মানুষের রুচি যেহেতু পরিবর্তন হচ্ছে, যার কারণে ডিজিটাল ক্ষেত্র প্রচার ও প্রসারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে। কোন ব্যক্তি যদি ডিজিটাল মাধ্যমকে বাদ দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন প্রচার ও ব্যবসার প্রসার চায়, সে ক্ষেত্রে তিনি প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়বেন। অধিক ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি ও পরিচিতির জন্য ডিজিটাল মাধ্যম একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে ও এর প্রসার ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। 

লেখকের শেষ কথাঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়ে উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা বিস্তারিত জেনেছি। আমরা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে আগ্রহী আশা করছি তাদের জন্য তথ্যগুলো খুব কাজে দিবে। 

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ লেখা হয়ে থাকে। আমি আশা করি, এই ব্লগটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। নিয়মিত ব্লগ পড়ুন, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন। আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে এখানেই শেষ করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url