ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক


ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক কি বা আদৌ আছে কিনা এ বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি এবং আমাদের অনেক ভুল ধারণা ভাঙতে চলেছে। 
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক v
আমরা আজ আরো আলোচনা করব ব্রয়লার মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আজকের ব্লগটি অনেক ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। তবে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বলতে গেলে, একটি প্রেক্ষাপট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। চার বৎসরের মেয়ে ইউশা। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় যাই থাকনা কেন ডিম তাঁর লাগবেই। তাঁর বাবার বাজার লিস্টে ডিম থাকে সবার উপরে। শহুরে পরিবেশ, বাজারে যে ডিম পাওয়া যায় তাই আনতে হয়।

হঠাৎ একদিন জানতে পারেন, ব্রয়লার মুরগির ডিমের মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, মুহূর্তের মধ্যে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আসলেই কি ব্রয়লার মুরগির ডিমে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি উপাদানের ভালো এবং খারাপ দুটি দিক রয়েছে। একচেটিয়া ভাবে বলা যায় না যে এটা সম্পূর্ণ খারাপ বা ভালো।

ব্রয়লার মুরগির ডিম এ যে সমস্ত খাদ্য উপাদান রয়েছে তা শরীরের জন্য ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি। এমন কোন ক্ষতিকর উপাদান ব্রয়লার মুরগির ডিমে নেই যা দীর্ঘদিন খেলে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়ে যেতে পারে। তবে আমাদের শারীরিক কার্যক্রম যেহেতু সবার সমান নয় সেহেতু কারো কারো ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের আরও কিছু ক্ষতিকর দিকঃ ডিমে যাদের এলার্জি আছে তাদের এলার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন বেশি পরিমাণে ব্রয়লার মুরগির ডিম খেলে এন্টি অক্সিডেন্ট ও চর্বির মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে, যেটা আপনার দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ

ব্রয়লার মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে বলতে গেলে, ব্রয়লার মুরগির ডিম একটি স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী খাবার। যদিও ব্রয়লার মুরগিকে ফিড খাওয়ানো হয় ও দ্রুত বড় করার জন্য বিশেষ কিছু হরমোন ব্যবহার করা হয়। একটা বিষয় মনে রাখবেন, ব্রয়লার মুরগির ডিমে যদি কোন ক্ষতিকর পদার্থ থেকে থাকে তা থাকে ডিমের খোসায়, ডিমের ভেতরের অংশে কোন ক্ষতিকর উপাদান থাকেনা। নিম্নে কিছু পুষ্টিগুণ উপস্থাপন করছি। ব্রয়লার মুরগির ডিমে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে তাহলোঃ 
  • জলীয় অংশ বা পানি ৬৫%
  • আমিষ ১২%
  • ফ্যাট ১০%
  • মিনারেল ১০%
  • শর্করা
  • ক্যালসিয়াম
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন ই
  • ভিটামিন ডি
  • ফসফরাস
  • রিবোফ্লাভিন
  • আরজিনিন
  • আইসোলিউসিন
  • হিস্টাডিন
  • লাইসিন
  • কলিন, ইত্যাদি।

ব্রয়লার মুরগি কাকে বলে

সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি, যে মুরগির পালকের রং সাদা এবং লালচে, বড় জাতের, নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ পরিবেশে ও উচ্চ খাদ্য প্রাণসম্পন্ন খাবার খেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল উপায়ে পালিত হয়, ওই জাতীয় মুরগিকে ব্রয়লার, লেয়ার বা পোল্ট্রি মুরগি বলা হয়। ব্রয়লার মুরগি মূলত পালন করা হয় মাংসের জন্য।

আমরা সাধারণত লাল বা সাদা বড় সাইজের ফার্মে লালন পালন করা মুরগির ডিমকে ব্রয়লার মুরগির ডিম বলি। কিন্তু ব্রয়লার গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ১১ টি পাখি জাতীয় গৃহ পালিত প্রাণীকে বলা হয়। সাধারণত লেয়ার মুরগি ডিম পেড়ে থাকে। ব্রয়লার মুরগির ডিম পাড়ার ক্ষমতা থাকে না কিন্তু লেয়ার মুরগি ডিম পাড়তে পারে।


এই দুই ধরনের মুরগি সাধারণত ফার্মে পালন করা হয়। উচ্চ শক্তি সম্পন্ন খাবার এদেরকে দেওয়া হয়। ব্রয়লার মুরগি ১.৬ কেজি খাবার খেয়ে ১ কেজি ওজন হয়। অন্যদিকে লেয়ার মুরগি ডিম পাড়ার উপযোগী হতে প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস সময় লেগে যায়। উচ্চ খাদ্য প্রাণসমৃদ্ধ খাবার এই দুই জাতের মুরগি খেলেও এদের খাবারের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

ব্রয়লার মুরগির বাসস্থান

জীবাণুমুক্ত, শুষ্ক ও উন্নত স্থানে ভালো মানের মুরগি পালন করা হয়। বাসস্থান যদি অনুন্নত হয় তবে মুরগির রোগ-ব্যাধি হয়, বিভিন্ন ছত্রাক, জীবাণু আক্রমণ করে, সেক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়ে থাকে। ব্রয়লার মুরগিকে যে ধরনের খাবার দেওয়া হয় তার মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান নেই বললেই চলে, সামান্য ক্ষেত্রে আছে।

জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার পানি এই জাতীয় ফার্মের মুরগিকে দেওয়া হয়ে থাকে। ডিম পাড়ার জন্য লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে সাধারণত খাচা পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়। মুরগি লালন পালন হওয়ার জায়গা সাধারণত জীবাণুমুক্ত হয়ে থাকে। মুরগি রক্ষণাবেক্ষণ যারা করেন তারাও জীবাণুমুক্ত পোশাক ও জুতা ব্যবহার করে থাকে।


মাংসের জন্য উৎপাদিত মুরগি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে খোলা অবস্থায় থাকে। এরা খাবার খায় ও যতটুকু জায়গা পায় হালকা হাটাহাটি করে থাকে। ব্রয়লার মুরগি সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় দীর্ঘদিন লালন পালন করার কারণে ৫- ৬ কেজি বা তার বেশি ওজন হয়ে থাকে।

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য উপাদানে সাধারণ ভাবে থাকে, ময়দা, সয়াবিন কেক, ফিশ মিল, ভুট্টা, গম, ভুসি, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের মিশ্রণ ও পরিষ্কার পানি। কিছু অসাধু খামারি ব্রয়লার মুরগির দ্রুত স্বাস্থ্য বৃদ্ধি ও অধিক মুনাফার লোভে কিছু ক্ষতিকর উপাদান মিশ্রিত করে থাকে ,তার মধ্যে অন্যতম আর্সেনিক।
ব্রয়লার মুরগির খাদ্য
ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের ক্ষেত্রে সাধারণত বাজার থেকে কেনা বিভিন্ন ধরনের ফিড খাওয়ানো হয়ে থাকে। এই ফিডগুলো তৈরি হয় বিভিন্ন উপাদান থেকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক খাদ্যশস্য গুড়া করে তাদের খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাতকরণ চামড়া ডিপো থেকে উচ্ছিস্ট্যাংশ ব্রয়লার মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে।

ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের ক্ষেত্রে যদি প্রাকৃতিক খাদ্যশস্য দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ানো হয়, সেক্ষেত্রে মাংসে ক্ষতিকর অংশ থাকে না বললেই চলে। লেয়ার মুরগি পালনের ক্ষেত্রে অধিক ডিম পাড়া ও ডিমের সাইজ বড় করার উদ্দেশ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের হরমোন ও মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে, যা অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হয়ে থাকে।

ফার্মের মুরগির ডিমের উপকারিতা

ফার্মের মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে উচ্চ খাদ্য প্রাণসম্পন্ন প্রচুর পুষ্টি ফার্মের মুরগির ডিমে রয়েছে। ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডিমে উচ্চমাত্রায় খাদ্যপ্রাণ থাকায় সহজে অনেক উপাদান একসাথে পাওয়া যায় যেটা দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়।

দেহ ভালো রাখতে প্রতিদিন একটি বা দুটি ডিম খাবারের মেনুতে রাখা উচিত। শিশু থেকে বয়স্ক সকল শ্রেণীর মানুষ অনায়াসে ফার্মের মুরগির ডিম খেতে পারে এবং দেহের পুষ্টি জনিত ঘাটতি পূরণ হওয়া সম্ভব। ফার্মের মুরগিকে যে খাবার দেওয়া হয় তার মধ্যে খাদ্য উপাদান হিসাব করা থাকে এবং নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকার কারণে মুরগির দেহে সেই রকম হারে রোগ হয় না।


যার কারনে প্রচুর উচ্চ খাদ্য প্রাণসম্পন্ন উপাদান ফার্মের মুরগির ডিমে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন একটা ডিম খাওয়া উচিত। তবে, বেশি বেশি কোন কিছুই ভালো নয়। ডিম বেশি খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা ডিমের সমস্যা নয়, সমস্যা খাওয়ার।

ব্রয়লার মুরগির ডিম কি ক্ষতিকর

ব্রয়লার মুরগিকে যে ধরনের খাবার খাওয়ানো হয় তা উপরিউক্ত আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি এবং এটাও জানতে পেরেছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিকর উপাদান তাদেরকে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও মুরগির ডিমে, মুরগির দেহের ক্ষতিকর উপাদানগুলো (যদি থেকে থাকে) তা শুধুমাত্র ডিমের খোসাতেই বিদ্যমান থাকে।

ব্রয়লার মুরগিকে ডিম পাড়ার জন্য যে জাতীয় খাবার দেওয়া হয় তার মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান যাই থাকুক তা কোনমতে ডিমের ভেতরের অংশে প্রবেশ করতে পারে না। উচ্চ খাদ্য প্রাণসম্পন্ন খাবার এবং জীবাণুমুক্ত পরিবেশে বড় হওয়ায় আমরা বলতে পারি ব্রয়লার মুরগির ডিম সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ।


অনেকে মনে করে থাকেন দেশি মুরগির ডিমের তুলনায় ফার্মের ডিমে পুষ্টিগুণ কম থাকে। তর্ক সাপেক্ষে কথাটি মেনে নিলেও যদি আমরা উপাদান গত দিক থেকে বিশ্লেষণ করি, সে ক্ষেত্রে বলা যায় যেহেতু ফার্মে পালিত লেয়ার মুরগি বাছাই করা ভালো উপাদান দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে থাকে সেহেতু বলাই যায় এই ডিমে পুষ্টি উপাদান ভালো থাকবে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি আছে

ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি আছে এ কথায় বলা যায়, উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, খনিজ উপাদান,স্বাস্থ্যকর চর্বি, কোলেস্টরেল সহ উচ্চ খাদ্যপ্রাণ সমৃদ্ধ উপাদান। ব্রয়লার বা লেয়ার মুরগির ডিম এ কোন ফাইবার থাকে না, সে ক্ষেত্রে এই ডিম খাওয়ার সময় ফাইবার জাতীয় বিভিন্ন সবজি খেতে পারেন।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি আছে
ব্রয়লার বা লেয়ার ডিম চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন হওয়ায় যদি সামান্য তেল দিয়ে ভেজে খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে শরীরে সহজে শোষিত হয়। ব্রয়লার মুরগির ডিমে প্রচুর ক্যালরি থাকে কেউ যদি ওজন বা কোলেস্টরেল কমানোর কথা চিন্তা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এই ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া উচিত।

ব্রয়লার মুরগির ডিমে আরো যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান থাকে তা হল ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ওমেগা ৩ ইত্যাদি। এই ডিমে যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা কিভাবে রান্না হচ্ছে তার উপরে টোটাল পুষ্টি নির্ভর করে। লেয়ার মুরগির ডিম যদি হালকা তেলে ভেজে খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে এর কার্যক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়।

ব্রয়লার মুরগির ডিমে কত ক্যালরি

ব্রয়লার মুরগির ডিমে কত ক্যালরি এ বিষয়ে অনেকে মনে করে থাকেন দেশি মুরগির ডিমে খাদ্য উপাদান বেশি থাকে, আসলে তা নয় । ব্রয়লার মুরগির ডিম ও দেশি মুরগির ডিমে সমান খাদ্য উপাদান থাকে। তবে ব্রয়লার মুরগির ডিম একটু বড় হওয়ায় এর মধ্যে খাদ্য উপাদান একটু বেশিই পাওয়া যায়। একটি দেশি মুরগির ডিমে ৫০ থেকে ৬০ কিলো ক্যালরি ও একটি ব্রয়লার মুরগির ডিমে ৬০ থেকে ৭০ কিলো ক্যালরি পাওয়া যায়।

একটি দেশি মুরগির ডিমের সাথে ব্রয়লার মুরগির ডিমের তুলনা করাটা মোটেও ঠিক হবে না কারণ, দুটি ক্ষেত্রে পুষ্টি উপাদানের কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। দেশি মুরগি স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহ করে খায় তার সাথে কিছু খাবার দেওয়াও হয়। সবমিলিয়ে দেশি মুরগির খাবার ফার্মের মুরগির তুলনায় একটু ভিন্ন।

পুষ্টি উপাদান বিবেচনা করলে দেশি মুরগির ডিমে এক ধরনের পুষ্টিগুণ ও ফার্মের মুরগির ডিমে পুষ্টিগুণ ভিন্ন। এই দুই ধরনের ডিমই পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। তর্ক না করে আপনার নাগালের মধ্যে যদি দেশি মুরগির ডিম পেয়ে থাকেন সেটা খাবেন আর যদি না পেয়ে থাকেন ফার্মের মুরগির ডিম খাবেন, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পেয়ে যাবেন।

লেখক এর শেষ কথাঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম, প্রত্যেক খাদ্যে কিছু ভালো কিছু মন্দ উপাদান থাকে। এই বিষয়গুলো বাদ দিয়ে ব্রয়লার মুরগির ডিম মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। দেহে খাদ্যপ্রাণের ঘাটতি পূরণে ডিম অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

আমার এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লক পোস্ট করা হয়। আশা করি এতক্ষণের আলোচনায় ব্রয়লার মুরগির ডিম সম্পর্কে আপনারা ভালো তথ্য পেয়েছেন। আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টমহলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url